ফেলুদা বনাম ফেলুদা
সোস্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে খারাপ দিক হলো অনধিকার চর্চা। খোলা ময়দানে বল নিয়ে নেমে পড়লেই হলো। খেলা শেখা বা জানার কোনও প্রয়োজন নেই। সাম্প্রতিক ফেলুদা সিরিজে টোটা রায়চৌধুরীর অভিনয় নিয়ে একদল ফেসবুক বিশেষজ্ঞ যা সব মতামত দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে এর থেকে খারাপ কাজ পর্দায় এর আগে দেখেনি তারা। ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর সব্যসাচী চক্রবর্তীকেও কিছু বিরূপ সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল। কিন্তু সেটা সংবাদপত্রে এবং যথেষ্ট গঠনমূলকও ছিল সেসব। সব্যসাচীর ভাগ্য ভালো সোস্যাল মিডিয়ার পাগলামি শুরু হয়নি তখনও। এরপর আবীর চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ফেলুদা করেন। তাঁদেরও সমালোচিত হতে হয়। কিন্তু টোটার মতো অহেতুক ঘৃণ্য ভাষায় নয়। এ যেন বড্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটাই ইতিবাচক ব্যাপার, এই দলটি সংখ্যায় খুবই কম। এখন এই স্বঘোষিত, অজ্ঞান সমালোচকদের দ্বারা দর্শক প্রভাবিত না হলেই ভালো।