ভিন্নস্বাদের ‘তোমার খোলা হাওয়া’
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। সম্প্রতি নতুন ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’ শুরু হয়েছে জি বাংলায়। তারই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত রামিজ আলি আহমেদ লিখেছেন মেগার বিভিন্ন দিক নিয়ে।
জি বাংলায় শুরু হলো সম্পূর্ণ ভিন্নস্বাদের ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’। এই উপলক্ষে সম্প্রতি টলি ক্লাবে জি বাংলার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন জি বাংলার চিপ ক্লাস্টার অফিসার (ইস্ট) সম্রাট ঘোষ, বিজনেস হেড নবনীতা চক্রবর্তী আর ‘তোমার খোলা হাওয়া’ ধারাবাহিকের পরিচালক বাবু বণিক, মেগার নায়ক শুভঙ্কর সাহা, নায়িকা স্বস্তিকা দত্ত, খেয়ালী দস্তিদার, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, দিয়া চক্রবর্তী, রাইমা সেনগুপ্ত প্রমুখ। প্রসঙ্গত, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রত্যেকেই হাজির হয়েছিলেন মেগার চরিত্রের লুকে।
জি বাংলার চিফ ক্লাস্টার অফিসার (ইস্ট) সম্রাট ঘোঘ জানালেন, “জি বাংলা কিছুদিন আগেই নিয়ে এসেছে দুটি নতুন সিরিয়াল–’নিম ফুলের মধু’ ও ‘সোহাগ জল’। দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছে দুটি মেগাই। এবার তাঁদের জন্য জি বাংলার উপহার ভিন্নস্বাদের মেগা সিরিয়াল ‘তোমার খোলা হাওয়া’। পৃথিবীতে দু’ধরণের মানুষ হয়–অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী। প্রথম চরিত্রের মানুষরা হন চুপচাপ, শান্ত ও গম্ভীর। তাঁরা খুব কম কথা বলেন। সবসময় নিয়ম মেনে চলেন। আর বহির্মুখীরা হন খোলামেলা। সুযোগ পেলেই নিয়ম ভাঙতে চান। এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা তেমনই দুই ভিন্ন অভিমুখী মানুষ। তাদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়েই ‘তোমার খোলা হাওয়া’।” ওঁর কথায়, বাকিটা আপনারা পর্দায় দেখবেন। সম্রাট ঘোষের প্রত্যাশা, আগের দুটি মেগার মতোই দর্শকদের এই ধারাবাহিকটিও ভালো লাগবে।
জি বাংলার বিজনেস হেড নবনীতা চক্রবর্তী জানান, “জি বাংলা সবসময় দর্শকের চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী ধারাবাহিক তৈরি করে। দর্শকের সবসময়ের চাহিদা ভালোবাসার কাহিনি। সেই কথা মাথায় রেখেই পুরোপুরি পারিবারিক ও ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছে ‘তোমার খোলা হাওয়া’। এটা বলতে পারি, এই ধরণের গল্প দর্শক আগে দেখেনি। পরিচালক বাবু বণিকের অনেক কাজ দর্শক ইতিমধ্যেই দেখেছেন। অর্থাৎ, তাঁর কাজের সঙ্গে দর্শকের পরিচয় আছে। গল্প আর নতুন করে বলতে চাই না। মেগার নায়ক-নায়িকা শুভঙ্কর সাহা ও স্বস্তিকা দত্ত। এখানে দু’জনেই একেবারে অন্য ধরনের চরিত্রে কাজ করছেন। এর আগে স্বস্তিকা দত্ত আমাদের সঙ্গে ‘কী করে বলবো তোমায়’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তিনি ছোটোপর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। এই ধারাবাহিকে তাঁকে নতুন এক চরিত্রে দেখা যাবে।”
পরিচালক বাবু বণিকের কথায়, “টিমের সবার সঙ্গে আনন্দ করে কাজ করেছি। আমাকে পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য জি বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই।” ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে আছেন খেয়ালী দস্তিদার। তাঁর চরিত্রের নাম ছায়া, যিনি নায়ক আবিরের মা। খেয়ালি হেসে জানান, এই চরিত্রের গতি কোনদিকে যাবে, তা তিনি জানেন না। তবে এই চরিত্রে কাজ করতে তাঁর খুব ভালো লাগছে। এটা তাঁর মনের মতো এক চরিত্র। “এর আগে ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জড়োয়ার ঝুমকো’-তে দর্শক আমাকে দেখেছেন। এখানে আমার চরিত্রের নাম আবির। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেরকম, আবির তার বিপরীত চরিত্র। কথাবলা, চলাফেরা সবটাই আলাদা। সাধ্যমতো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি”–জানালেন নায়ক শুভঙ্কর সাহা।
ধারাবাহিকে ঝিলমিলের চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা দত্ত। মিষ্টি স্বস্তিকা বললেন, “এই ধরনের গল্প নিয়ে আগে কোনও ধারাবাহিক হয়নি। আর আমিও আগে এ ধরনের কোনও ধারাবাহিক বা কোনও চরিত্রে অভিনয় করিনি। আমার চরিত্র খুব খোলামেলা। নিয়ম ভাঙাতেই তার আনন্দ। সে বনগাঁর মেয়ে। বাবা, সৎ মা, ভাইবোনকে নিয়ে ঝিলমিলের জীবন। তার একজন বিশেষ বন্ধু আছে, নাম টুনি। একমাত্র টুনিই তার মনের কথা বোঝে। এই টুনিকে নিয়েই ঝিলমিল খেলা দেখায়। এখানে একটা বিশেষ আর্ট ফর্ম ব্যবহার করা হয়েছে–ভেন্ট্রিকুইলোজম। এই বিষয়টা রপ্ত করতে দেড় থেকে দু মাস সময় নিয়েছি। প্রসঙ্গত, মেগায় ভেন্ট্রিকুইলোজম ব্যাপারটা এই প্রথম।” গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে ৯টায় জি বাংলায় দেখানো হচ্ছে ‘তোমার খোলা হাওয়া’।