সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেনের ৬৭তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন
মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথম মুদ্রিত লেখা প্রকাশিত হয় তাঁর, মাসিক বসুমতী পত্রিকায়। তার আগেই লিখে ফেলেছেন হাতে লেখা ছোটদের কিছু ম্যাগাজিনে–রাখি, রামধনু, কাকলি। এছাড়া হাতে লেখা বইও তিনি বের করেছেন ‘খেলার রাজা ক্রিকেট’ নামে! সেই থেকে তার পরবর্তী সাত বছরে তিনি প্রায় সাতশোটি গল্প-প্রবন্ধ-প্রতিবেদন রচনা করেন। সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেনের অতুলনীয় প্রতিভার স্বাক্ষর এখানেই শেষ নয়। মাত্র ২২ বছর বয়সে কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা বই ‘কামনার ক্যাসানোভা’। বইটি প্রকাশিত হয় বিখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর প্রকাশনা সংস্থা মৌসুমী প্রকাশনী থেকে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন সমরেশ স্বয়ং।

গত ২৭ বছর ধরে লিখে চলেছেন পৃথ্বীরাজ সেন। বর্তমানে তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবছর তাঁর লেখা কম-বেশি ৬০ থেকে ৭০টি বই প্রকাশিত হয়। এই বিশাল তালিকা গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন ভারত সরকারের মানব বিকাশ মন্ত্রক থেকে জীবনব্যাপী সাধনার জন্য বিদ্যালঙ্কার সম্মান। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক অনুবাদ সাহিত্যে পারুল পুরস্কার দিয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে লেখক জানিয়েছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে প্রতিটি জেলায় তাঁর নামে গ্রন্থাগার স্থাপিত হবে, যা একজন জীবিত সাহিত্যিকের ক্ষেত্রে বিরল প্রাপ্তি।
ডক্টর আম্বেদকর ফাউন্ডেশন তাঁকে ডিলিট সম্মাননায় ভূষিত করেছেন আম্বেদকরের উপর ‘আম্বেদকর জীবন ও সাহিত্য’ গ্রন্থের জন্য। ইউনেস্কো প্রকল্পে একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন পৃথ্বীরাজ সেন। সম্প্রতি এই সাহিত্যিকের ৬৭তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে। গত ১২ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার গোলপার্ক-এর সহযোগিতায় এবং নটরাজ আর্ট গ্রুপের তত্ত্বাবধানে পালিত হলো সাহিত্য উৎসব। উন্মোচিত হলো তাঁর লেখা কয়েকটি বইয়ের প্রচ্ছদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিশু সাহিত্যিক হুমায়ুন কবীর ঢালী এবং বহু বিশিষ্ট জন।
১৯৫৫ সালের ১৭ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন পৃথ্বীরাজ সেন। তাই ১৭ই ডিসেম্বর ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ কালচার তাঁকে নিয়ে এক সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করে ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার বা ই জেড সি সি-র মুক্তমঞ্চে। সহযোগিতায় ছিল ‘বাংলার মন’ নামে একটি সমাজ কল্যাণমূলক সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট নারায়ণ চক্রবর্তী এবং সম্পাদক শ্রী দীপ্তিমান বসুর উদ্যোগে সেদিনের কবিতা উৎসব এবং সাহিত্যোৎসব ছিল চোখে পড়ার মতো!