ঐতিহ্য আর প্রকৃতির অপরূপ সমন্বয় যেখানে
দিন যাপনের একঘেয়েমি আর ক্লান্তি দূর করতে পর্যটনের বিকল্প নেই। চার দেওয়ালের গন্ডি ছাড়িয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঝোলা কাঁধে সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই কলম প্রতি সপ্তাহে। এবারে অপরূপ বিশাখাপত্তনম নিয়ে কলম ধরেছেন কেকা চৌধুরী।
বিয়ের আগে মধুচন্দ্রিমা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তেই আসতে পারেনি অর্ক আর দিয়া। দিয়ার পছন্দ সমুদ্র। চোখের সামনে অনন্ত জলরাশি, পায়ের পাতা ভিজে যাচ্ছে ঢেউ ভাঙা জলে। পায়ের তলায় বালি সরে যাওয়ার শিহরণ, প্রেমিকের বলিষ্ঠ আলিঙ্গনে ভালবাসার আশ্রয়। বিপক্ষে অর্কর যুক্তি, পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নির্জনতার রোমান্টিকতা একমাত্র প্রেমিক পুরুষই বোঝে। দুজনের লড়াই যখন তুঙ্গে, তখন বন্ধু দেবরাজ তাদের থামিয়ে বলে, আগে লক্ষী ছেলেমেয়ের মতো বিয়েটা তো কর। পরের ব্যাপারটা আমি দেখছি। ফুলশয্যার রাতে দেবরাজের উপহারের খামটা খুলতেই একরাশ বিস্ময়প্রাপ্তি। দুটো বিশাখাপত্তনম যাওয়ার এয়ার টিকিট, সঙ্গে ছোট্ট একটা চিরকুট–পাহাড়ের পাশেই সমুদ্র, এবার শুধুই রোমান্স।
অনলাইনেই হোটেল বুকিং করেছিল অর্ক। রামকৃষ্ণ বিচের ধারেই খুব সুন্দর একটি হোটেলে। এই সমুদ্র সৈকতে বেশ কয়েকটি আধুনিক হোটেল রয়েছে, তারই অন্যতম এটি। বিশাখাপত্তনম এয়ারপোর্ট থেকে রামকৃষ্ণ বিচের দূরত্ব ১৮ কিমি। রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র ৫ কিমি। সোজা হোটেলে এসে একটু বিশ্রাম করেই দিয়া ছটফট করে ওঠে। একদম ঘরে বসে থাকা নয়, শিগগিরই চল। হোটেল থেকে বেড়িয়ে একটু হেঁটেই ওরা চলে আসে সমুদ্রের ধারে। বঙ্গোপসাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত অন্ধ্রপ্রদেশের এই অপরূপ সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। একটু এগিয়ে ঢেউ ভাঙা জলে পা ভিজিয়ে দিয়া ফিরে তাকায় অর্কের দিকে। তার সেই খুশিমাখা উজ্জ্বল মুখের দিকে তাকিয়ে উদ্বেল হয়ে ওঠে অর্কর হৃদয়। কাছে গিয়ে আলতো হাতের ছোঁয়ায় ফিসফিস করে বলে, পেয়েছ তোমার ভালবাসার আশ্রয় ?
রামকৃষ্ণ বিচের কাছেই থাকার সিদ্ধান্ত অর্ক নিয়েছিল বিশেষত দুটি কারণে। হোটেল থেকেই সমুদ্র দেখার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়ত, এখান থেকে কাছাকাছি দ্রষ্টব্য স্থানগুলি দেখে নেওয়া খুব সুবিধাজনক। পরের দিনটা ওরা ঠিক করল, কাছাকাছি দ্রষ্টব্য স্থানগুলি দেখার জন্য। রাতের অন্ধকারে উদ্দাম জলরাশির পাড় ভাঙার অবিরাম আওয়াজে, মনের মাঝে জাগে অজানা শিহরণ। অনেক রাত পর্যন্ত ওরা বসেছিল বারান্দায়।
বিশাখাপত্তনমে সকালে পৌঁছে গেলে সেদিনই দেখে নেওয়া যায় রামকৃষ্ণ বিচ সংলগ্ন কালী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। শীতের নরম রোদ গায়ে মেখে একটু হেঁটেই দেখে নেওয়া যায় INS কুরসুরা সাবমেরিন মিউজিয়াম। রাশিয়ার তৈরি এই সাবমেরিনটিকে ২০০২ সালে একটি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়। চিত্তাকর্ষক এই মিউজিয়ামে গেলে জানা যাবে অনেক অজানা তথ্য। সাবমেরিনের বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতা, যুদ্ধের সময় কিভাবে একটি সাবমেরিন কার্যকর ভূমিকা নেয় ইত্যাদি নানা তথ্য। এই মিউজিয়ামের ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে TU 142 এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম। এই যুদ্ধবিমানটি ২৯ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেবা করেছে। একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি তার ৩০ হাজার ঘন্টা সেবাকালে। সেই কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিমানটির অবসরের পর, তাকে অক্ষত রেখে, মিউজিয়ামে পরিবর্তিত করে সম্মান জানানো হয়।
ক্যাব বা অটো ভাড়া করে এক দিনেই দেখে নেওয়া যেতে পারে কাছাকাছি দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। যেমন,
ইয়ারাদা বিচ। তিনদিক পাহাড়ে ঘেরা এই সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। শান্ত, বিস্তীর্ণ জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা অনন্য। দেখুন ডলফিন নোজ। ইয়ারাদা বিচ থেকে ৪.৫ কিমি দূরেই ডলফিন পাহাড়। দূর থেকে পাহাড়টিকে দেখতে ডলফিনের নাকের মতো মনে হয় বলেই হয়তো এমন নামকরণ। এখানে অবস্থিত লাইটহাউসটি অনেক প্রাচীন ইতিহাস ও যুদ্ধের সাক্ষী। পাহাড়ের মাথায় রয়েছে চমৎকার কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে বিশাখাপত্তনম শহর এবং সমুদ্রের অকৃপণ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। দেখতেই হবে রোজ হিল। এখানে পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির মূল ধারার নজির। একই জায়গায় মন্দির, মসজিদ এবং গির্জার শান্ত-সুন্দর সহাবস্থান ভারতীয় জাতীয় সংহতির এক অনন্য নিদর্শন।
এরপর বলবো, মৎস্যদর্শিনী অ্যাকোয়ারিয়াম-এর কথা। এখানকার সুবৃহৎ অ্যাকোয়ারিয়ামটি ছোট-বড় সকলের কাছেই সমান আকর্ষণীয়। বিরল প্রজাতির মাছ এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর অসাধারণ সংগ্রহশালা। এই সংগ্রহশালাটি রামকৃষ্ণ বিচ থেকে হাঁটা পথেই ঘুরে আসা যায়। এছাড়া, শহর থেকে মাত্র ১৯ কিমি দূরে সমুদ্রে ঘেরা পার্বত্য শহর কৈলাশগিরির আকর্ষণই আলাদা। সমুদ্রের বিশালতার সাথে পাহাড়ের গভীরতার এক অসামান্য মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে আশ্চর্য এক রোমান্টিকতা। এখানে আসার রাস্তাটিও খুব সুন্দর। পর্যটকদের কাছে অবশ্য পছন্দ থাকবে পাহাড়ে ওঠার জন্য রোপওয়ের রোমাঞ্চকর যাত্রা। এছাড়া চারিদিক ঘুরে দেখার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে মজাদার টয়ট্রেনের। পাহাড়ের মাথায় রয়েছে শিব-পার্বতীর অপরূপ মূর্তি। সামনে দাঁড়িয়ে এক স্বর্গীয় আনন্দে মন ভরে যায়। আনন্দে-ভালোলাগায় বিহ্বল অর্ক-দিয়া দুজন দুজনের হাত ধরে অপলক তাকিয়ে থাকে দেবমূর্তির সামনে।
এবার ইন্দিরা গান্ধী জুলজিক্যাল গার্ডেনের কথা। কৈলাশগিরি থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরেই কামবালাকোন্ডা রিজার্ভ ফরেস্টে ৬৫০ একর জায়গা নিয়ে প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে ইন্দিরা গান্ধী জুলজিক্যাল গার্ডেন। গার্ডেনটির বিশেষত্ব, নয়নাভিরাম সবুজের সমারোহ। এখানে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ প্রজাতির সরীসৃপ, বন্যপ্রাণী রয়েছে। এছাড়াও প্রচুর বিরল প্রজাতির পাখির আকর্ষণে এখানে ছুটে আসেন চিত্রগ্রাহকরা। খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। সোমবার বন্ধ।
অর্ক-দিয়ার সঙ্গে এবার চলুন যাই, রুষিকোন্ডা বিচ। পাহাড়ঘেরা এই সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এককথায় মনোমুগ্ধকর। অর্ধচন্দ্রাকার সমুদ্ররেখা এক বিশেষমাত্রা যোগ করেছে তার সৈকত সৌন্দর্যায়নে। বিভিন্ন ধরণের জলক্রীড়া এবং নৌকাবিহারের ব্যবস্থা থাকার জন্য এই সৈকতটি পর্যটকদের কাছে খুবই পছন্দের। দেখতেই হবে, ভীমলি বিচ। এই সমুদ্র সৈকতের শান্ত এবং পরিচ্ছন্ন রূপ মনকে স্নিগ্ধ করে তোলে। বলবো, থোতলাকোন্ডা বুদ্ধিস্ট মনাস্টারির কথা। এটি অবস্থিত থোতলাকোন্ডা পাহাড়ের উপর। ২০০০ বছরের প্রাচীন এই মনাস্টারিতে একসময় দেশ-বিদেশ থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা আসতেন এবং থাকতেন। এখানকার স্তূপা, বিহার এবং প্রার্থনা গৃহগুলি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাক্ষী। এরই সঙ্গে উল্লেখ্য, থোতলাকোন্ডা ন্যাচারাল আর্চ। থোতলাকোন্ডা বিচে প্রাকৃতিক এই আর্চটি দেখতে ছুটে আসে পর্যটকের দল। সমুদ্রের নোনা জল, বালুরাশি আর খেয়ালি হাওয়ার রহস্যময় আঁকিবুকিতে সৃষ্টি এই আর্চটি সত্যিই বিস্ময়কর।
অর্ক-দিয়ার সঙ্গে এরপরের গন্তব্য, সিমাচালম মন্দির। দেবতা বিষ্ণুর দুই অবতার রূপ বরাহদেব ও নৃসিংহদেব এবং দেবী লক্ষী পূজিত হন এখানে। দেবতার নাম বরাহলক্ষী নৃসিংহ ভগবান। অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে অধিষ্ঠিত মন্দিরটি কালো কষ্টিপাথর তৈরি। দেবমূর্তি বছরভর চন্দনাবৃত থাকে। একমাত্র বৈশাখ মাসের শুক্লা একদশীর দিন চন্দনহীন দেবমূর্তি ভক্তরা দর্শন পান। সেইসময় এই স্থানে মেলা বসে, বহু মানুষের সমাগম হয়। সিমাচলম চতুস্কোণ মন্দিরটির স্থাপত্যকর্ম অসাধারণ। মন্দিরগাত্রের অনন্য শিল্পকর্ম বিস্মিত করে। মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা এখন বেশ ভালো। বাসে করেই যাওয়া যায়। এছাড়া ক্যাব বা অটো তো আছেই।
আরাকু ভ্যালি এবং বোড়া কেভে যাওয়ার জন্য একটি পুরো দিন সময় লাগবে। গাড়ি বা ক্যাব বুক করে যাওয়ার থেকে ট্রেনে চেপে আরাকু যাওয়ার মজাটাই আলাদা। সেই মজাটাই কয়েকগুণ বেড়ে যায় যদি কোচটি হয় ভিস্তা ডোম। অর্ক-দিয়া এই পথই বেছে নেয়। এই বিশেষ সুবিধা এখন যাত্রীরা আরাকু যাওয়ার রেলপথে পাবেন। বিশাখাপত্তনম স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে বোড়া গুহালু স্টেশনে নেমে দেখে নিতে হবে বোড়া গুহা। অনন্তগিরি পর্বতমালায় অবস্থিত ২ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই গুহাটি ভারতের গভীরতম গুহা। গুহার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে গোসথানি নদী। পাথুরে চুনামাটিতে চুঁয়ে পড়া নদীর জল পাহাড়গাত্রে গড়ে তুলেছে অলৌকিক গুহাভাস্কর্য। স্ট্যালাগটাইট এবং স্ট্যালাগমাইট রাসায়নিক যৌগদুটির বিভিন্ন বিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে শিব-পার্বতী, সন্তান কোলে মা, শিবলিঙ্গ, গরু, বাঘ ইত্যাদি নানারূপ অবয়ব, প্রকৃতির বিস্ময়কর শিল্পকর্ম। বিজ্ঞান ও বিশ্বাসের এক অকল্পনীয় মেলবন্ধন।
এবার অনন্তগিরি কফি গার্ডেন। বোড়া কেভ থেকে ৯ কিমি দূরে এই কফি বাগানটির অপরূপ শান্ত সৌন্দর্য খুব সুন্দর। কফিপ্রেমীদের কাছে এই গার্ডেনটি বিশেষ আকর্ষণের। এখানে থাকার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। যেতেই হবে এখানকার আদিবাসী মিউজিয়ামে। আরাকু ভ্যালি পৌঁছে প্রথমেই দেখে নিতে হবে এই সংগ্রহশালাটি। এখানে পূর্বঘাট অঞ্চলের আদিবাসী জনজাতির সংস্কৃতি ও জীবনকথা তুলে ধরা হয়েছে পর্যটকদের কাছে, মাটি ও ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি মূর্তিগুলি নিখুঁতভাবে সাজিয়ে। রয়েছে হস্তশিল্পের সুন্দর সম্ভার।
দেখুন পদ্মাপুরম বোটানিক্যাল গার্ডেন। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ২৬ একর জমি নিয়ে এই বাগানটি তৈরি হয়েছিল সৈন্যবাহিনীর সবজি সরবরাহের জন্য। পরে এটি বোটানিক্যাল গার্ডেনে রূপান্তরিত হয়। অকৃত্রিম প্রাকৃতিক পরিবেশে ছোট ছোট কাঠের কটেজগুলি খুবই সুন্দর। এখানে বসে পর্যবেক্ষণ করুন জঙ্গলের নীরবতা। এছাড়াও দেখুন গলিকোন্ডা ভিউ পয়েন্ট–পূর্বঘাট পর্বতমালার দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্ঘ, উচ্চতা ৪৩২০ ফুট। এখান থেকে উপভোগ করুন অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য। সবুজ বনানী, নদী, ঝর্ণা, রেলপথ আর দূর পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা জনপদ। মুগ্ধ করে কাটিকি জলপ্রপাত। আরাকু ভ্যালির একটি বিশেষ আকর্ষণ কাটিকি জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটির উৎসস্থল গোসথানি নদী। ঘন সবুজে মোড়া পাহাড়ের গায়ে উচ্ছ্বল জলধারা মন ভরিয়ে দেবে আপনার।
খাবার
বিশাখাপত্তনমে বেড়াতে এসে খাবারের কথা না বললেই নয়। পর্যাপ্ত খাবারের দোকান। বেশিরভাগ দোকানে পাবেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। বাঙালি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে মাছ-ভাতের দোকানও চালু হয়েছে। প্রতিটি সমুদ্র সৈকতের ধারেই পেয়ে যাবেন প্রচুর খাবারের দোকান। মুখরোচক সামুদ্রিক মাছের সম্ভার সাজিয়ে রাখা সেখানে।
কিভাবে যাবেন
রেলপথ : হাওড়া থেকে চেন্নাই মেল, ফলকনামা এক্সপ্রেস। শালিমার স্টেশন থেকে করমন্ডল এক্সপ্রেস, ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস ছাড়াও প্রচুর ট্রেন রয়েছে বিশাখাপত্তনমে যাওয়ার। এছাড়া বাঙ্গালোরগামী সব ট্রেন ছুঁয়ে যায় এই স্টেশনটিকে।
বিমানপথ: কলকাতা থেকে বিমানপথেও বিশাখাপত্তনম যাওয়া যায়। খরচ একটু বেশি হলেও ট্যুরে একটি দিন বেশি পাওয়া যায়।
গাড়ি বা বাস : গাড়ি নিয়ে সোজা চলে যেতেই পারেন। পরিবহন ব্যবস্থা বেশ ভালো। ভুবনেশ্বর থেকে ভালো বাস সার্ভিস রয়েছে।
অর্ক আর দিয়াকে এই অপরূপ অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছিল তাদের বন্ধু। আপনারা নিজেরাই নিজেদের এই উপহার দিতে আজই পরিকল্পনা করে ফেলুন। আপনার আগামী ছুটির ঠিকানা হোক ঐতিহ্য ও প্রাচীনতার গন্ধ মাখা বিশাখাপত্তনম।