কলকাতায় ‘বর্ন টু ডান্স ডান্সার’স প্যারাডাইস’ গ্র্যান্ড ফিনালে
কলকাতার ধন ধান্য অডিটোরিয়ামে সম্প্রতি হয়ে গেল ‘বর্ন টু ডান্স ডান্সার’স প্যারাডাইস’ গ্র্যান্ড ফিনালে। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই প্রতিযোগিতার বিচারকরা ছিলেন প্রখ্যাত বলিউড কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইস, ডিআইডি ফেম সৌরভ বাঙ্গানি ও বিবেক জয়সওয়াল। জমকালো এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা, অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য, সেলিব্রিটি পারফর্মার ও ডিআইডি ফেম কমলেশ প্যাটেল, আর জে প্রবীণ সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সংবাদ মাধ্যমকে সৌরভ এবং বিবেক জানান, “যেভাবে ‘বর্ন টু ডান্স ডান্সার’স প্যারাডাইস’ ফাইনাল পর্ব অবধি পৌঁছেছে, তা অভাবনীয়। নাচের দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত প্রতিভা খুঁজে বের করার জন্য প্রতিটি রাউন্ডের সাথে সম্পূর্ণ শো-টি খুব কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং পদ্ধতিতে ফিল্টার করা হয়েছিল। এরই পাশাপাশি প্রতিযোগিতার স্তরগুলি এত বেশি হওয়ায়, আমাদের পক্ষে বিচার করার কাজটিও খুব কঠিন ছিল। আমরা চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নসকে একটি চমকপ্রদ ট্রফি সহ নগদ ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিয়েছি।”
ওঁরা এও বলেন, “যেহেতু আমরা অনেক রিয়েলিটি শো-এর অংশীদার হয়েছি, তাই আমরা এই বিষয়টিতে কী কী অসুবিধা থাকতে পারে বুঝতে পারি। সেই কারণেই আমরা ‘বর্ন টু ডান্স ডান্সার’স প্যারাডাইস’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ একটি নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং রিয়েলিটি শো-এ অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের দ্বারা প্রস্তুত ও প্রশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে। এই ইভেন্টের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা এবং তাতে যোগ্য নৃত্যশিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরা। তাই আমরা ৫০০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রেখেছিলাম।”
‘বর্ন টু ডান্স ডান্সার’স প্যারাডাইস’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে টেরেন্স লুইস বলেছেন, “এই ইভেন্ট হলো সৌরভ এবং বিবেকের ব্রেন চাইল্ড। ওরা নিজেরা ডিআইডি ডাবলস ফাইনালিস্ট এবং পাশাপাশি অনেক রিয়েলিটি শো-এ অংশ নিয়েছে ও অনেকগুলিতে বিজয়ীও হয়। এই ইভেন্টের একমাত্র উদ্দেশ্য হল বিশ্বস্তরের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য নৃত্যশিল্পীদের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে তাদের প্রতিভা প্রকাশ করা। ‘বর্ন টু ডান্স ডান্সার’স প্যারাডাইস’ শুধুমাত্র ভবিষ্যত নৃত্যশিল্পীদেরই খুঁজে বের করল না, এই প্রতিযোগিতা তাদের কেরিয়ারের শুরুতে একটি সত্যিকারের ব্রেক দিলো।”