কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে অপরূপ সাংসের
দিন যাপনের একঘেয়েমি আর ক্লান্তি দূর করতে পর্যটনের বিকল্প নেই। চার দেওয়ালের গন্ডি ছাড়িয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঝোলা কাঁধে সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই কলম। লিখেছেন অজন্তা সিনহা।
সময়টা জানুয়ারির মাঝামাঝি। এসেছি কালিম্পং থেকে প্রায় ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তিস্তার বিস্তৃত অববাহিকায় অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম সাংসের-এ। যেন পাহাড়ী মায়ের আঁচলে লুকোনো এক সরল শিশু। আছে কি নেই বোঝা যায় না। কিন্তু কাছে গেলে হৃদয় স্পর্শ করে। উচ্চতা মোটামুটি ৪০০০ ফুট। বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া। এই অঞ্চলের খাসমহলগুলি যেমন হয়, এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছোট ছোট গ্রাম। অতি সাধারণ জীবনযাপন। শুধু প্রকৃতির অনাবিল সম্ভারে হয়ে ওঠে যেন রূপকথার দেশ।
এই মুহূর্তে শুকনো আবহাওয়ায় তৃষ্ণার্ত তিস্তা। একটু আগেই মেঘেদের বিরাট একটা দল এসে তিস্তার ঠিক ওপরে জমাট বেঁধেছে। নিচে বহতা তিস্তা যেন অপেক্ষায় কখন সেই ধূসর মেঘের দল আর একটু ঘন হয়ে জল ঢালবে তার বুকে। তিস্তার ওপারে যতদূর চোখ যায় সারি সারি পাহাড়। উঁচুনিচু ঢেউয়ের মতো বিন্যস্ত তারা, কিছু বাংলার, কিছু সিকিমের। উপত্যকা জুড়ে সবুজের দুর্নিবার উৎসব-আয়োজন। হোমস্টে-র ব্যালকনিতে বসে দেখছি প্রকৃতির ক্যানভাসে আঁকা এক রূপকথার ছবি। চরাচর জুড়ে তখন আসন্ন সন্ধ্যার আবাহন। এই ব্যালকনি থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনও মেলে। তবে, তার কথা পরে।
এক জেলা থেকে আর এক জেলা, এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়, মাঝে নদী, বাজার, জনপদ। আগের রাতে থেকেছি তুরুক গ্রামে। সকাল হতেই যাত্রা শুরু। সিটংয়ের ইয়াং নদীকে পিছনে ফেলে আসার বেশ কিছুটা পর পেলাম রেলি খোলা (নদী)। তারপর তিস্তা বাজার। এখানেও এক প্রাচীন ব্রিজ, যার নিচ দিয়ে বহতা তিস্তা, উত্তরবঙ্গের রানী। তিস্তা পার হয়ে কালিম্পং শহরে প্রবেশ। যাঁরা শিলিগুড়ি থেকে আসবেন, তাঁরা কালিম্পং পর্যন্ত সচরাচর যেভাবে আসার পথ, সেভাবেই এসে সাংসেরের পথ ধরবেন। কালিম্পং শহরকে পাশে রেখে যেতে হবে দেলো-গামী রাস্তায়। এই রাস্তায় কিছুটা যাওয়ার পরই একটি অপেক্ষাকৃত ছোট রাস্তা উঠে গেছে চড়াই-মুখী। সাংসের পড়বে এই পথেই।
সাংসেরে ঢোকার মুখে প্রথমেই চোখে পড়ে এক প্রাচীন ব্রিটিশ বাংলো, নাম সাংসের সিনকোনা প্ল্যান্টেশন কোঠি। এই অঞ্চলটি সিনকোনা চাষের জন্য ইতিহাস বিখ্যাত। ব্রিটিশ আমলে সাহেবদের ব্যবহৃত এই বাংলো বিশেষ দর্শনীয়। প্রাচীন ব্রিটিশ স্থাপত্য এর শরীর জুড়ে। চারপাশে ফুলের বাগান। পরিবেশ শান্ত ও মনোরম। দেখভালে যত্ন চোখে পড়ে। ছুটির দিন বলে অন্দরে প্রবেশ সম্ভব হয়নি। আক্ষেপ নেই। বাইরেটাও ফুল আর প্রজাপতির মেলবন্ধনে ভারি সুন্দর।
লাঞ্চের রেডি। বেশ খাড়া পাথরের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে ডাইনিং। আমার খাবার ব্যবস্থা ওপরেই হলো। একটি কিশোর আমার জন্য নিয়ে এল খাবার প্লেট ও অন্যান্য সরঞ্জাম। ভাত, ডাল, বাঁধাকপির তরকারি, আচার, ভাজি আর চিকেন সহযোগে জমে গেল পেটপুজো। হালকা সুস্বাদু রান্না, সঙ্গে ওই কিশোরের মিষ্টি ব্যবহার। তৃপ্তির পাত্র পূর্ণ হলো স্বভাবতই। সাংসের-এর এই হিল ভিউ হোমস্টে চালাচ্ছেন কলকাতার এক বাঙালি দম্পতি গ্রামেরই তরুণ বীরু ভাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে। লাঞ্চের পর হোমস্টে ও গ্রাম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিলাম বীরুর স্ত্রী পেমার কাছ থেকে।
মোটামুটি ৫৫/৬০ ঘর মানুষের বাস এখানে । জীবিকা মূলত চাষবাস। সিনকোনা চাষের জন্য বিখ্যাত, আগেই বলেছি। এছাড়া কমলালেবুর বাগানও আছে। যদিও ইদানীং দুটি ক্ষেত্রেই বেশ কিছুটা মন্দা। কিছুটা পুষিয়ে দেয় আদা ও ভুট্টার ফলন। শাকসবজির মধ্যে রাই শাক, স্কোয়াশ, আলু, কপি, বিন, মটরশুঁটি, শসা, ব্রকোলি হয়। ঘরের সামনেই ছোট্ট এক চালা, তার নিচে বাঁশের তক্তা বানিয়ে সেখানে টবে দিব্যি ব্রকোলি, কপি চাষ করছেন ওঁরা। আছে বিভিন্ন শাক। আর বাড়ির চতুর্দিকেই ফুল গাছ, মূলত টবে, কিছু মাটিতে। এসবের বাইরে হলো ফুলঝাড়ু গাছ। ফুলঝাড়ু বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন বহু মানুষ। প্রায় সবারই বাড়িতে গরু, ছাগল বা মুরগি আছে। তাতেও কিছুটা ভরণপোষণ চলে। পেশার দিক থেকে ড্রাইভিং-এ আগ্রহী তরুণরা। পর্যটন ব্যবসাতেও আছেন কেউ কেউ। কয়েকটি হোমস্টে আছে। পাহাড়ের সর্বত্র এই দুটি অতি জরুরি দিক আজও কতটা অবহেলিত, তা উত্তরবঙ্গে আগত বেশিরভাগ মানুষই জানেন। অল্পে সন্তুষ্ট মানুষগুলোর দিনযাপন কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই। চাহিদা অতি কম। তবু, তা পূরণ হয় কই ? গ্রামে আরও প্রাইমারি ও হাইস্কুল দরকার। এখন যা আছে, তা লোকসংখ্যা বিচারে যথেষ্ট নয়। একটি মাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তাও পরিষেবা যথাযথ নয়।
শীতে ভালোই ঠান্ডা পড়ে এখানে। যদিও আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই সময়েই দৃশ্যমান কাঞ্চনজঙ্ঘা। সে রূপ নাকি অনির্বচনীয়। তবে, আমার সঙ্গে আড়িই চলে তার। এ যাত্রায়ও তিনি মুখ ফিরিয়েই রইলেন। নির্জনতা এখনও এই গ্রামের শরীর জুড়ে। দু’টো দিন নির্ভেজাল শান্তিতে কাটানোর জন্য দারুন উপযোগী। শীতে গাঁদা, চাইনিজ রোজ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য মন ভরায়। মার্চ-এপ্রিলে আবার সেই সময়ের ফুল। আছে অর্কিডের বৈচিত্র্য। পাখি আর প্রজাপতিদেরও দেখা মেলে। পাশেই জঙ্গল। তাই বুনো জন্তুদের সঙ্গে মোলাকাত হতেই পারে। এই অঞ্চলে বরাবরই বেশ সক্রিয় লেপার্ড। এছাড়া হরিণ আর ময়ূরও চোখে পড়ে বলে জানা গেল।
কাছেই একটা ঝর্না আছে। বর্ষায় তার রূপ খোলে। এখন কিছুটা স্তিমিত। এমনিতে শুধু গ্রামের পথে হেঁটে বেড়ালেই মন ভালো হয়ে যায়। সাইট সিয়িংয়ে যেতে পারেন মুনসুং-এর জলসা বাংলো, দেলো, কালিম্পং-এর মরগ্যান হাউস, দুরপিন মনাস্ট্রি, হনুমান টপ, লর্ড বুদ্ধ স্ট্যাচু, ডঃ গ্রাহামস হোম, পাইন ভিউ নার্সারি। এছাড়া, সিলেরি গাঁও, ইচ্ছে গাঁও, পেডং, লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, চারকোল, বারমিয়াক, রামধুরা, নেওরা ন্যাশনাল পার্ক ইত্যাদিও ঘুরে আসতে পারেন চাইলে।
হোমস্টে-র থাকা-খাওয়ার খরচ ১২০০ টাকা দিন-প্রতি জন-প্রতি। পাবেন ভাত, রুটি, ডাল, সবজি, ভাজি, চিকেন, ডিম। এছাড়া ব্রেকফাস্ট ও স্ন্যাকস-এ থাকে পুরি-সবজি, রুটি-সবজি, ব্রেড-অমলেট/পোচ, ওয়াইওয়াই, চাওমিন, মোমো, পকোড়া। চা-কফি দিনে বার তিনেক মেলে। গিজার, রুম হিটার ও Wifi এর সুবিধা আছে। শিলিগুড়ি থেকে সাংসের গাড়ি রিজার্ভ করে এলে সময় লাগে সওয়া তিন ঘন্টা, ভাড়া ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং শেয়ারে ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা। কালিম্পং পর্যন্ত শেয়ারে এসে সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে আসা যায়। এর ভাড়া ৬০০/৭০০ টাকা। সময় লাগে ৪৫ মিনিট। গাড়িভাড়া একটু বেশি হতে পারে। আমি গেছি বছর দুয়েক আগে। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় সারাদিন কালিম্পং আসার শেয়ার গাড়ি মেলে। কালিম্পং থেকে সাংসের-এর গাড়ি ২টো-২.৩০টে পর্যন্ত পাবেন। সাংসের থেকে কালিম্পং যাওয়ার গাড়ি পাবেন সকল ৮টা থেকে। ৫/৬টি গাড়ি চলে। হোমস্টে থেকেই ব্যবস্থা করে দেন ওঁরা। আগাম জানিয়ে রাখতে হয়। আপনার আগামী ছুটির ডেস্টিনেশন যদি সাংসের হয়, তাহলে এখনই যোগাযোগ করুন বুকিংয়ের জন্য।
ফোন : 7980681264, 7278803993, 7003252526, 9433703990
★★ যখনই বেড়াতে যাবেন (নিয়মিত বিভাগ)
🌈 প্যাকিং ফান্ডা
🔺কি কি নিয়ে যাবেন তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন চটপট। এটা বেশ কয়েকদিন আগেই করুন। এতে জরুরি ও প্রয়োজনীয় জিনিস ভুলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
🔺ব্যক্তিগত জরুরি জিনিস, টাকাপয়সা, ট্রেন বা ফ্লাইটের টিকিট, হোটেলের বুকিং স্লিপ ইত্যাদি এমন জায়গায় রাখুন যা হাতের কাছে থাকবে অথচ বিশেষ যত্ন-খেয়ালও রাখা যাবে। ক্যামেরা, ল্যাপটপ ব্যাগের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য।
🔺 ফার্স্ট এড বক্স, সাধারণ জরুরি ওষুধ এবং আপনি নিয়মিত যে ওষুধ খান তা যথাযথ পরিমানে সঙ্গে রাখুন।
🔺 টর্চ-মোম-দেশলাই অবশ্যই রাখতে হবে।
🔺সানগ্লাস, ছাতা ও বর্ষাতি রাখতে পারলে ভালো।
🔺ভাঁজ নয় জামাকাপড় ফোল্ড করে প্যাক করলে কম জায়গায় বেশি পোশাক আঁটবে। আর জামাকাপড়ের ভাঁজও নষ্ট হবে না।
🔺জামাকাপড়-জুতো ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিন কোথায় যাচ্ছেন, সেই অনুসারে। যেমন, পাহাড়-জঙ্গল-সি বিচ যেখানে, সেখানে হিলতোলা জুতো নয়, স্পোর্টস শু জাতীয় হলে ভালো। আর পোশাকও প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। প্রসাধনী ও রূপচর্চার উপকরণও যেটা না হলে নয়, ততটুকুই। মনে রাখুন, বোঝা বাড়ালে পথে চলাফেরায় কষ্ট। শীতের জায়গায় যথেষ্ট শীতপোশাক রাখুন সঙ্গে।
🔺গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে সঙ্গে রাখুন কিছু শুকনো খাবার, টি ব্যাগ, কফি পাউডার, গরমজল করার ইলেকট্রিক কেটলি, কাগজের কাপ ও প্লেট, টিস্যু পেপার।
🌈 যাওয়ার আগে কি কি করবেন
◾যথাসম্ভব জায়গাটা সম্পর্কে আগাম খোঁজখবর নিয়ে নিন। স্পটে গিয়ে কি কি দেখবেন, কিভাবে সময় কাটাবেন, তার একটা ধারণা থাকলে সুবিধা হবে আপনার। বাজেট করা ও প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রেও এটা জরুরি।
◾জেনে নিন, কাছাকাছি এটিএম, প্রয়োজনে ডাক্তারের ব্যবস্থা আছে কিনা। না থাকলে সেই অনুসারে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
◾চেষ্টা করবেন থাকা-খাওয়া-যাতায়াত-সাইট সিয়িং-শপিং ইত্যাদি খরচাপাতির জন্য একটা নির্দিষ্ট বাজেট করে নেওয়ার।
◾বেড়াতে গিয়ে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, তার জন্য আগে থাকতেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
🌈 আগাম বুকিং এবং
এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত দিক। যাঁরা হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়েন, দল বেঁধে বা একা এবং বুকিংয়ের তোয়াক্কা করেন না, তাঁদের জন্য এই বিভাগ নয়। যাঁরা কিছুটা নির্ঝঞ্ঝাট বেড়ানো পছন্দ করেন, পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাঁরা সচরাচর এডভান্স বুকিং না করে যান না। আমি নিজেও সেভাবেই সারা জীবন ঘুরেছি। এই বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই এজেন্ট, পাহাড়ের ক্ষেত্রে হোমস্টে মালিক এবং সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে পর্যটকদের নানা বিষয়ে অশান্তির কথা শোনা যায়। এক্ষেত্রে যে সাবধানতা গুলি অবলম্বন করা যেতে পারে—
■ এজেন্ট সম্পর্কে ভালো করে আগে খোঁজ নিন
■পাহাড়ের হোমস্টে মালিকরা এমনিতে সৎ। কিন্তু ততটা পেশাদার এখনও নয়। কথাবার্তা, আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও ওদের কিছুটা সমস্যা আছে। ওদের ক্ষেত্রে বার বার জিজ্ঞেস করে, ভাষার কোনও সমস্যা থাকলে, সেটা কাটিয়ে উঠে, নিজের চাহিদা পূরণের ব্যাপারটা আগে থেকে বুঝে নিন।
■ কোনও কারণে বেড়াতে যাওয়া ক্যান্সেল হলে এডভান্স বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হয় না, এটাই নিয়ম। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার টাকা গচ্ছিত থাকবে ওই এজেন্ট, হোমস্টে মালিকের কাছে এডভান্স হিসেবেই। সেই সময়ের মধ্যে আপনি যেতে পারবেন সেখানে। এই বিষয়টিও বুকিংয়ের সময় পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।
🌈 কি করবেন
◾মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। যেখানে গেছেন, সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে যত বেশি মানিয়ে চলবেন, তত মজা-খুশি-আনন্দ অনন্য প্রাপ্তি হয়ে ধরা দেবে আপনার অভিজ্ঞতায়।
◾যথাসম্ভব পায়ে হেঁটে ঘুরুন। এতে জায়গাটির সত্যিকারের এসেন্সটা পাবেন।
◾জেনে নিন এলাকার মানুষের জীবন, তাদের শিল্প-সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও ইতিহাস।
🌈 কি করবেন না
◾যত্রতত্র প্লাস্টিক, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
◾লক্ষ্য রাখুন আপনার আনন্দ-উল্লাস যেন অপরের বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।