কী ঘটবে দুয়ার ভাগ্যে ?
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। এবারে জি টিভির ধারাবাহিক ‘রব সে হ্যায় দুয়া’ নিয়ে লিখেছেন মৃণালিনী ঠাকুর।
দাদিকে মেরে ফেলার চেষ্টা সফল হয়নি। তবু হাল ছাড়ে না গজল। আখতার পরিবারের প্রতি প্রতিশোধের অটুট সংকল্প নিয়ে নতুন পরিকল্পনায় মেতে ওঠে সে। হায়দর এবং দুয়ার জীবনে বিষ ঢালতে গজলের চেষ্টা বুঝতে পেরেই দাদি চেষ্টা করেছিলেন রুহানের সঙ্গে গজলের বিয়েটা যেন না হয়। কিন্তু গুলনাজের কথায় ভুলে হিনা মত দেয় এই বিয়েতে ! গজলের আসল লক্ষ্য হায়দরকে বিয়ে করা। আপাতত সে রুহানের প্রেমিকা হিসেবে আখতার পরিবারে জায়গা করে নিয়েছে। রুহান জানে না তার উদ্দেশ্য। আদতে একদিন গুলনাজ আর গজলের কথোপকথন শুনে ফেলেছিলেন দাদি। তাদের ষড়যন্ত্র নূরের ফোনে রেকর্ড করেছিলেন তিনি। প্রমাণ লোপাট করতেই গজল দাদিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সিঁড়িতে এবং দাদি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন।
দুয়া ফোনের ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কথা জানতে পেরে নূরের ফোন নিজের কাছে নিয়ে, ভিডিও রেকর্ডিং খোঁজার চেষ্টা করে। গজলের কথায় নূর ভুল বোঝে দুয়াকে। পরে ফোনের সেই রেকর্ডও মুছে ফেলে গজল। অন্যদিকে দুয়া দাদির জন্য প্রার্থনা করে। ডাক্তারের কথায়, দাদির এখন দিবারাত্র যত্ন ও পরিচর্যার দরকার। দুয়া বলে, সে দাদির সেবা করবে। এরই পাশাপাশি, দাদির এই অবস্থার জন্য কে দায়ী, তারও তালাশ করতে থাকে দুয়া। গজলের প্রতি তার সন্দেহ তীব্র হয়। গুলনাজ মনে মনে ভাবে গজল আর একবার পার পেয়ে গেল। তার এটাও মনে হয়, সে কী গজলের সঙ্গে থেকে ঠিক করছে ? শাশুড়িকে আক্রমণের সময় কেন গজলকে আটকালো না সে ! এদিকে এক রাতে গজলের ঘরে ঢোকে এক মুখোশ পরা আততায়ী ! কে এই মুখোশধারী ? দুয়াও শব্দ শুনে সচকিত হয়। কিছু একটা সন্দেহ কুরে কুরে খায় তাকে। আখতার পরিবারে গজলের উপস্থিতির আসল কারণ কী প্রকাশ পাবে ? কী আছে হায়দর আর দুয়ার আগামী জীবনে ? গজল কী তাদের শান্তিতে থাকতে দেবে ?
আখতার পরিবারে অশান্তির কালো মেঘ সেদিনই প্রবেশ করে, যেদিন প্রথম স্ত্রী হিনা বর্তমান থাকা সত্বেও গুলনাজকে বিয়ে করে রাহাত। আগুনে ঘি ঢালে গজলের প্রতিশোধস্পৃহা। সে তার মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর। অজ্ঞাতেই হিনাকে মনে মনে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সে। এদিকে আজ থেকে ২২ বছর আগের সেই ঘটনা, গজলের বাবা-মা সাকিব ও জিনাতের করুন পরিনতি ভোলেনি হিনা। তারই কারণে এক চরম ভুল বোঝাবুঝির জন্য মারা যায় জিনাত। গজল তখন মাত্র একমাসের এক শিশু। সেইদিন, সেই একই ঘটনার পটভূমিতে হায়দরের প্রাণ বাঁচায় সাকিব। হায়দর তখন আট বছরের এক বালক। বহু বছর পর ভাগ্যের পরিহাসে হায়দর ও গজল মুখোমুখি। আজ হায়দরের প্রতি গজলের একতরফা অবুঝ প্রেম। হায়দর দুয়াকে চক্ষে হারায়। ঈর্ষার আগুন পুড়িয়ে মারে গজলকে। সেই আগুনে কী গোটা আখতার পরিবার ছারখার হয়ে যাবে? বলা বাহুল্য, গুলনাজও হিনার প্রতি ঈর্ষার বশেই গজলের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যোগ দেয়।
মুখ্য তিন ভূমিকায় অভিনয় করছেন অদিতি শর্মা (দুয়া), করণবীর শর্মা (হায়দর) ও রিচা রাঠোর (গজল)। হায়দরের মা হিনার ভূমিকায় অভিনয় করছেন নিশিগন্ধা ওয়াদ। মেলানি নাজারেথ অভিনয় করছেন হায়দরের সৎ মা গুলনাজের চরিত্রে। প্রসঙ্গত, একদা গুলনাজকে বিয়ে করার কারণে বাবা রাহাত আখতারের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা হারায় হায়দর। মা হিনার কষ্ট সেদিন ব্যথিত করেছিল হায়দরকেও। প্রশ্ন, তার জীবনেও কী ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ? সন্দীপ রাজোরা আছেন রাহাতের চরিত্রে। রাহাতের মা, হায়দরের দাদির ভূমিকায় অভিনয় করছেন শীলা শর্মা। গুলনাজের ছেলে-মেয়ে রুহান ও নূরের চরিত্রে অভিনয় করছেন যথাক্রমে অঙ্কিত রায়জাদা ও সিমরান উপাধ্যায়। রাহাত ও হিনার মেয়ে, হায়দরের বোন কায়নাতের ভূমিকায় অভিনয় করছেন সারভি ওমানা। ঈর্ষা, প্রতিশোধ, ষড়যন্ত্র এবং আখতার পরিবারের মানুষগুলির অন্তর্নিহিত সম্পর্ক নিয়ে পর্বে পর্বে এগিয়ে চলেছে জি টিভির ধারাবাহিক ‘রব সে হ্যায় দুয়া’, প্রতি সোম থেকে শুক্র রাত ১০টায়।