Tuesday, May 13, 2025
ফিটফাট

চিরবসন্ত ‘ঋতু’রহস্য

এই কলমে থাকছে বলিউড ও টলিউড তারকাদের ফিটনেস মন্ত্র। লিখছেন মণিদীপা কর। প্রতিমাসে পনের দিন অন্তর প্রকাশিত হচ্ছে এই কলম।

মেয়েদের নাকি বয়স জিজ্ঞাসা করতে নেই। মেয়েরা নাকি কুড়ি পেরোলেই বুড়ি। এমনই হাজারও প্রবাদকে যাঁরা ভুল প্রমাণ করতে পারেন, নিঃসন্দেহে তাঁদের অন্যতম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পঞ্চাশটি বসন্ত পেরিয়েও তিনি চিরসবুজ। ট্র্যাপিজের খেলায় নির্ভুলভাবে সামলে চলেছেন সংসার, সন্তান, কেরিয়ার।

শুধু শীর্ষে পৌঁছনো নয়, সাফল্যকে ধরে রাখার গুপ্তমন্ত্র তিনি আয়ত্ত করেছেন।

কী সেই মন্ত্র?

না, একটা নয়। ঋতুপর্ণার ফিটনেসের তিনটি মন্ত্র। সেই তিনটি মন্ত্র হল–ব্যালেন্স ডায়েট, ওয়ার্কআউট ও নিয়মানুবর্তীতা।

Img 20221230 Wa00662
চিরবসন্ত ‘ঋতু’রহস্য 4

◆ ঋতুর পাতে…

সকাল থেকে রাত, খাবারের বিষয়ে চূড়ান্ত সংযমী ও সচেতন ঋতু। তাই স্বল্পাহারী হলেও ব্যালেন্স ডায়েটের ক্ষেত্রে কোনও আপোশ করেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩-৪ গ্লাস হালকা গরম জল খেয়ে দিন শুরু করেন। তারপর একটা সেদ্ধ ডিম ও ফল। এর কিছুক্ষণ পর সিরিয়াল ও ওটমিল দিয়ে সকালের জলখাবার সারেন।

দুপুরে খাবার থালায় ভাতের বদলে থাকে গ্রিলড সবজি, শাক ও স্যালাড। রাতেও ভাতে ‘না’। ডাল, রুটি, সবজি দিয়ে ডিনার সারেন। এছাড়াও দিনের বিভিন্ন সময় ফল, ফলের রস, দই খান। 

গরমের দিনে শরীরে জলের পরিমাণ, বিশেষ করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে ডাবের জল, ফলের রস, জলজিরা বা নুন-চিনির সরবত খান তিনি।

Img 20221230 Wa0064
চিরবসন্ত ‘ঋতু’রহস্য 5

◆ যোগে মনযোগ…

সারাদিনে কর্মব্যস্ততা যতই থাকুক, নিয়ম করে জিমে যেতে তাঁর কোনও ভুল হয় না। হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ট্রেডমিল করার পাশাপাশি যোগাও করেন। তাঁর কথায়, নিয়মিত যোগাসনে তিনি রিল্যাক্সড থাকতে পারেন। সেই সঙ্গে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়।

◆ চলো, নিয়ম মেনে…

বয়স তাঁর কাছে নেহাতই একটা সংখ্যা মাত্র। অভিনয় ক্ষেত্রে যেমন একের পর এক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছেন, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনে সব ভূমিকায় তিনি সফল। আর এই সাফল্য এসেছে নিয়মানুবর্তীতার হাত ধরে। অভিনয়, মডেলিং, পার্টি, সোশ্যাল মিডিয়া–যাই করুন না কেন, সবই নিয়ম মেনে। রাতে বাড়ি ফিরতে যত রাতই হোক, মেকআপ তুলে নিয়মিত চুল ও চোখের নিচে ম্যাসাজ নিতে ভোলেন না। তাঁর নিয়মের ছন্দে চলা জীবন যে কোনও বয়সের মহিলাদের পথ দেখাবে।

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

ছবি ঋণ : নির্মল চক্রবর্তী