ঠিক বলেছেন অনির্বাণ
প্রথমত, ছবিটাই সম্পূর্ণভাবে পাতে দেওয়ার অযোগ্য। আনিস বাজমির ‘ভুল ভুলাইয়া ২’, প্রিয়দর্শনের ‘ভুল ভুলাইয়া’-র ধারেকাছে যেতে পারবে না, এটা জানাই ছিল। দেখা গেল প্রত্যাশা মতোই সেটি একটি ‘মেস’-এ পরিনত! সে ছবি হিট বলে যতই নাচানাচি হোক, প্রকৃত সিনেমা সমালোচক একে দশে দুইয়ের বেশি দিতে পারবে না। এবার অনির্বাণের বক্তব্য প্রসঙ্গ–কার্তিক আরিয়ানের বাংলা উচ্চারণের নিন্দা করেছেন তিনি। বস্তুত, পুরো ছবিতেই বাংলা ভাষার শ্রাদ্ধ করা হয়েছে। কালী প্রসাদ মুখার্জি ছাড়া প্রত্যেকেই বাংলা সংলাপ বলার ক্ষেত্রে দশে শূণ্য পাবেন। দোষ কিন্তু অভিনেতাদের নয়। দোষ পরিচালকের। বলা ভালো পরিচালকদের। মুম্বইয়ে সিনেমা ও সিরিয়ালে প্রাদেশিক ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই অত্যন্ত অযত্ন, অবহেলা, অশিক্ষা নজরে পড়ে। এটা নিয়ে বাঙালি অভিনেতাদের হেলদোল দেখা যায় না কখনও তেমন। বাংলা সংবাদ মাধ্যমও নির্বিচারে মেনে নেয়। অনির্বাণ প্রতিবাদ করেছেন, তার জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই। আর তাঁর এই প্রতিবাদের বিপক্ষে কার্তিক আরিয়ান ভক্তরা কী করলেন, সেটা বাংলা সংবাদ মাধ্যমই যখন বড় করে খবর করে, তখন আর একবার নিজেদের দৈন্যতা দেখে লজ্জায় মরি। কোথায় তাঁরা অনির্বাণকে সমর্থন করবেন, তা নয়, আরিয়ান ভজন করছেন। আর নেটিজেনদের পক্ষেও এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না, একজন অবাঙালি অভিনেতা বাংলা বলছেন, তাই, যা খুশি চলবে ! মনে রাখা দরকার চরিত্রটা বাঙালি। সোস্যাল মিডিয়ায় দৌলতে সবাই কথা বলার অধিকার পেয়ে গেছে, সমস্যা এটাই।