তারকাদের গান-সংবাদ
কলকাতা ও মুম্বই সিনেমা জগতের তারকাদের গান গাওয়ার বিষয়টা নতুন কোনও ঘটনা নয়। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ গান গাইতে জানেন, কেউ চলনসই। তবে, তারকা বলে কথা ! তাঁরা যেটাই করুন, আম জনতা সেটা গ্রহণ করেন ভালোবেসে। এর মধ্যে আরেকটি ব্যাপার রয়েছে। তারকাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এক্ষেত্রে প্রথম নামটা অবশ্যই অমিতাভ বচ্চন। তাঁর ‘রঙ বরষে ভিগে… ‘ তো বাম্পার হিট ! আছে আরও অনেক উদাহরণ। সেখান থেকে একটার কথা বলতেই হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে… ‘, সুজয় ঘোষ পরিচালিত ‘কাহানি’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের গাওয়া এই গান একেবারে ভিন্ন মাত্রায় শ্রোতাকে আবিষ্ট করে।
উল্টোদিকে রেখাজি বেশ ভালো গাইলেও আমরা তাঁকে প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ে পাইনি। একবার কপিল শর্মার শোয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে, রীতিমতো হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান শোনান তিনি। দর্শক-শ্রোতা একেবারে চমৎকৃত ! আমাদের মহাগুরু উত্তমকুমার তো একজন একনিষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে রীতিমতো জলসায় অংশগ্রহণ করতেন। গানের রেকর্ড আছে প্রবীণ অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়েরও। বহু বছর আগের কথা, সেবার এইচএমভি-র পুজোর গানের তালিকায় ছিল হেমা মালিনী গীত গান। প্রচেষ্টা মন্দ ছিল না, এটা বলা যায়। দক্ষিণী অভিনেতারা সহজাত ভাবেই বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে। নাচ-গান শেখা বা চর্চার ব্যাপারটা ওঁদের যাপনের অঙ্গ।
এমনিতে বলিউডে শাহরুখ, সলমন, আমির–প্রত্যেকেই প্লেব্যাকে অংশ নিয়েছেন। প্লেব্যাক গেয়েছেন জুহি চাওলা। শোনা যায়, মাধুরী দীক্ষিতও গান গাইতে পারেন। আলিয়া ভাট এতটাই ভালো গান করেন যে, তাঁর গান বিপুলহারে ভাইরাল হয়েছে বলে খবর। আমাদের রূপা গঙ্গোপাধ্যায় একটি ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে পুরস্কার পুরে নেন নিজের ঝুলিতে। তিনি অবশ্য যথেষ্ট ভালো গান করেন। পরমব্রত, যীশু, অনির্বাণ সকলেই গান জানেন ও করেন সুযোগ পেলেই। যাঁকে কেন্দ্র করে এত কথা, তিনি অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী। এবার তিনিও চলে এলেন প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ে। প্রথাগত সঙ্গীত শিক্ষা না থাকলেও গান গাইতে ভালোবাসেন তিনি। বিশেষত, রবীন্দ্রসঙ্গীত গার্গীর বড় প্রিয়। এছাড়া থিয়েটারের অভিজ্ঞতাও এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই সাহায্য করবে তাঁকে। সব মিলিয়ে, পুরোনো ও নতুন জমানার এই তারকাকুল অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও দিব্যি জমিয়ে রেখেছেন বিনোদন দুনিয়া।