Monday, February 3, 2025
৫ফোড়ন

না ফেরার দেশে ক্যালেন্ডার

৬৬ আর এমন কী এমন বয়স ! কিন্তু ওই যে, ডাক এলে, চলে যেতেই হয়। আগের দিনও চুটিয়ে হোলি খেলেছেন আপনজনদের সঙ্গে। তারপর হঠাৎই হৃদয় স্তব্ধ এবং…! অভিনেতা সতীশ কৌশিক ছিলেন বলিউডের ক্ষমতাশালী চরিত্রাভিনেতাদের অন্যতম। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা এবং ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া–দু’দুটি প্রথম সারির অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এই প্রাক্তনী সিনেমার পাশাপাশি মঞ্চেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক। আবার বহুমুখী প্রতিভার অধিকারীও ছিলেন। সতীশ ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্য লেখক। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও, তিনি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন ভারতীয় সিনেমাকে। হিন্দি ছবির দর্শক ভোলেনি, ভুলবে না তাদের প্রিয় ক্যালেন্ডারকে। ‘মিঃ ইন্ডিয়া’  ছবির এই চরিত্রটিতে সর্বস্তরের দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করেন সতীশ। পরবর্তীকালে অজস্র ছবিতে, মনে রাখা এক একটি কাজের স্বাক্ষর রেখে গেছেন এই অতুলনীয় অভিনেতা। পর্দার বাইরেও তিনি ছিলেন সদা হাস্যময় একজন মানুষ। একাধিকবার নিজের চেহারা নিয়েও কৌতুক করতে দেখা গেছে তাঁকে, এতটাই মজাদার ও রসিক ছিলেন সতীশ। প্রসঙ্গত, ‘মিঃ ইন্ডিয়া’-র ক্যালেন্ডার চরিত্রটি সতীশের নিজেরই ভাবনাপ্রসূত। ছবির পরিচালক বনি কাপুর শুরুতে সতীশকে তেমন হিসেবে না আনলেও, পরে তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হন। সতীশের চলে যাওয়ার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁর সহকর্মী ও বন্ধুরা। মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে দর্শকদেরও। আর সেটাই স্বাভাবিক ! তিনি যে অননুকরণীয় ছিলেন।