প্রকাশিত ‘কর্মযোগী জ্যোতিষচন্দ্র’
গত ১১ই ডিসেম্বর জ্যোতিষ চন্দ্র পাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, লিলুয়ার ভট্টনগরে অগ্রণী সমাজ হলে প্রকাশিত হলো জ্যোতিষ চন্দ্র পালের জীবনী ‘কর্মযোগী জ্যোতিষচন্দ্র’। এই উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রয়াত জ্যোতিষ চন্দ্র পাল ছিলেন একজন সৎ ও নিঃস্বার্থ সমাজসেবক। ১৯৫০ সাল থেকে তিনি ওই অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। তারপর থেকেই লিলুয়ার ভট্টনগরের প্রত্যন্ত গ্রামে তিনি একাধিক প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিস্থাপনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪২ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মা থেকে পায়ে হেঁটে ভারতে আগমন সহ তাঁর ঘটনাবহুল ব্যক্তিগত জীবন এবং বিবিধ সামাজিক কাজের বিবরণ তাঁর ‘কর্মযোগী জ্যোতিষচন্দ্র’ বইটিতে বর্ণিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশিস কুমার মন্ডল। রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ, বেলুড় মঠের সেক্রেটারি স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ বিশাল সমাবেশের সামনে বইটি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভট্টনগরের শ্রীশ্রী যোগেশ্বরী রামকৃষ্ণ মঠের সেক্রেটারি স্বামী বিমলানন্দ এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভাস্কর সেন।
জ্যোতিষ চন্দ্র পাল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি পাল উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের পাশাপাশি কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের মধ্যে কালীপদ সাহা, নারায়ণ সরকার, অদ্রিজ মাইতি, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখ জ্যোতিষ চন্দ্র পালের নানান কাজের কথা সম্পর্কে জানান। সভা পরিচালনা করেন আবীর ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থটির সংকলক রবীন্দ্রনাথ কর্মকার। শান্তনু পাল ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ‘কর্মযোগী জ্যোতিষচন্দ্র’ বইটি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সকলের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
নীচের ইউটিউব লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন অনুষ্ঠানের ঝলক।