Tuesday, May 13, 2025
৫ফোড়ন

প্রতিবাদী আরাধ্যা

তারকাদের নিয়ে আম জনতার মাতামাতি অতি চেনা ঘটনা। চিরাচরিতই বলা যায়। তাঁদের ব্যাক্তিগত জীবন, ওঠাবসা, সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে গসিপের ব্যাপারটাও নতুন কিছু নয়। কিন্তু ইদানীং তারকা সন্তানদের নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহ, কৌতুহল ও জল্পনার বিষয়টি শালীনতার সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ট্রোলিং চলছে দিবারাত্র। তার জন্য তারকারা নিজেরা যত না দায়ী, অনেকবেশি দায় একশ্রেণির মিডিয়া এবং অবশ্যই আপামর জনসাধারণের অতি সহজগম্য সোস্যাল মিডিয়া। সইফ-করিনার পুত্র তৈমুরকে নিয়ে এক সময় বাজার চূড়ান্ত গরম হয়ে উঠেছিল। পরে বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে, করিনা স্বয়ং তাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। শাহরুখের পুত্র-কন্যা, অজয়-কাজল দেবগন কন্যা প্রমুখকে নিয়েও বাড়াবাড়ি চলে। এই মুহূর্তে যাকে কেন্দ্র করে এই বিষয়টি আইন আদালতের পর্যায়ে চলে গেছে, সে হলো অভিষেক-ঐশ্বর্য কন্যা আরাধ্যা। বচ্চন খানদানের এই কন্যার শরীরস্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু ভুয়ো খবর ছড়ায় একটি ইউটিউব ট্যাবলয়েড। এরপর সেই ভুয়ো খবরের প্রচারকদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে আরাধ্যা স্বয়ং।

Images 1
প্রতিবাদী আরাধ্যা 3

গত ২০শে এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্টে মামলার প্রথম শুনানি হয়। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, শিগগিরই ইউটিউব থেকে সেই ভিডিওটি ডিলিট করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, আপাতত ওই চ্যানেলে কোনও ভিডিওই আপলোড করা যাবে না। এরই পাশাপাশি গুগলের কাছেও নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, কারা এই চ্যানেলের নেপথ্যে রয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আরাধ্যাকে নিয়ে যে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও বারবার তাকে ট্রোলের শিকার হতে হয়। এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে সরবও হয় আরাধ্যা। অনলাইনে প্রায়ই নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয় তাকে। আইন আদালত প্রশাসন তার নিজের জায়গায় যা করার তা করবে। তবে, এটা বোধহয় ভাবার সময় এসেছে, আমরা কী করছি ? রুচির নিম্নগামিতা তো বটেই। তারই সঙ্গে স্মার্ট ফোনের অপব্যবহারের মাধ্যমে অকারণ, অহেতুক সময় নষ্ট করছে একদল মানুষ। নিঃসন্দেহে সমাজের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব সুদূরপ্রসারী !!