মিউজিক হেরিটেজ
কথায় বলে, ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ ! শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে প্রাচীন ঐতিহ্য ও তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয় আধুনিক সময়ের যাত্রাপথ। পুরোনো দিনের গান, অ্যালবাম অনেকের কাছেই নস্টালজিয়া। তবে, ইদানীং অনেকাংশেই হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রাচীন ও মূল্যবান সম্ভার। এই আশঙ্কায় থাকা একনিষ্ঠ শ্রোতাদের জন্য এবার সুখবর। পুরোনো বাংলা গানের ঐতিহ্যের নতুন ঠিকানা ‘Music Heritage’। শুধু পুরোনো বাংলা গানই নয়, বাংলা গানের নানান ধারা নিয়েই চর্চা করার পরিকল্পনা রয়েছে মিউজিক হেরিটেজ-এর। শ্রীপঞ্চমীর প্রাকলগ্নে প্রকাশিত হতে চলেছে স্বর্ণযুগের এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের এক অনবদ্য উপস্থাপনা। নবরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে এই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল।
সমগ্র বিষয়টির ভাবনা বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক অমিত ব্যানার্জীর মস্তিস্কপ্রসূত। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দক্ষিণ কলকাতার ‘গান-বাজনা’ স্টুডিওতে গানগুলি রেকর্ড করা হয়েছে। একাধিক বিশিষ্ট ও প্রতিভাবান শিল্পীরা গানের রেকর্ডিং করেছেন। কখনও একক কন্ঠে, কখনো আবার সমবেত গান রেকর্ড করা হয়েছে। রেকর্ডিং এর দিন উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শ্রদ্ধেয় শ্রী অশোক দত্ত। মিউজিক হেরিটেজ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন তিনি। গানগুলির ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার ওটিটি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড।
রেকর্ডিং-এর সময় উপস্থিত ছিলেন বিধানসভা সাংসদ এবং পুরপ্রধান মাননীয় দেবাশীষ কুমার। এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। রেকর্ডিং চলাকালীন একই ফ্রেমে লেন্সবন্দী হয়েছেন মিউজিক কম্পোজার অমিত ব্যানার্জী এবং ওটিটির কর্ণধার সুদীপ বসু। ইতিমধ্যেই ফেসবুক পেজে একাধিক গানের পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে শ্রোতারা নস্টালজিয়ায় ভেসে যাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।
রইল মিউজিক হেরিটেজ চ্যানেল-এর লিংক