মির্চি শুননেওয়ালে না খুশ !!
একে একে নিভিছে দেউটি…কিছুটা কাব্যিক শোনালেও এটাই এখন রেডিও মির্চির অবস্থা। মীর মির্চি ছেড়ে দেওয়ার পর যে গেল গেল রব উঠেছিল, এবার কাতর মির্চি ভক্তদের আর একটু দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে মির্চি ছাড়লেন আর জে সোমক। সোমক অবশ্য নিছক একজন রেডিও জকি নন, অভিনেতা হিসেবেও তিনি পাল্লা দিয়েছেন তাঁর অগ্রণী মীর আফসার আলি ও আর জে দীপের সঙ্গে। সানডে সাসপেন্স থেকে ওএমজি–সোমকের অভিনেতা সত্তার পরিধি এখন বহুধা বিস্তৃত। বিশেষত, মির্চি ভক্তদের ননস্টপ হাসির রসদ যোগানে আর জে অগ্নি ও সোমকের মা-ছেলে বিত্তান্ত ‘ওএমজি–ও মাগো’-তে সোমক অতুলনীয়। তিনি অভিনয়ের ক্ষেত্রে কতদূর ক্ষমতাশালী, তার প্রমাণ এই সিটকম। এরইমধ্যে অবশ্য সোমকের পর্দায় অভিনয়ের অভিষেকও ঘটে গেছে। সেখানেও তিনি স্মার্ট, স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল। এহেন সোমক মির্চি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিজের ফেসবুক একাউন্টে ঘোষণা করা মাত্রই যে হইচই পড়ে যাবে, তাতে আর সন্দেহ কী !
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, একজন রেডিও জকি হিসেবে যা কিছু করার ছিল, সব অভিজ্ঞতাই হয়ে গিয়েছে তাঁর। নতুন কিছু শুরুর জন্যই নাকি মির্চি ছাড়লেন তিনি। তবে, সোমক যে কারণেই মির্চি ছাড়ুন, তাঁর বিশাল ভক্তকুল কিন্তু অভিযোগের আঙুল তুলেছে মির্চির দিকেই। তাঁদের বক্তব্য, পরপর এমন ঘটনা ঘটার পিছনে মির্চি কর্তৃপক্ষের নেতিবাচক ভূমিকার দিকটি অস্বীকার করা যায় না। প্রসঙ্গত, ভক্তরা মুসরে পড়লেও সোমক তাঁদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁরা সোমকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
কেরিয়ারের ক্ষেত্রে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্যই সোমকের মির্চি ছাড়ার সিদ্ধান্ত, সেটা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই বলা যায়, ইতিমধ্যেই নাকি দু’-তিনজন পরিচালকের সঙ্গে কাজের কথা হয়েছে তাঁর। কোন পরিচালক, ছবির নাম কী, সেসব এখনও জানা না গেলেও অভিনেতা সোমক ঘোষ যে পর্দা কাঁপাতে প্রস্তুত, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা জানি, ‘একেনবাবু’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি।
সবই তো হলো ! এইসব কাণ্ডে মির্চির বাজারে কী মন্দা পড়বে না ? আপাতত একা দীপ। অগ্নি আছেন। কিন্তু তিনি যে এখনও মীর, দীপ বা সোমকের পর্যায়ে পড়েন না, সেটা সকলেই জানেন। আপাতত মির্চি ভক্তদের পাখির চোখ দীপ কী করেন, সেইদিকে। তিনি মোটামুটি একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে। সানডে সাসপেন্স ইতিমধ্যেই তার একচ্ছত্র আধিপত্য হারিয়েছে। বেশ কিছু পডকাস্ট প্ল্যাটফর্ম শ্রোতার দরবারে হাজির নিজেদের উৎকর্ষ প্রযোজনা নিয়ে। অর্থাৎ প্রতিযোগিতা তীব্র। সমস্ত বোঝা প্রায় একার কাঁধে নিয়ে দীপ কতদূর মির্চির সহযাত্রী হন, সেটাই এখন দেখার।