রক্ষাকর্ত্রী হয়ে পাশে রয়েছেন মা কালী
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। রামপ্রসাদের সংসারে অশান্তির কালো ছায়া। স্টার জলসার নতুন মেগায় কোন টুইস্ট, দেখুন আগামী পর্বে। লিখেছেন সোমনাথ লাহা।
একজন মানুষ, যাঁর আকুতি শুধুমাত্র মা কালীকে খোঁজা। আর সেই খোঁজের মধ্য দিয়েই মুক্তিপথের সন্ধান করা। প্রায় তিনশো বছর আগে অষ্টাদশ শতকের এমনই এক হিন্দু শাক্ত কবি ছিলেন রামপ্রসাদ সেন। মা কালীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মা-কে নিয়ে গান বাঁধা, সুর করা, কবিতা লেখা। সবমিলিয়ে অন্তর থেকে শ্যামামায়ের প্রতি নিবিড় ভালোবাসা-আকুতির এই কাহিনি নিয়েই স্টার জলসায় চলছে মেগা ধারাবাহিক ‘রামপ্রসাদ’। মা-অন্ত প্রাণ রামপ্রসাদ যে সবসময় মা-কে দেখতে পেতেন তা নয়, তিনি মা-কে অনুভব করতে পারতেন। বিভিন্ন বিপদ থেকে মা তাঁকে রক্ষা করেছেন বহুবার। তাঁর স্ত্রী সর্বাণীও মা কালীকে বিশ্বাস করতেন। তাঁর চোখে মা কালী একজন সাধারণ মানুষ, দেবী নন। কারণ, মা তাঁকেও সাহায্য করেছেন। তবে, দেবীরূপে নয়, সাধারণ মানবী হয়ে।
এই মুহূর্তে রামপ্রসাদ ও সর্বাণীর সংসার জীবনের আখ্যানে ঘুরপাক খাচ্ছে মেগার কাহিনি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রতিনিয়ত অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন সর্বাণী। রামপ্রসাদ ও সর্বাণীর ফুলশয্যা আটকানোর জন্য ফন্দি আঁটছে সিদ্ধেশ্বরী। বাড়িতে ব্রাহ্মণ ভোজনের আয়োজন করে, ৫১টি পদ সহ যাবতীয় রান্নার দায়িত্ব তিনি চাপিয়ে দেন সর্বাণীর ওপরে। এমতাবস্থায় রান্নাঘরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হয় সর্বাণীর। কড়াইভর্তি শুক্তো উনুন থেকে নামাতে গিয়ে গায়ে পড়ে যায় তাঁর। পুড়ে যায় গা। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা সর্বাণী কাঁদতে কাঁদতে মা কালীকে স্মরণ করলে এক মানবী রূপে তার পাশে এসে দাঁড়ান স্বয়ং শ্যামা মা। সন্তানের দুঃখ-কষ্ট দেখে মায়ের চোখ-মুখ জুড়েও জ্বলে ওঠে ক্রোধাগ্নি।
সর্বাণী কি পারবে সিদ্ধেশ্বরীর এই ফন্দি সামাল দিয়ে ব্রাহ্মণদের যথাযথভাবে ভোজন করিয়ে তাঁদের প্রভাবিত করতে। এমনিতেই মা-কালীর মূর্তি বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে সর্বাণীর মন খুবই খারাপ। কিভাবে সর্বাণী সেই মূর্তি খুঁজে পাবে? মা কালী কি আবার তাঁর ঘরে ফিরে আসবেন ? সেই উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বগুলি জুড়ে। ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন সব্যসাচী চৌধুরী। তাঁর স্ত্রী সর্বাণীর ভূমিকায় রয়েছেন সুস্মিলি আচার্য। মা কালীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পায়েল দে।
অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ক চক্রবর্তী, চন্দ্রনীভ মুখোপাধ্যায়, জয়িতা গোস্বামী প্রমুখ। প্রত্যেকের সাবলীল অভিনয় ও পরিবেশন গুণে জমে উঠেছে মেগার পর্বগুলি। সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত এই মেগার পরিচালক অমিত সেনগুপ্ত। চিত্রনাট্য লিখেছেন ঋতম ঘোষাল। ধারাবাহিকটির যাবতীয় গবেষণাধর্মী কাজ তথা রিসার্চের দায়িত্বটি সামলেছেন শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনা করেছেন দেবজিৎ রায়। স্টার জলসায় ‘রামপ্রসাদ’ দেখান হচ্ছে সোম থেকে রবি, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায়।