Monday, February 3, 2025
কৃষ্টি-Culture

শহর কলকাতা মেতে উঠলো পথশিল্পীদের সঙ্গীত ও শিল্পকর্মে

শুরু হলো দুপুর ২টোয়, শরৎ বিদ্যুৎ মেমোরিয়ালের ব্যান্ডপার্টির সুরে।পার্ক স্ট্রিটের বাঁশি বিক্রেতা মহম্মদ ইব্রান শোনালেন শচীনকত্তার গান ‘ওহাঁ কৌন হ্যাঁ তেরা মুসাফির’ ! ছিলেন শহরের দুই তরুণ সৌরজ্যোতি- কৃষ্ণেন্দু (থার্ড স্টেজ)–পরিবেশন করলেন পথের গান। মিউজিকাল স্যান্ডউইচ-এর নীলাঞ্জন ও তার দল শোনান বানজারা। ব্যান্ড সাবলাইম শোনাল জন লেননের ‘ইম্যাজিন’। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পটচিত্রশিল্পী কল্পনা চিত্রকরের সাথে নূরদ্দিন চিত্রকর শোনালেন চন্ডী মঙ্গলের গান। সুবল দাস বৈরাগ্য, ধনেশ্বর দাস বৈরাগ্যর সঙ্গে বাংলার ঢাকি পরেশ দাস, উত্তম দাসদের নিয়ে বহুরূপীর সংলাপ, নৃত্য-গীত সহযোগে পরিবেশন করেন দুর্গার গান।

ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজিক অ্যাকাডেমির ছাত্রীরা  পরিবেশন করেন পঞ্চকবির গান। তরুণ গোস্বামী শিস্ ধ্বনিতে শোনান সলিল চৌধুরীর ‘পল্লবিনী গো সঞ্চারিনী’। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরিত্র সানি মুখার্জি, সুরিন্দম মুখার্জি যথাক্রমে লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ী, কেকে-র স্মৃতিতে গানে গানে বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। চন্দ্রিমার কন্ঠে ‘আজ তবে এইটুকু থাক’, অরিত্রের কন্ঠে ‘ইন্তেহা হো গয়ি’, সুরিন্দমের কন্ঠে ‘তুহি মেরা রব’ বিশেষভাবে উল্যেখযোগ্য। ডঃ সৌমিক দাস শোনালেন ‘ডেলিভারি বয়’। ঋত্বিক মাইতির কণ্ঠে শোনা গেল  বব ডিলানের গান ‘নকিং ওন হেভেনস’। অনির্বান সিকদার শোনালেন জন ডেনভারের ‘লিভিং ওন আ জেটপ্লেন’। আরয়ান আচার্য নিবেদন করেন ‘ওই পথ গেছে বেঁকে’। সোমা দাস শোনান ‘আমি আসছি’, তাঁর নিজের গান,জয় সরকারের সুরে।  সব মিলিয়ে এবারের সিজনও ছিল গানে গানে জমজমাট।

দ্য ড্রিমার্স-এর সুদীপ্ত চন্দ জানিয়েছিলেন, এটি সেইসব সঙ্গীতশিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি যাঁরা রাস্তায় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। এটি অবশ্যই একটি ভিন্ন ধরনের সঙ্গীতের উৎসব, বরং এটিকে সঙ্গীতের মাধ্যমে জীবনের উদযাপন হিসাবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্পাইসেস এন্ড সসেজ ক্যাফেতে (আইসিসিআর) দর্শক-শ্রোতা উৎসবে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন তাঁর বক্তব্য। কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল সিজন থ্রি-এর নিবেদক একটি বিখ্যাত জুয়েলারি সংস্থা। সহযোগিতায় ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজিক অ্যাকাডেমি, সোমা দাস ও ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেটের।