সাগর ডাকে তাজপুরে
দিন যাপনের একঘেয়েমি আর ক্লান্তি দূর করতে পর্যটনের বিকল্প নেই। চার দেওয়ালের গন্ডি ছাড়িয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঝোলা কাঁধে সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই কলম। লিখেছেন অজন্তা সিনহা।
সেই সময় দিন কাটছে প্রবল ব্যস্ততায়। অফিসে কাজের দায়িত্ব বেড়েছে। এছাড়াও একটি অ্যাকটিং ইনস্টিটিউটে ক্লাস করাচ্ছি নিয়মিত। বছরে বড় ট্রিপ বলতে পুজোর ছুটি। কিন্তু তাতে আর মন ভরে কই ? তাই ছোট ছোট ছুটিতে আমি আর আমার বন্ধু সুজাতা শহর ছেড়ে এদিক-ওদিক পালাতাম। সুজাতা আমার দীর্ঘদিনের সুখদুঃখের সাথী। এই মিনি ট্রিপগুলোর মধ্যে আমরা খুঁজে নিতাম জীবনের অমল আনন্দ। সেই ট্রিপেরই একটি ছিল শংকরপুর-তাজপুরকে কেন্দ্র করে। আজ সেই গল্পই বলবো।
পাহাড় বরাবর আমার অধিক প্রিয়। তাই বলে সমুদ্র ভালো লাগে না, তা নয়। প্রকৃতির যে কোনও অনুষঙ্গেই বিপুল আগ্রহ আমার। বন্ধু সুজাতারও তাই। সাধারণত, ওর গাড়িতেই এই ছোট ট্রিপগুলোর পরিকল্পনা করতাম আমরা। সেবারেও এক সকালে দু’দিনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম গাড়িতে। চলেছি সকালের কলকাতার ওপর দিয়ে। শহর তখনও ট্রাফিক এবং রুটিন দূষণে জর্জরিত নয়। শহর ছাড়াতেই পথের দু’পাশের দৃশ্যপট বদলে যায়। গ্রাম ও মফস্বল–দুইয়ের পৃথক পৃথক চরিত্র। দুইই রয়েছে এই পথে। তাই কোথাও চাষের ক্ষেত, ছোট ছোট খড়ের বা টিনের চালওয়ালা মাটির বাড়ি, গাছগাছালি, তো, একটু পরেই দোকান-পাট, কলকারখানা, পাকা বাড়ি এবং মানুষ ও গাড়িঘোড়ার ভিড়।
কিছুদূর যাবার পর ব্রেকফাস্ট করি গাড়িতে বসেই। ড্রাইভার ভাই বেশ ছায়াময় একটি বড় গাছতলায় গাড়ি দাঁড় করায়। সেখানেই আলস্যে, শান্তিতে ব্রেকফাস্ট, মিনি আড্ডা এবং ফটো সেশন। এই সবই জীবন থেকে চেটেপুটে নেওয়া রসদ, বলাই বাহুল্য। হাইওয়ে ধরে অনেকটা পথ যাওয়ার পর আমাদের গাড়ি অপেক্ষাকৃত সরু একটি পথ ধরে। সকালের পরিষ্কার আকাশ এখন বাদলমেঘের ঘনছায়ায় ঢাকা পড়েছে। গাড়ির জানালা দিয়ে সেই আকাশ দেখতে দেখতেই বাতাসে ঠান্ডা আমেজ অনুভব করি। আর ঠিক তখনই সমুদ্রের গন্ধ আর বেলাভূমিতে আছড়ে পড়া জলের শব্দ আমাদের হৃদয় আকুল করে তোলে। ড্রাইভার ভাই বলে, আমরা শংকরপুর পৌঁছে গেছি।
তারপরের কিছুটা সময় গেল স্নান করে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ ইত্যাদি পর্বে। ততক্ষণে অঝোরে নেমেছে। বর্ষার স্বাভাবিক নিয়ম। শংকরপুর ছোট জায়গা। সেই হিসেবে প্রচুর ছোটবড় হোটেল। হোটেলগুলি মূলত সমুদ্রের তীর ঘেঁষে। স্বাভাবিকভাবেই হোটেল এলাকাটা কিছুটা ঘিঞ্জি। শংকরপুর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ট্যুরিস্টদের বেশ প্রিয়, সহজেই চলে আসা যায় বলে। বিকেলে বৃষ্টি কমলে সমুদ্রের অনেকটা কাছে গেলাম আমরা। ঢেউয়ের গান শুনতে শুনতে চা পান, সঙ্গে বেকারির বিস্কুট–আর নির্ভেজাল আড্ডায় পার হয়ে গেল সময়।
পরদিন সকালে আর একবার তীরবর্তী বালুকাবেলায় বিচরণ করে রওনা দিলাম তাজপুরের পথে। এই যাত্রায় আমাদের তাজপুর রাত্রিবাস করা হয়নি। সেদিন বিকেলেই ফেরার তাড়া ছিল, তাই। তবে, পুরো দিনটা কাটাই সেখানে। আর আমাদের দুজনেরই শংকরপুরের তুলনায় তাজপুর বেশি ভালো লেগেছিল। এটা একটা কারণ হতে পারে যে, তাজপুর তখনও খুব নির্জন। বেলাভূমির চেহারাটাও বেশ বিচিত্র। ঘন জঙ্গল, ঝাউ গাছের সারি, বালির স্তুপ আর বিস্তীর্ণ আকাশ–আবহে সমুদ্রের আছড়ে পড়ার কলধ্বনি। সব মিলিয়ে বেশ ব্যতিক্রমী তাজপুর।
সমুদ্র অনেকটা ব্যাপ্তিতে চোখে পড়ে এখানে। আদতে পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সি-বিচ গুলির মধ্যে তাজপুর একটা সময় ছিল সবচেয়ে নির্জন। ইদানীং হয়তো ভিড় বেড়েছে। সে হোক, সৌন্দর্যে আজও অমলিন এই নিটোল গ্রাম। শংকরপুর আর মন্দারমনির মাঝখানে তাজপুরের অবস্থান। অথচ শংকরপুর আর মন্দারমনির মতো ভিড় নেই এখানে। তাজপুরকে ঘিরে রয়েছে প্রায় ১৪০০ একর জমি, যেখানে বিশাল স্তরে মৎসচাষ হয়। সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত খাড়ি, ছোটবড় পুকুর ও জলাশয়ে বেশ কয়েকটি মাছের ভেড়ি আছে। ট্যুরিস্ট তুলনায় কম আসে বলে এখানে বেলাভূমি খুবই পরিচ্ছন্ন। সেখানে লাল কাঁকড়ার দল নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায়। আর আছে নানা বর্ণ ও প্রকৃতির শামুক।
এইসবের পাশাপাশি তাজপুরের গুরুত্ব–কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে এখানে একটি বন্দর স্থাপনা করবে বলে প্রস্তাবিত। সেই পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়নের কাজও শুরু হয়েছে। কাছাকাছি রেল স্টেশন কাঁথি ও রামনগর, যা হাওড়া-দিঘা রেলওয়ের অন্তর্গত। দিঘা রুটের বাসেও যাওয়া যায় তাজপুর। কাঁথি বা রামনগর থেকে গাড়ি পাবেন তাজপুর যাওয়ার জন্য। বাসের ক্ষেত্রে চাউলখোলা নেমে ভ্যান বা টোটো ধরে যেতে হয়। কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়িতে গেলে বিদ্যাসাগর সেতু পার হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মুম্বই-কলকাতা হাইওয়ে। এটি এখন এশিয়ান হাইওয়ে ৪৬ হিসেবেও পরিচিত। কলকাতা থেকে কোলাঘাট হয়ে নন্দকুমার, এখান থেকে ডানদিকের একটি রাস্তা গেছে কাঁথি। তারপর বালিসাই। এই বালিসাইয়ের কাছেই ছোট্ট গ্রাম তাজপুর। কলকাতা থেকে যেতে সময় লাগে ঘন্টা চারেক। যে কোনও ঋতুতেই যাওয়া যায়।
শংকরপুর থেকে তাজপুর যাওয়ার পথে প্রথমেই চোখে পড়ে ওই মাছের ভেড়িগুলি। চারপাশে দৃষ্টিনন্দন সবুজ। স্বচ্ছ জলে আকাশের ছায়া। দু’পাশে জল, মাঝে কাঁচা মাটির রাস্তা। এই রাস্তা ধরে কিছুদূর যাবার পর আমরা সেই অঞ্চলটায় পৌঁছই, যেখানে সারি সারি হোটেল। থাকার ও খাওয়ার, দুইই আছে। বেশ ভিড়। লোকজন আগের রাত থেকে আছে। এক একটি বড় দল যেখানে, সেখানে হুল্লোড় বেশি। তারই মধ্যে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ভাত খেয়ে নেওয়া। খিদে পেটে গরম ভাতের মতো আর কী হয় ! সাধারণ ডাল, আলু ভাজা, মাছ, চাটনি সহযোগে সেটা অমৃতসম হয়ে ওঠে। টাটকা মাছের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। তাজপুরে নানা ধরণের মাছ মেলে। ভোজনবিলাসী ও মৎসপ্রেমীরা নিঃসন্দেহে ব্যাপারটা বাড়তি উপভোগ করেন।
খাওয়ার পর গাড়ি নিয়ে আমরা অপেক্ষাকৃত নির্জন একটি দিকে গেলাম। সে এক অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা। কয়েকটি নৌকো উপুড় করে রাখা। রোদে তাদের রঙ শুকোচ্ছে। আর শুকোচ্ছে মাছধরার জাল। বিশাল আকৃতির তারা। জাল মেরামত করতেও দেখলাম এক বৃদ্ধকে। ছেলেপুলের দল, সমুদ্রের জলে, তীরের বালিতে খেলছে, স্নান করছে, হাসছে, চেঁচামেচি করছে। কী অনাবিল, নিঃশঙ্ক তাদের প্রতিটি আচরণ। কেউ ডাক দেবার নেই। কেউ বকার নেই। পা বাড়ালেই সমুদ্র এখানে। সেই সময়টা জোয়ারের। ফলে জলের উচ্ছ্বাসও বেড়েছে। দূরে নৌকাগুলি দুলছে ঢেউয়ের দাপটে। একটু পরেই গরুর পাল নিয়ে ঘরে ফেরে গ্রাম্য বধূর দল। ছবি তোলার অনুরোধ করতেই মুখে সরল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। দুপুরের অস্তগামী রোদে চিকচিক করে সমুদ্রের জল। জঙ্গলের কোনে ছায়া নামে ধীরে। নির্জন বেলাভূমির সবটুকু মাধুর্য স্মৃতির ঝুলিতে রেখে আমরা ফেরার পথ ধরি।
তাজপুরে এখন ছোটবড় প্রচুর হোটেল, রিসর্ট। থাকার অসুবিধা নেই। উইকএন্ড, স্বল্প সময়ের ছুটি কাটাবার জন্য দারুন উপযুক্ত। বিশেষত, যাঁরা নির্জন সমুদ্রতীর পছন্দ করেন, নিজের সঙ্গে কাটাতে চান, তাদের ক্ষেত্রে তাজপুরের বিকল্প হবে না। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত–দুইই অপূর্ব। আর পূর্ণিমার রাতে তাজপুরের রূপ নাকি অপার্থিব হয়ে ওঠে। সামনের উইকএন্ডে প্ল্যান করতেই পারেন। মন ভরে যাবে, গ্যারান্টি।
★★ যখনই বেড়াতে যাবেন (নিয়মিত বিভাগ)
🌈 প্যাকিং ফান্ডা
🔺কি কি নিয়ে যাবেন তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন চটপট। এটা বেশ কয়েকদিন আগেই করুন। এতে জরুরি ও প্রয়োজনীয় জিনিস ভুলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
🔺ব্যক্তিগত জরুরি জিনিস, টাকাপয়সা, ট্রেন বা ফ্লাইটের টিকিট, হোটেলের বুকিং স্লিপ ইত্যাদি এমন জায়গায় রাখুন যা হাতের কাছে থাকবে অথচ বিশেষ যত্ন-খেয়ালও রাখা যাবে। ক্যামেরা, ল্যাপটপ ব্যাগের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য।
🔺 ফার্স্ট এড বক্স, সাধারণ জরুরি ওষুধ এবং আপনি নিয়মিত যে ওষুধ খান তা যথাযথ পরিমানে সঙ্গে রাখুন।
🔺 টর্চ-মোম-দেশলাই অবশ্যই রাখতে হবে।
🔺সানগ্লাস, ছাতা ও বর্ষাতি রাখতে পারলে ভালো।
🔺ভাঁজ নয় জামাকাপড় ফোল্ড করে প্যাক করলে কম জায়গায় বেশি পোশাক আঁটবে। আর জামাকাপড়ের ভাঁজও নষ্ট হবে না।
🔺জামাকাপড়-জুতো ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিন কোথায় যাচ্ছেন, সেই অনুসারে। যেমন, পাহাড়-জঙ্গল-সি বিচ যেখানে, সেখানে হিলতোলা জুতো নয়, স্পোর্টস শু জাতীয় হলে ভালো। আর পোশাকও প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। প্রসাধনী ও রূপচর্চার উপকরণও যেটা না হলে নয়, ততটুকুই। মনে রাখুন, বোঝা বাড়ালে পথে চলাফেরায় কষ্ট। শীতের জায়গায় যথেষ্ট শীতপোশাক রাখুন সঙ্গে।
🔺গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে সঙ্গে রাখুন কিছু শুকনো খাবার, টি ব্যাগ, কফি পাউডার, গরমজল করার ইলেকট্রিক কেটলি, কাগজের কাপ ও প্লেট, টিস্যু পেপার।
🌈 যাওয়ার আগে কি কি করবেন
◾যথাসম্ভব জায়গাটা সম্পর্কে আগাম খোঁজখবর নিয়ে নিন। স্পটে গিয়ে কি কি দেখবেন, কিভাবে সময় কাটাবেন, তার একটা ধারণা থাকলে সুবিধা হবে আপনার। বাজেট করা ও প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রেও এটা জরুরি।
◾জেনে নিন, কাছাকাছি এটিএম, প্রয়োজনে ডাক্তারের ব্যবস্থা আছে কিনা। না থাকলে সেই অনুসারে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
◾চেষ্টা করবেন থাকা-খাওয়া-যাতায়াত-সাইট সিয়িং-শপিং ইত্যাদি খরচাপাতির জন্য একটা নির্দিষ্ট বাজেট করে নেওয়ার।
◾বেড়াতে গিয়ে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, তার জন্য আগে থাকতেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
🌈 আগাম বুকিং এবং
এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত দিক। যাঁরা হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়েন, দল বেঁধে বা একা এবং বুকিংয়ের তোয়াক্কা করেন না, তাঁদের জন্য এই বিভাগ নয়। যাঁরা কিছুটা নির্ঝঞ্ঝাট বেড়ানো পছন্দ করেন, পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাঁরা সচরাচর এডভান্স বুকিং না করে যান না। আমি নিজেও সেভাবেই সারা জীবন ঘুরেছি। এই বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই এজেন্ট, পাহাড়ের ক্ষেত্রে হোমস্টে মালিক এবং সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে পর্যটকদের নানা বিষয়ে অশান্তির কথা শোনা যায়। এক্ষেত্রে যে সাবধানতা গুলি অবলম্বন করা যেতে পারে—
■ এজেন্ট সম্পর্কে ভালো করে আগে খোঁজ নিন
■পাহাড়ের হোমস্টে মালিকরা এমনিতে সৎ। কিন্তু ততটা পেশাদার এখনও নয়। কথাবার্তা, আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও ওদের কিছুটা সমস্যা আছে। ওদের ক্ষেত্রে বার বার জিজ্ঞেস করে, ভাষার কোনও সমস্যা থাকলে, সেটা কাটিয়ে উঠে, নিজের চাহিদা পূরণের ব্যাপারটা আগে থেকে বুঝে নিন।
■ কোনও কারণে বেড়াতে যাওয়া ক্যান্সেল হলে এডভান্স বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হয় না, এটাই নিয়ম। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার টাকা গচ্ছিত থাকবে ওই এজেন্ট, হোমস্টে মালিকের কাছে এডভান্স হিসেবেই। সেই সময়ের মধ্যে আপনি যেতে পারবেন সেখানে। এই বিষয়টিও বুকিংয়ের সময় পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।
🌈 কি করবেন
◾মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। যেখানে গেছেন, সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে যত বেশি মানিয়ে চলবেন, তত মজা-খুশি-আনন্দ অনন্য প্রাপ্তি হয়ে ধরা দেবে আপনার অভিজ্ঞতায়।
◾যথাসম্ভব পায়ে হেঁটে ঘুরুন। এতে জায়গাটির সত্যিকারের এসেন্সটা পাবেন।
◾জেনে নিন এলাকার মানুষের জীবন, তাদের শিল্প-সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও ইতিহাস।
🌈 কি করবেন না
◾যত্রতত্র প্লাস্টিক, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
◾লক্ষ্য রাখুন আপনার আনন্দ-উল্লাস যেন অপরের বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।