স্বরবিতানের আয়োজনে গুণীজন সম্মাননা ও গীতি-নাট্য-আলেখ্য ‘ছবি’
রবীন্দ্রসঙ্গীত তথা সামগ্রিকভাবে রবীন্দ্রদর্শন ছিল তাঁর জীবনপথের পাথেয়। প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও গুরু স্মৃতি চট্টোপাধ্যায়ের বড় যত্নে গড়ে তোলা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা ও চর্চা কেন্দ্র স্বরবিতান। তাঁর প্রয়াণের পর প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্মৃতি চট্টোপাধ্যায়ের সুযোগ্য পুত্র ডঃ আবীর চট্টোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা তথা সামগ্রিক সংস্কৃতি পরিসরে গান, কবিতা, আলেখ্যচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গন হয়ে উঠেছে স্বরবিতান সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র (একটি সমাজ ভাষা ও সংস্কৃতি পরিষদের শাখা সংগঠন)।
প্রতিষ্ঠানের ২৬তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সল্টলেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে ২৪ শে জুন এক মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর স্বরবিতানের প্রতিষ্ঠাতা সঙ্গীতগুরু স্মৃতি চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ২য় স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হবে বাংলার দুই উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী নক্ষত্রসম মানুষকে। তাঁরা হলেন, প্রখ্যাত চিকিৎসক তথা সংস্কৃতিকর্মী ডাঃ কাঞ্চন চট্টোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট কথাকার ও সমাজকর্মী অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বরবিতানের শিক্ষক ডঃ আবীর চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত হবে গীতি-নাট্য-আলেখ্য ‘ছবি’। মানব মননে শৈশব থেকে যত ছবি তৈরি হয়, ফুটে ওঠে–তাই দিয়েই গড়ে ওঠে তার কৈশোর, যৌবন, বিপ্লব এবং অন্তিমের প্রতিচ্ছবি। সেই ছবি এবং প্রতিচ্ছবিকে ধ’রে রাখা এবং শেষ পর্যায়ে সে সবের অধিকার ছেড়ে দেওয়ারই আখ্যান ‘ছবি’, যা সম্পূর্ণ ভাবে রবীন্দ্ররচনা আধারিত। বলা বাহুল্য, বিষয়টি গভীরভাবে পরীক্ষাধর্মী। সত্যি কথা বলতে কী, যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখেই রবীন্দ্ররচনার বিশাল পরিধির মাঝে নতুন ব্যঞ্জনা ও অভিমুখ খুঁজে দেখার অনুসন্ধিৎসা অনুভূত হয়। বিশেষত, নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথের অসীম সৃজনভান্ডার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের নতুন নিরীক্ষায় যেতেই হবে। স্বরবিতানকে ধন্যবাদ তাঁরা অগ্রসর হয়েছেন এই প্রচেষ্টায়। আগামিকাল বিকেল ৫টায় রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে শ্রোতা-দর্শককুল যে এক অভিনব, সৃজনশীল ও নান্দনিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন, তা আগাম বলে দেওয়া যায়।