প্রকাশিত হলো ‘টিচিং গ্লোবালি দ্যা আনটোল্ট স্টোরি’
আইসিসিআর-এ গত ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হলো রূপা চক্রবর্তী সম্পাদিত বই ‘টিচিং গ্লোবালি দ্যা আনটোল্ট স্টোরি’। প্রসঙ্গত, পেশাদারী ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়ান ফেডারেশন, বেলজিয়াম, ইতালি, স্লোভেনিয়ায় একজন শিক্ষিকা হিসেবে তাঁর স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলেছেন রূপা চক্রবর্তী। তাঁর কাজের ধারাবাহিকতা এই পেশার বিস্তৃত ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তস্বরূপ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধুমিতা দাশগুপ্ত, বৈজয়ন্তী শহরিয়া পাগুলিয়া, শাহেনশাহ মির্জা, সায়রা শাহ হালিম, প্রকাশক সঞ্জয় আর্য, সুলগ্না মুখোপাধ্যায়, বিভা মিত্র, সুদর্শন চক্রবর্তী প্রমুখ এবং লেখক-সম্পাদক রূপা চক্রবর্তী স্বয়ং।
এর আগে এই লেখকের আরও দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে–পিলগ্রিমেজ, বিদিশা এন্ড ব্যুরোক্রেশি। একজন টেডএক্স স্পিকার রূপা আন্তর্জাতিক শিক্ষামহলে এক অতি পরিচিত নাম। দিল্লির শুবি পাবলিকেশন আলোচ্য বইটির প্রকাশক। আর এই বই প্রকাশের মূল কারিগর হলেন সঞ্জয় আর্য। বইটি পরে রাজভবনে উপহার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মাননীয় সি ভি আনন্দ বোসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রূপার সম্পাদিত এই বইটিতে গল্পগুলি একটি সুতোয় বাঁধা এক জার্নির কথা বলে। এখানে লেখা সব অভিজ্ঞতাই বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। শিক্ষক বৃত্তিতে আছেন, এমন লেখকগণ সমাজের মানুষের ভালো কাজ করার জন্য, শিক্ষার উন্নতির জন্য, তরুণ শিক্ষার্থীদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা দানের জন্য, আমাদের অনুশীলনে ক্রমাগত কাজ করার জন্য আজীবন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে একটি পুরানো প্রবাদ হলো, আমরা ‘অভিজ্ঞতা থেকে শিখি’। যেমন মহান প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ জন ডিউই উল্লেখ করেছেন, আমরা আসলে অভিজ্ঞতার প্রতিফলন থেকে শিখি।
রূপা চক্রবর্তী সম্পাদিত এই বইটিতে লিখেছেন পৃথিবীর নানা দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদগণ। তাঁদের অভিজ্ঞতাপ্রসূত গল্পগুলি প্রত্যেকটিই এই অভিজ্ঞ লেখকদের জীবনের দীর্ঘ ও ধারাবাহিক শিক্ষা-চর্চার প্রতিফলন। ফলে, এখানে গল্পগুলি থেকে আমরা পাঠক হিসাবেও অনেককিছু শিখতে পারি। এছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই শিক্ষকদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অন্যান্য শিক্ষকদেরও সমৃদ্ধ করবে বলে প্রত্যাশিত।