সৃজনী কলাচক্রের মনে রাখা নিবেদন
সৃজনী কলাচক্রের আয়োজনে শিশির মঞ্চে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। শিরোনাম ‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে…’। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুরকার সপ্তক সানাই, মহিলা পুরোহিত অধ্যাপক নন্দিনী ভৌমিক প্রমুখ। ‘সৃজনী কলাচক্র’ ও ‘কলতান’-এর ছাত্রছাত্রীবৃন্দ পরিবেশিত উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি দুটি পর্বে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ‘কথায় ও গানে রবীন্দ্রনাথ’। রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন সঞ্জিত বাগ, কথায় ছিলেন পৃথা নস্কর। রবীন্দ্রনাথের সবধরনের ১২টি গান নিয়ে এই পর্ব সজ্জিত ছিল। মনোজ্ঞ ছিল নিবেদন। সঞ্জিত তাঁদের নিবেদন প্রসঙ্গে জানান, “কাজটা অভিনব শুরু থেকেই মনে হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ কোন প্রেক্ষিতে একটা গান রচনা করেছেন, তার সুরসৃষ্টির জন্য কোন রাগ ব্যবহার করেছেন, কোন সময়ে গানটা লিখছেন–এই সবকিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি সংকলনে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে এমন অনুষ্ঠান আরও করার ইচ্ছে আছে।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল ‘স্মরণে ও মননে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’। এভারগ্রিন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সাতটি গানে নৃত্য পরিবেশন করেন সৃজনী কলাচক্রের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। সঙ্গীত ও ভাষ্যে যথাক্রমে ছিলেন সঞ্জিত বাগ ও পৃথা নস্কর। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন কৌশিক সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন সৃজনী কলাচক্রের অধ্যক্ষা পৃথা নস্কর। প্রসঙ্গত, তিনি জানান, “রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গী করে সারা জীবন এগোনো যায়। শুধুমাত্র কয়েকটি গান বা নাচের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকে জানা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক সৃষ্টিকে জানার চেষ্টা করতে হবে। এই অনুষ্ঠানের বিষয়টিকে সাজাতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে যত জেনেছি, তত অবাক হয়েছি।” তিনি এও বলেন,”হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের যে গানগুলিতে কেউ নাচের কথা ভাবতে পারেন না, সেইগুলি নিয়ে আমরা নৃত্য পরিবেশন করেছি। আমরা পৃথিবীর সবকিছুর মধ্যে নৃত্যভাবনার উৎস খোঁজার চেষ্টা করি।”