কালার্স-এ জমে উঠেছে একতার অতিপ্রাকৃত মেজাজের ‘বেকাবু’
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। কালার্স টিভিতে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘বেকাবু’। প্রযোজনা একতা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মস। লিখেছেন মৃণালিনী ঠাকুর।
স্বর্গ-মর্ত, ধর্ম-অধর্ম, ভালো-মন্দের লড়াই ঘুরেফিরে আসে ধারাবাহিকের গল্পে। কালার্স-এ সাম্প্রতিক শুরু হওয়া ‘বেকাবু’ এমনই এক দ্বন্দ্বের কাহিনি, যেখানে রূপকথার কাল্পনিক কাহিনির অন্তরালে রয়েছে চিরন্তন ক্ষমতার লড়াই, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার নাটক। পরী ও রাক্ষস এখানে যথাক্রমে ভালো ও মন্দের প্রতীক হয়ে আসে। তারা যার যার নিজের পরিবারের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার মেনেই একে অপরের শত্রু হয়ে ওঠে।
গল্পের শুরুতে আমরা দেখি, মর্তে রাক্ষস ভালাকা ব্যস্ত কিছু পূজার আয়োজনে, যার পিছনে রয়েছে কিছু অসাধু অভীপ্সা। এই পুজো সফল হলে সকলের অমঙ্গল। বিষয়টি জানার পরই তৎপর হয়ে ওঠে রাজপরী। এই পুজো বন্ধ করতেই হবে। সে তার মেয়ে দেবলেখাকে পাঠায় পুজো বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ভালাকার ছেলে প্রথম পরী-রূপে চিনতে পারে দেবলেখাকে। দেবলেখাকে আটকাবার চেষ্টা করে প্রথম। এমন কিছু ঘটে, দেবলেখা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
এরপর কী ঘটে ? দেবলেখার পুনর্জন্ম চায় রাজপরী। ফিরে আসে কী দেবলেখা ? কাহিনিতে টুইস্ট আসে যখন এরপর অজান্তেই একে অপরের মুখোমুখি হয় রণভ ও বেলা। নয়া প্রজন্মের এই দুই প্রতিনিধি আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু তাদের ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে যুগান্তরে, সেই ইতিহাসের পাতায়। নিজেদের পারিবারিক ইতিহাসের সূত্রে ভাগ্য তাদের কোন পথে ঠেলে দেবে, জানে না তারা। যখন নিজেদের পরিচয় ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে জানবে দুজন, জানবে নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতার কথা, কী ঘটবে তখন? এইসব প্রশ্নেরই জবাব উঠে আসবে ধারাবাহিকের পর্বে পর্বে।।
হিন্দি সিরিয়াল জগতের সম্রাজ্ঞী টেলিকুইন একতা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মস প্রযোজিত ‘বেকাবু’ শুরু থেকেই নাটকীয় উপাদানে ভরপুর, সে কথা বলাই বাহুল্য। বিশেষত, এর অতিপ্রাকৃত রূপটি কাহিনির টানটান চরিত্রটি ধরে রাখে। অভিনয়ে মুখ্য ভূমিকায় শালীন ভানোট, এষা সিং, মোনালিসা। এছাড়াও আছেন অভিষেক কুমার, চেতন হংসরাজ, বাকুল ঠক্কর, রিচা সোনি, শুভাবি চোকসে, ঋষিকেশ পান্ডে, জৈন ইমাম, শিভাঙ্গি যোশী প্রমুখ। থিম মিউজিক ললিত সেন ও নবাব আরজু। দেখান হচ্ছে প্রতি শনি-রবি রাত ৯টায়।