মোহময়ী কাজল
নিতান্তই কিশোরী তিনি তখন, হিন্দি ছবির দুনিয়ায় যখন পা রাখেন কাজল। দিদিমা শোভনার পর মা তনুজা, তারপরের প্রজন্মের অভিনেত্রী হিসেবে শুরুটা তেমন ফুল বিছানো ছিল না তাঁর জন্য। কাজলের অভিনয় প্রতিভাই তাঁকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু শুরুতে কে আর কবে গুণের বিচার করে ! আগে তো দর্শনধারী! সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়েই নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কাজল। চেহারা প্রসঙ্গে নানা কটূক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকে। কালো, মোটা এই জাতীয় ব্যঙ্গ প্রায়ই সহ্য করতে হতো কাজলকে সেই সময়। কেমন করে সেইসব পরিস্থিতি সামলেছেন তিনি, সেই প্রসঙ্গে কাজল জানিয়েছেন, সত্যি বলতে কী, আমি এসব সামলাবার চেষ্টাই করিনি। এসব কথা একেবারে কানে না তুলে, এক পাশে সরিয়ে রেখে এগিয়ে গিয়েছি। আমি মনে করতাম, এদের থেকে অনেক বেশি বুদ্ধি রাখি আমি। কেন এইসব অর্থহীন কথাকে পাত্তা দেব ! তিনি যে প্রতিভাময়ী, মেধাবী এবং বুদ্ধিমতী, কাজল তা প্রমাণ করেছেন। আর প্রতিভার দীপ্তিই যে আজকের মোহময়ী কাজল হয়ে ওঠার পিছনের গোপন রহস্য এও তো সকলেরই জানা !