তিথির কণ্ঠে সমাদৃত ‘তুমি আসবে বলে’
একজন অত্যন্ত দক্ষ ও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তিথি দেব বর্মণ । শ্রোতার দরবারে রবীন্দ্রসংগীতকে বিভিন্ন ভাষায় পৌঁছে দেওয়ার এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস নিয়েছেন তিনি। নিঃসন্দেহে এ এক অভিনন্দন যোগ্য প্রয়াস। ভিন্ন ভাষাভাষী শ্রোতারা বহুক্ষেত্রেই রবীন্দ্রসংগীতের সুরে অবগাহন করলেও, কথার অর্থ না বুঝতে পারার কারণে, তার রসাস্বাদনে বঞ্চিত থাকেন। তবে, তিথি দেব বর্মণ সবচেয়ে কৃতিত্ব রবীন্দ্রসংগীত ককবোরক অনুবাদে গাওয়া। ককবোরক হলো ত্রিপুরার ১৯ টি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে প্রধান যে আদিবাসী গোষ্ঠী ত্রিপুরি, তাঁদেরই ভাষা। প্রসঙ্গত, এই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে তিনি প্রথম ও একমাত্র শিল্পী। ককবোরক ভাষায় রবীন্দ্রসংগীতের দুটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে তিথির, প্রকাশ করেছে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ ও ভাবনা রেকর্ডস।
এর বাইরে লোকসংগীতের ক্ষেত্রেও তিথির দক্ষতা অবিসংবাদিত। তাঁর কথায়, “লোকসংগীত গাইতে খুব ভালোবাসি আমি। নিজের অনুভবকে খুঁজে পাই।” স্বাভাবিক। ত্রিপুরার মাটিতেই তো লোকগান পল্লবিত। গান গাইবার পাশাপাশি গান লেখা ও সুর সৃষ্টিতেও তিথির প্রতিভার পরিচয় মেলে। লেখার ব্যাপারটা অবশ্য উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছেন তিনি। তিথির বাবা সাহিত্যিক মানস দেববর্মণ, গানও লেখেন। রবীন্দ্রসংগীত, লোকগানের পাশাপাশি বাবার লেখা গানও করেন তিথি। তিথি একজন সুদক্ষ শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। তাঁর ভালো লাগা আর একটি বিষয় ‘কবিতা যখন সুর হয়’।
সাম্প্রতিক শারদীয় উৎসবের প্রাক্কালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হলো তিথির গাওয়া সিঙ্গল ‘তুমি আসবে বলে’। নিজের লেখা কথা-সুরে গানটি গেয়েছেন তিনি। যথোপযুক্ত সঙ্গীতায়োজনে আছেন দেবাশিস সাহা। কথা-সুর-গায়নে অত্যন্ত মন ছোঁয়া নিবেদন ‘তুমি আসবে বলে’। ওটিটি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড-এর ব্যানারে প্রকাশিত গানটি ইতিমধ্যেই দারুণভাবে সমাদৃত। মাত্র একমাসের মধ্যেই প্রচুর ভিউজ, যা বিশেষ লক্ষ্যণীয়। গানটি শোনার জন্য সার্চ করুন ননস্টপ বিনোদন ইউটিউব চ্যানেলে। প্রসঙ্গত, খুব শিগগিরই ননস্টপ বিনোদন চ্যানেলেই মুক্তি পাচ্ছে তিথির আর একটি সিঙ্গল, শিরোনাম ‘এক জোনাকি’। গানটি খ্যাতনামা কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা। সুরকার বিনয় চক্রবর্তী। সঙ্গীতায়োজন দেবাশিস সাহা।