Monday, February 3, 2025
৫ফোড়ন

শেষে কিনা গল্পচুরি ?

হ্যাঁ, এমনই অভিযোগ উঠেছে একালের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি শ্রীজাতর বিরুদ্ধে। তাঁর লেখা ‘খরগোস ও মেরুবেহাগ’ গল্পটি এ বছর শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, এটা কিনা প্রায় হুবহু টুকলিফাই করা হয়েছে কনিষ্ক ভট্টাচার্যের ‘শংকর কবিচন্দ্র বা রামকৃষ্ণ রায় যে আখ্যান লেখেননি’ শীর্ষক ছোটগল্প থেকে। ফেসবুকে এই নিয়ে রীতিমতো ন’দফা অভিযোগ তুলেছেন কনিষ্ক। তাঁর দাবি, শ্রীজাত এবং তাঁর গল্পের প্লট এক, চরিত্রগুলিও একই ধরনের। এমনকী চরিত্রের নামের ক্ষেত্রেও নাকি সাদৃশ্য রয়েছে। একটি বাংলা প্রথমশ্রেণীর দৈনিকে এই খবরটি প্রকাশ হওয়া মাত্র বিপুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। শ্রীজাত অত্যন্ত প্রতিভাবান। তাঁর অধিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্মটিও বেশ শক্তপোক্ত। সুতরাং গায়ে আঁচড়টিও লাগলে, মলম জোগাড় করে ফেলবেন তিনি। করেও ফেলেছেন শ্রীজাত। মুখ খুলেছেন তিনিও। কথা হলো, সত্যিই কী শ্রীজাতর ভাঁড়ারে টান পড়লো বলে এই ঘটনা, না, অন্যকিছু আছে পিছনে। নিন্দুকেরা বলে, সিঁড়িভাঙার অঙ্কটা বরাবরই কবিতা লেখার মতোই ভালো জানেন তিনি। তাঁর উত্থানে দুটোই কার্যকর হয়েছে। তবে, এবার কনিষ্ক যে অভিযোগ এনেছেন, সেটা বড়ই গুরুতর। এখানে কোন ম্যাজিক দেখান শ্রীজাত, লক্ষ্যনীয় সেটাই।