আজ নন্দনে প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন…
কলকাতায় এক অনাথ আশ্রমের ঘরে বসে একটি মেয়ে চিঠি লেখে তার নানিকে। মেয়েটি রোহিঙ্গা। মায়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢুকতে গিয়ে বর্ডারে ধরা পড়ার পর এখন হোমে। একটি কাশ্মীরি ছেলে, অর্থাৎ ভারতের সবচেয়ে বিতর্ক জায়গা থেকে আগত। এ গল্প দুটো আলাদা দেশের, দুটো আলাদা মানুষের। এ আখ্যান দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সময়ের। ‘প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন…’ ছবিতে পরিচালক কুমার চৌধুরী এভাবেই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়কে তুলে নিয়ে এসেছেন। প্রযোজক পিয়ালি চৌধুরি। বিশেষ সহায়তায় বিশ্বজিত ঘোষ। নিবেদনে আর্ক ফিল্মস। পরিচালনা ছাড়াও ‘প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন…’-এর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ কুমারেরই লেখা। সংগীত পরিচালনা মেঘ ব্যানার্জি। চিত্রগ্রহণ করেছেন প্রসেনজিত কোলে। সম্পাদনায় প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। শব্দ সংযোজনা সুজয় দাস। কালারিস্ট আমির। গ্রাফিক্স অরিত্র দত্ত বণিক। অভিনয়ে পিয়ালি সামন্ত, ক্যাপ্টেন আরমান শাহ, ইকবাল সুলতান, রঞ্জিনী চট্টোপাধ্যায়, নীলাঞ্জনা বিশ্বাস, রণজয় ভট্টাচার্য, অভিজিত মুখোপাধ্যায় ও রাশি দত্ত। ইতিমধ্যেই এ ছবি বেশ কয়েকটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছে এবং পুরস্কারও পেয়েছে। জ্বলন্ত সময়ের দলিল ‘প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন…’ কয়েকজন লড়াকু, প্রতিভাবান, সৃষ্টিশীল মানুষের সেলুলয়েড অবদান। যাঁরা অর্থবহ ছবি দেখতে চান, তাঁদের জন্য কলকাতায় এ ছবির প্রদর্শন নিঃসন্দেহে এক সুখবর। তাঁদের জানাই, আজ সন্ধ্যা ৬টায় নন্দন ২-এ দেখানো হচ্ছে ‘প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন…’।