আশার আলো শিল্পীদের চোখে
কোভিড ও লকডাউনকে উপলক্ষ করে ডিজিটাল মাধ্যমের রমরমা। গত বছর পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মেই বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তি পেয়েছে। মোদ্দা কথা, শ্রোতা-দর্শক, উদ্যোক্তা–সকলেরই কর্মকান্ড অনেকটা বিস্তৃত ছিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ঘিরে। কোভিড ছাড়েনি আমাদের। তবে, কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। এমতবস্থায়, সবাই চাইছেন কাজকর্মের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হোক। সিনেমা হল খুলে যাওয়ার পাশাপাশি শুটিং শুরু হয়েছে। অর্থাৎ খুলে গেছে স্টুডিও পাড়া। অন্যদিকে মঞ্চানুষ্ঠানও শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই হয়ে গেছে কলকাতা বইমেলা। বাংলা গানমেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক ও বিনোদন জগতের লোকজন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বিশেষত, সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁরা বিশেষ খুশি। এর একটা বড় কারণ, অতিমারীর সময়ে যতই ঘরে বসে ডিজিটালি পারফর্ম করুক সবাই, তার বেশিরভাগই অর্থ বিনিময় বিহীন। যাঁরা পেশাদারী গানবাজনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা খুব বেশি দিন চললে, না খেয়ে মরার উপক্রম হতো। সেদিক থেকে, আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হলেও, কিছুটা ফিরেছে। আর তাতেই আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা। আশাবাদী আমরাও। মঞ্চে বা খোলা প্রাঙ্গনে ম্যারাপ বেঁধে–অনুষ্ঠান চালু থাক। চালু থাক অগণিত শিল্পীর সংসার রথের চাকা।