দুই বাংলার হৃদয়ে বহমান ইছামতি
দিন যাপনের একঘেয়েমি আর ক্লান্তি দূর করতে পর্যটনের বিকল্প নেই। চার দেওয়ালের গন্ডি ছাড়িয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঝোলা কাঁধে সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই কলম। লিখছেন অজন্তা সিনহা।
শহর ছাড়িয়ে একটু যেতেই বদলে যেতে থাকে পথের ধারের দৃশ্যপট। আর সেই পথ যদি বাংলার চিরন্তন গ্রামমুখী হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এক প্রভাতে এমনই এক ঠিকানার খোঁজে চলেছি আমরা–আমি আর বন্ধু সুজাতা। বাহন সুজাতার গাড়ি। দুজনেই কর্মব্যস্ত। চাইলেই যখন-তখন দূরে পালাতে পারি না। অতএব নিকট গন্তব্যই ভরসা। প্রিয় পাঠক জানেন, পায়ের তলায় যাদের সর্ষে, তাদের বেরিয়ে পড়ার জন্য কোনও উপলক্ষ দরকার পড়ে না। আমরাও ওই দলেই পড়ি। আমার দক্ষিণ কলকাতার আস্তানা থেকে আগের রাতেই সুজাতার মধ্য কলকাতার ফ্ল্যাটে এসেছি। আর ঘুম ভাঙতেই বেরিয়ে পড়েছি টাকির পথে। টাকি! ঠিক ধরেছেন, ইছামতির পাড়ে টাকি।
একটা নিপাট উইকএন্ড কাটাবার তীব্র ইচ্ছে থেকেই ইছামতির কাছে যাওয়া। আমাদের গাড়ি কলকাতা শহর ছেড়েছে একটু আগেই। তখনও ঘুম ভাঙেনি শহরের। হাইওয়ে ধরে যেতে যেতে দেখি প্রথম আলোর কিরণ মাখানো গ্রাম, গাছপালা, ছোট জলাশয়। আর মন ভালো করা গাছের কোটর ছেড়ে খাবারের খোঁজে ডানা মেলা উড়ন্ত পাখির দল। একটু পরে পথের পাশের চা দোকানে গাড়ি দাঁড় করানো হলো। আমরা গাড়ির ভিতর থেকে বের হয়ে দোকানের সামনে বেঞ্চে বসলাম। সবে উনুন ধরিয়েছেন দোকানী। আমরা চা খাব জেনে, দ্রুত পাখার হাওয়া করতে লাগলেন উনুনে। একটু পরেই ধোঁয়া ওঠা চায়ের ভাঁড় ছোট একটি থালায় বসিয়ে নিয়ে এলো দোকানের সাহায্যকারী ছেলেটি। সঙ্গে বেকারির বিস্কুট। চা পর্ব শেষ হলে আবার রওনা।

টাকি পৌঁছতে বেলা দশটা বাজলো। অনেকদিন আগের কথা। তাই স্মৃতি আবছা। যতদূর মনে পড়ছে, একটি সরকারি গেস্ট হাউসে আমাদের ঘর বুকিং করা ছিল। ঘরটি নিরাবরণ। তবে, পরিচ্ছন্ন। ফ্রেশ হয়ে রুটি-সবজি আর এখানকার বিখ্যাত ছানার মালপোয়া দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারলাম। লাঞ্চের দেরি আছে। অতএব চলো ইছামতির পাড়ে। বর্ষা গেছে কিছুদিন আগেই। এখন আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার। রোদ ঝলমলে একটি দিন। দেখলাম, বেশ কয়েকটি পিকনিকের দল এসেছে। আমাদের মতো উইকএন্ড বিলাসীও আছে কিছু। অর্থাৎ, একটা জমজমাট পরিবেশ। আমরা পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা নির্জনতা খুঁজে নিলাম। দাঁড়ালাম গাছের ছায়ায়। ঠাণ্ডা বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দিল।
সামনে বহতা ইছামতি। নদী এখানে অনেকটা চওড়া। জলে শাপলা ভাসছে। কাছে-দূরে ভাসমান ছোট-বড় জেলে নৌকা। কিছুক্ষণ দুজনেই আবেগরুদ্ধ। নদীর ওপারে দুজনেরই বাপ-পিতামহের ভিটে। এখন পরদেশ। নদীর মাঝখান দিয়ে অদৃশ্য কাঁটাতারের বেড়া। সে বেড়া পার হতে পাসপোর্ট লাগে। যদিও, অনুভূতি বলে, ইছামতির জলে ভেসে পড়লেই হয়। এক সাঁতারে পৌঁছে যাব, আজন্মের দেশে। দেশ কী শুধু ভূগোল ? সে যে হৃদয়ে বসবাস করে। টাকিতে বিজয়া দশমীর দিন দুই বাংলার দুর্গা ঠাকুর ভাসানের প্রথা সকলেরই জানা। সে এক অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা লাভ দুই বাংলার মানুষের। আমরা এদিন দেখলাম, নাকি শুনলাম, দুই দেশের মাঝিমাল্লার হাঁকডাক। তাতেই আবেগ টনটনে হৃদয়তন্ত্রী। সূর্য মাথার ওপরে। রোদ্দুর তাপ ছড়াচ্ছে। অগত্যা গেস্ট হাউসে ফেরা।

লাঞ্চে ডাল, আলু ভাজা, ইলিশের পাতলা ঝোল আর জলপাইয়ের টক। হালকা কিন্তু অতীব সুস্বাদু রান্না। খেয়ে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম গ্রাম প্রদক্ষিণ করতে। টাকির এই অঞ্চলটা আদতে গ্রাম আর শহরতলীর একটি মিশ্র চেহারা। তবে, শতাংশের হিসেবে গ্রামেরই প্রাধান্য। একটু ভিতরে গেলেই ঢেঁকি, ধানের মরাই এসব চোখে পড়ে। পাকা রাস্তার পর গাড়ি আর যেতে পারবে না বলে, একপাশে ড্রাইভার ভাই তাকে রাখার ব্যবস্থা করে। আমরা পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাই। দুপাশে নানা গাছের ঘন জঙ্গল। সবুজের আভায় চোখ জুড়িয়ে যায়। মেঠো পথ ধরে চলতে চলতে দেখি চাষের ক্ষেত, পুকুর, বাড়িঘর। একেবারে বাংলার নিটোল গ্রামের ছবি। আর একটু যাওয়ার পরই সামনে নির্মল জলের ইছামতি। সেখান থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল দেওয়া হচ্ছে নিকটস্থ জমিতে। ছিপ ফেলে মাছ ধরছেন একজন। তার পাশেই বাঁধা একটি ছোট্ট ডিঙি। সবটাই যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা জীবনের ছবি।
ফিরতে বিকেল। অস্তগামী সূর্য রাঙিয়ে দেয় নদীর বুক, বাড়ির উঠোন, গাছের গুঁড়ি, জংলা ঝোপ, ফুলের বাগান। সব মিলিয়ে সে এক অনির্বচনীয় দিন অবসানের ছবি। গেস্ট হাউসে ফিরে চা খেয়ে আবার ইছামতির পাড়ে। সকালের থেকে ভিড় বেশি সঙ্গত কারণেই। নদীতে এখন ঢেউয়ের প্রাবল্য। জোয়ারের সময় আগত। ইছামতির বুকে উচ্ছ্বাস স্পষ্ট। তার এই আনন্দের সুরেই কিছু তথ্য জানিয়ে দিই। টাকি হলো উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাট সাব ডিভিশনের অন্তর্গত একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। এলাকাটি মিউনিসিপ্যালিটির অধীন। সেই হিসেবে প্রাচীনতার পাশাপাশি কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়াও মেলে। এদিক-ওদিক ঘিরে বেশ কয়েকটি নদী, খাল, জলাভূমি একে অপরকে কোথাও ছুঁয়ে গেছে, কোথাও ক্রস করেছে। ফলে, উর্বর জমি। মাছ চাষেরও উপযোগী। সুন্দরবনও খুব দূরে নয়। অর্থাৎ এলাকাটি জঙ্গল অধ্যুষিত–গাছপালার বৈচিত্র্য-বৈভবে রূপসী।

ইছামতি অনেকটা দৃশ্যমান এখানে। সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো আছেই। এছাড়াও দেখতে পারেন রাজবাড়ী ঘাট, ইকো পার্ক, পূবের বাড়ি, গোলপাতা ফরেস্ট ইত্যাদি। বাংলার চিরন্তন গ্রামীণ সৌন্দর্য অপরূপ দৃশ্যপট তৈরি করেছে এখানে। টাকি ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরি, টাকি গভর্নমেন্ট কলেজ, টাকি গভর্নমেন্ট হাইস্কুল আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এলাকার প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে। রয়েছে টাকি এস এল গার্লস হাইস্কুল, টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুল ইত্যাদি। এই স্কুলগুলি শুধু উত্তর চব্বিশ পরগণা নয়, আশপাশের অনেকগুলো জেলা, এমনকী কলকাতার ছেলেমেয়েদের (আবাসিক স্কুল) শিক্ষার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বেশ বড় করে দুর্গা পুজো ও কালী পুজো সম্পন্ন হয় এখানে। দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের কথা তো আগেই বলেছি।
ট্রেনে বারাসাত-হাসনাবাদ লাইনে টাকি রোড রেলওয়ে স্টেশনে নেমে সেখান থেকে, বসিরহাট থেকে অথবা রাজ্য সড়ক ২-এর মাধ্যমে যাওয়া যায় টাকিতে। অর্থাৎ, রেলপথ বা সড়কপথ–দুভাবেই যেতে পারেন। মাঝেরহাট-হাসনাবাদ লোকাল ছাড়ে মাঝেরহাট স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল দশটায় (সময় পরিবর্তিত হতে পারে)। এই ট্রেনেই টাকি রোড স্টেশনে নেমে, যেতে পারেন টাকি। ট্রেনে পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা মতো লাগে। এছাড়া শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লাইনের লোকাল ট্রেনেও যেতে পারেন। টাকি রোড স্টেশনে নেমে টোটো, ভ্যান–দুইইপাবেন। টোটো ভাড়া ১০ টাকা, ভ্যান ৮ টাকা। পথ টাকি স্টেশন থেকে বেরিয়ে স্টেট হাইওয়ে ছুঁয়ে আবার টাকির দিকে চলে যায় মফস্বলের রাস্তা ধরে। বসিরহাট থেকে গেলে সুন্দরবনের নেবুখালির বাস টাকি হয়ে যায়। আবার হাসনাবাদের অটোও টাকি হয়ে যায়। তবে, গাড়িতে সরাসরি যাওয়াটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। ঘন্টা তিনেক মতো লাগে। এলাকায় এদিক-ওদিক যেতে ভ্যান, টোটো মেলে যথা প্রয়োজন। থাকার জন্য এখন বেশ কয়েকটি হোটেল, গেস্ট হাউস হয়েছে। তবে, আগাম বুকিং করে যাওয়াই ভালো। ইন্টারনেট সার্চ করে যোগাযোগ পেয়ে যাবেন।

সন্ধ্যায় কফি আর পকোড়ার ক্ষণিক নিবিড় আড্ডার পর আবার নদীর কাছে। একেবারে ইছামতির গা ঘেঁষে দাঁড়ানো গেস্ট হাউসের বাইরের আলো নদীর পাড় বাঁধানো রাস্তার অনেকটা আলোকিত করে রেখেছে। সেখানেই আবার ধারে ধারে বসার লোহার চেয়ার। আমরা আলো-আঁধারি একটা জায়গা খুঁজে বসি। নদীর বুক এখন পুরোটাই অন্ধকার। তবু, তাকে দেখা যায় অনুভবে। ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার ধ্বনি, প্রতিধ্বনি তোলে বুকে। দূরে টিমটিমে আলো জ্বলা জেলেডিঙি জলের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কিছু নৌকা ঘাটে বাঁধা। সেখানে এখন মাঝিদের রান্নার তোড়জোড়। ফোড়নের চেনা গন্ধে মিশে যায় পাশের ঝোপঝাড়ের জংলি ফুলের সুবাস। ডিনারে রুটি আর চিকেন। রাত নামে ইছামতির বুকে। নীরব চরাচর জুড়ে লেখা হয় তার কবিতার কলতান। ঘুম নামে চোখে। পরদিন সকালে ফেরা কাজের পৃথিবীতে। বিদায় ইছামতি।
★★ যখনই বেড়াতে যাবেন (নিয়মিত বিভাগ)
🌈 প্যাকিং ফান্ডা
🔺কি কি নিয়ে যাবেন তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন চটপট। এটা বেশ কয়েকদিন আগেই করুন। এতে জরুরি ও প্রয়োজনীয় জিনিস ভুলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
🔺ব্যক্তিগত জরুরি জিনিস, টাকাপয়সা, ট্রেন বা ফ্লাইটের টিকিট, হোটেলের বুকিং স্লিপ ইত্যাদি এমন জায়গায় রাখুন যা হাতের কাছে থাকবে অথচ বিশেষ যত্ন-খেয়ালও রাখা যাবে। ক্যামেরা, ল্যাপটপ ব্যাগের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য।
🔺 ফার্স্ট এড বক্স, সাধারণ জরুরি ওষুধ এবং আপনি নিয়মিত যে ওষুধ খান তা যথাযথ পরিমানে সঙ্গে রাখুন।
🔺 টর্চ-মোম-দেশলাই অবশ্যই রাখতে হবে।
🔺সানগ্লাস, ছাতা ও বর্ষাতি রাখতে পারলে ভালো।
🔺ভাঁজ নয় জামাকাপড় ফোল্ড করে প্যাক করলে কম জায়গায় বেশি পোশাক আঁটবে। আর জামাকাপড়ের ভাঁজও নষ্ট হবে না।
🔺জামাকাপড়-জুতো ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিন কোথায় যাচ্ছেন, সেই অনুসারে। যেমন, পাহাড়-জঙ্গল-সি বিচ যেখানে, সেখানে হিলতোলা জুতো নয়, স্পোর্টস শু জাতীয় হলে ভালো। আর পোশাকও প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। প্রসাধনী ও রূপচর্চার উপকরণও যেটা না হলে নয়, ততটুকুই। মনে রাখুন, বোঝা বাড়ালে পথে চলাফেরায় কষ্ট। শীতের জায়গায় যথেষ্ট শীতপোশাক রাখুন সঙ্গে।
🔺গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে সঙ্গে রাখুন কিছু শুকনো খাবার, টি ব্যাগ, কফি পাউডার, গরমজল করার ইলেকট্রিক কেটলি, কাগজের কাপ ও প্লেট, টিস্যু পেপার।


🌈 যাওয়ার আগে কি কি করবেন
◾যথাসম্ভব জায়গাটা সম্পর্কে আগাম খোঁজখবর নিয়ে নিন। স্পটে গিয়ে কি কি দেখবেন, কিভাবে সময় কাটাবেন, তার একটা ধারণা থাকলে সুবিধা হবে আপনার। বাজেট করা ও প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রেও এটা জরুরি।
◾জেনে নিন, কাছাকাছি এটিএম, প্রয়োজনে ডাক্তারের ব্যবস্থা আছে কিনা। না থাকলে সেই অনুসারে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
◾চেষ্টা করবেন থাকা-খাওয়া-যাতায়াত-সাইট সিয়িং-শপিং ইত্যাদি খরচাপাতির জন্য একটা নির্দিষ্ট বাজেট করে নেওয়ার।
◾বেড়াতে গিয়ে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, তার জন্য আগে থাকতেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
🌈 আগাম বুকিং এবং
এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত দিক। যাঁরা হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়েন, দল বেঁধে বা একা এবং বুকিংয়ের তোয়াক্কা করেন না, তাঁদের জন্য এই বিভাগ নয়। যাঁরা কিছুটা নির্ঝঞ্ঝাট বেড়ানো পছন্দ করেন, পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাঁরা সচরাচর এডভান্স বুকিং না করে যান না। আমি নিজেও সেভাবেই সারা জীবন ঘুরেছি। এই বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই এজেন্ট, পাহাড়ের ক্ষেত্রে হোমস্টে মালিক এবং সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে পর্যটকদের নানা বিষয়ে অশান্তির কথা শোনা যায়। এক্ষেত্রে যে সাবধানতা গুলি অবলম্বন করা যেতে পারে—
■ এজেন্ট সম্পর্কে ভালো করে আগে খোঁজ নিন
■পাহাড়ের হোমস্টে মালিকরা এমনিতে সৎ। কিন্তু ততটা পেশাদার এখনও নয়। কথাবার্তা, আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও ওদের কিছুটা সমস্যা আছে। ওদের ক্ষেত্রে বার বার জিজ্ঞেস করে, ভাষার কোনও সমস্যা থাকলে, সেটা কাটিয়ে উঠে, নিজের চাহিদা পূরণের ব্যাপারটা আগে থেকে বুঝে নিন।
■ কোনও কারণে বেড়াতে যাওয়া ক্যান্সেল হলে এডভান্স বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হয় না, এটাই নিয়ম। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার টাকা গচ্ছিত থাকবে ওই এজেন্ট, হোমস্টে মালিকের কাছে এডভান্স হিসেবেই। সেই সময়ের মধ্যে আপনি যেতে পারবেন সেখানে। এই বিষয়টিও বুকিংয়ের সময় পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।

🌈 কি করবেন
◾মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। যেখানে গেছেন, সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে যত বেশি মানিয়ে চলবেন, তত মজা-খুশি-আনন্দ অনন্য প্রাপ্তি হয়ে ধরা দেবে আপনার অভিজ্ঞতায়।
◾যথাসম্ভব পায়ে হেঁটে ঘুরুন। এতে জায়গাটির সত্যিকারের এসেন্সটা পাবেন।
◾জেনে নিন এলাকার মানুষের জীবন, তাদের শিল্প-সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও ইতিহাস।
🌈 কি করবেন না
◾যত্রতত্র প্লাস্টিক, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
◾লক্ষ্য রাখুন আপনার আনন্দ-উল্লাস যেন অপরের বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।