Monday, February 3, 2025
কৃষ্টি-Culture

বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাগৃহে বিআইসি এওয়ার্ড ২০২১-২২

গত প্রায় এক বছর (২০২১-২২) ধরে বিআইসি এওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল আন্তর্জাতিক শিল্পী সাহিত্যিক সম্মিলিত পরিষদ ‘বিশ্বভরা প্রাণ’। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় ১০০০ প্রতিযোগী। সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য–এই তিন বিষয়ের ওপর আন্তর্জালিক মাধ্যমে তিনটি রাউণ্ডের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ধাপ পেরিয়ে প্রতিযোগীরা ফাইনাল রাউণ্ডে নির্বাচিত হয়। ফাইনাল রাউণ্ডে দুই দেশ মিলিয়ে মোট ৪৫ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়। বহরমপুর, বীরভূম, নদীয়া, হুগলী, উত্তর ২৪ পরগণা ইত্যাদি জেলার ১৬ জন প্রতিযোগী ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তীর্ণ হয়।

গত ১৫ই জুলাই কলকাতার বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাগৃহে ‘বিআইসি এওয়ার্ড ২০২১-২২’ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বিশ্বভরা প্রাণ’, ভারত শাখা। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সমন্বয় ও তত্বাবধানে ছিলেন ‘বিশ্বভরা প্রাণ’, ভারত কমিটির সভাপতি আবৃত্তি ও সংগীতশিল্পী বিধুরা ধর। তাঁর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ঐক্যমতের কথা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত ‘বিশ্বভরা প্রাণ’-এর প্রাণপুরুষ, আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব  জাহান বশীর মহোদয়। প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন কবি দেবব্রত সিংহ। বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক ও লেখক রূপক চট্টরাজ, আবৃত্তিশিল্পী চন্দ্রিকা বন্দোপাধ্যায়। সমবেত সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ‘সুরসপ্তক’, সারথী মহুয়া চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার বিচারকগণ–ডঃ সত্যরঞ্জন বিশ্বাস (গান), মধুছন্দা তরফদার (আবৃত্তি), দেবাশিস ভট্টাচার্য (আবৃত্তি), পার্থ মুখোপাধ্যায় (গান), স্বরাজ ভট্টাচার্য (গান), সৌমিক ব্যানার্জী (আবৃত্তি) প্রমুখ। এদিন বিজয়ী প্রতিযোগীগণ পুরষ্কার গ্রহণের পাশাপাশি সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। তাঁদের উপস্থাপনা দর্শকদের মন জয় করে। অনুষ্ঠানে ‘বিশ্বভরা প্রাণ’-এর সুহৃদ-সারথীগণের মধ্যে গানের ডালি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন অসিত কুমার পাল, সারস্বত ও শাশ্বতী ব্যানার্জি। আবৃত্তি নিবেদন করেন রীনা রায়। সমবেত আবৃত্তি নিবেদন করে ‘কথামালা’, সারথী ইলা দেবনাথের নেতৃত্বে। এছাড়াও ‘সঙ্গীত সাধনা’ গ্রুপ তাদের সমবেত গানের ডালি নিয়ে উপস্থিত ছিল, সারথী তনুশ্রী চ্যাটার্জির নেতৃত্বে।

প্রধান অতিথি দেবব্রত সিংহ তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন বাংলা ভাষার অবক্ষয় ও তাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়ের কথা। বাংলাভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার নানা উদ্যোগের কথাও তিনি বলেন। জাহান বশীর বাংলাভাষা ও সংস্কৃতিকে উন্নত রাখার জন্য সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষদের এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি এও বলেন, বিশ্বায়নের কালেও বাংলা ভাষা তার সুমধুর আবেদনে সারা বিশ্বে আদৃত। বাঙালি হিসেবে এই অনুভূতি তুলনাহীন। অনুষ্ঠানটিকে আগাগোড়া কথার মালা দিয়ে গাঁথেন বাচিকশিল্পী মধুছন্দা তরফদার ও সৌমিক ব্যানার্জী। নিজস্ব প্রতিনিধি