স্টার জলসার জমজমাট পাঁচ
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। টিআরপির চক্করে মেগার অন্দরে ও বাইরে টানাপোড়েন তুঙ্গে। সেই অনুষঙ্গেই স্টার জলসার উপাচারে বেশ কিছু পরিবর্তন দর্শকদের জন্য। লিখেছেন শ্যামলী বন্দোপাধ্যায়।
দর্শকদের জন্য সুখবর নিয়ে এল স্টার জলসা। এখন আর সপ্তাহের পাঁচদিন নয়, সাতদিনই দেখানো হচ্ছে তাঁদের প্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ও ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। অর্থাৎ, এই ধারাবাহিক দুটির পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য দর্শকদের আর পরের সপ্তাহের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। মেগাদুটির প্রদর্শন সময় দর্শককুল জানেন। তবু, একবার বলে দিই। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ দেখান হয় প্রতিদিন রাত ৯.৩০ মিনিটে আর ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ প্রতিদিন রাত ১০টায়।
এই মুহূর্তে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-য় আমরা দেখছি, সূর্য দীপাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলেও তাদের মাঝখানে এসে পড়েছে তাদের সন্তান সোনা ও রূপা। সোনাকে সূর্য জানিয়েছিল, তার মা মারা গেছে। যদিও সোনা ও রূপার দিদিভাই মানে সূর্যর মা জানিয়ে দেন, তাদের মা বেঁচে আছে। তাই সোনা সরাসরি সূর্যকে প্রশ্ন করে, তার মা যদি মারা যায়, তাহলে, কাকে ডিভোর্স করতে চাইছে সূর্য? কী হবে শেষ পর্যন্ত? সূর্য কি দীপাকে ডিভোর্স দেবে নাকি সোনা ও রূপার অভীষ্ট সিদ্ধ হবে? অর্থাৎ বাবা ও মায়ের স্নেহে পূর্ণ হবে তাদের জীবন? এ নিয়েই আপাতত এগিয়ে চলেছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’।
মিতালী ও ভাস্করের দুরভিসন্ধির জন্য ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার জন্য শংকর এবং ঐশানী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। যদিও নিজেদের পরিবারের গর্ব পাইস হোটেল সসম্মানে আবার চালু করার সংকল্প নেয় তারা। তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করতে পারবে কী তারা ? পারলে তা কীভাবে? উদ্দেশ্য সিদ্ধ করতে গিয়ে আবার কোনও নতুন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বে না তো তারা ? শংকর-ঐশানী সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ‘আদি হরগৌরী পাইস হোটেল’ তৈরি করতে পারবে কিনা জানতে সকলেই উদগ্রীব ! তাদের এই যাত্রাপথ কেমন, তা দেখুন ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এ।
জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে কমলার বাপের বাড়ির আমন্ত্রণ পেয়ে মানিকরা সপরিবারে যায় তা রক্ষা করতে। এরমধ্যে আবার সেখানে হাজির হয় কমলার নেশাখোর, দুশ্চরিত্র কাকা, কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা খগেন। কমলার অনুরোধে তাদের সেখানে থাকতে দেওয়া হয়। খগেন মানিককে অপদস্থ ও অপমান করার চেষ্টা করলে, কমলা রুখে দাঁড়ায়। ওদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রীর জন্য আনা একটা দামি হার কমলার কাছে গচ্ছিত রাখে তার বাবা। সেই হারের দিকে নজর পড়ে কমলার কাকিমা ও বড় বৌদির। দুজনেই সেই হার চুরির ফন্দি আঁটে। শেষ পর্যন্ত কে চুরি করবে সেই হার? মানিক ও কমলা কি পারবে সেই চোরকে ধরতে? হাসি-মজায় জমজমাট পর্বগুলি দেখতে হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে চোখ রাখতে হবে ‘কমলা ও পৃথ্বীরাজ’ ধারাবাহিকে।
দুর্ঘটনার পর অনির্বাণ সুস্থ হয়ে উঠছে। অনির্বাণের বাড়ির লোকেরা তার অসুস্থতার জন্য রাধিকাকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ জানায়। তারা চায়, রাধিকার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাক। তা সত্ত্বেও রাধিকাকে অনির্বাণের সঙ্গে দেখা করার অনু্মতি দেয় পোখরাজ। রাধিকা ফুল নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তখন সেখানে হাজির হয় অনির্বাণের পিসি ও বাবা। তারা রাধিকাকে দেখে বিরক্ত হয়। রাধিকা বেরিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ডাক্তার এসে জানান, অনির্বাণ আর হাঁটতে পারবে না। তবে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করালে সে আবার চলতে পারবে। শেষ পর্যন্ত কি অনির্বাণ-রাধিকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে নাকি রাধিকার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে? জানতে হলে দেখতে হবে ‘এক্কা দোক্কা’ ধারাবাহিক, প্রতিদিন রাত ৯টায়।
কানাই মাস্টার নামে যে মানুষটি গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করে, তাকে অরিন্দম বলে সন্দেহ হয় নোলকের। কিন্তু কিছুতেই সেটা সে প্রমাণ করতে পারে না। অরিন্দমকে সামনে থেকে দেখা ও ধরার জন্য একদিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী হিসেবে সেই গ্রামের স্কুলে আর্থিক অনুদান ও লেখাপড়ার সামগ্রী নিয়ে হাজির হয় নোলক। যদিও কানাই মাস্টার দূর থেকে নোলককে দেখেই স্কুল থেকে বেরিয়ে যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোলককে তাঁদের গ্রামের ফলহারিনী পুজোয় আমন্ত্রণ জানান। নোলক ভাবে, সেইদিনই সে অরিন্দমের আসল রূপ ধরবে। সত্যিই কি সফল হবে নোলকের উদ্দেশ্য? দেখুন ‘গোধূলি আলাপ’ প্রতিদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে।