Monday, February 3, 2025
বিনোদনের ছোট বাক্স

ঈশ্বরের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখি

আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে।

একতা কাপুরের ‘ক্যায়সা ইয়ে প্যার হ্যায়’ থেকে মহম্মদ ইকবাল খানের উত্তরণ শুরু। সেখান থেকে আজকের ওয়েব সিরিজ ‘ক্র্যাকডাউন’–ইকবাল খান স্বমহিমায় উজ্জ্বল ! কাজ করেছেন সিনেমাতেও। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি অজন্তা সিনহাকে জানিয়ছেন তাঁর কাজ নিয়ে নানা কথা। দুটি পর্বে প্রকাশিতব্য সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব আজ।

টিভি ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজের মধ্যে অভিনয়ের কী কোনও পার্থক্য আছে ?  

ওয়েব সিরিজের নির্মাতারা জোর দেন, স্বাভাবিক অভিনয়ে। কারণ, সেটাই দর্শক চাহিদা। নির্মাতারা বলেই দেন, অভিনয় হবে যতদূর সম্ভব ব্যস্তবোচিত ও স্বাভাবিক। এটা একটা ভালো ব্যাপার। আগেই বলেছি, আমি নিজেও টিভিতে বরাবর স্বাভাবিক ও বাস্তবধর্মী অভিনয়ের চেষ্টা করেছি। তবে, মাঝে মাঝে নাটকীয় পরিস্থিতি অনুসারে অতিরঞ্জিত অভিনয়ও করতে হয়। সেটা আমিও টিভিতে করি। ওয়েব সিরিজে অবশ্য একেবারে স্বাভাবিক, কারণ, সেরকম অভিনয়ই সেখানকার দর্শকের চাহিদা। 

দর্শক চাহিদার ক্ষেত্রেও কী একই পার্থক্য ?

টিভি দর্শকের প্রতিক্রিয়া সাধারণত আসে ঘরোয়া মহিলাদের পক্ষ থেকে। আর ওয়েব দর্শকরা হন মূলত তরুণ প্রজন্ম ও পুরুষ দর্শক। মহিলারা তুলনায় কম। এই হিসেবেই চাহিদা ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্যটা ঘটে যায়। 

ওয়েব সিরিজ ‘ক্র্যাকডাউন’-এ তোমার অভিনয় দারুণভাবে স্বীকৃত। এখানে তোমার চরিত্রটি কেমন, সেই প্রসঙ্গে জানতে চাই। 

‘ক্র্যাকডাউন’-এ আমার নাম জোরাওর। জোরাওরের সঙ্গে প্রথম সিজনেই দর্শকের পরিচয় ঘটে গেছে। তবু, জানাই, দ্বিতীয় সিজনে এসে সে খুব জটিল চরিত্রের এক মানুষে পরিণত। গত সিজনের তুলনায় তার অন্তর্জগতে অনেক বেশি টানাপোড়েন, উথালপাথাল ঢেউ এখন। অর্থাৎ, আমাকেও সেই হিসেবে তুলনামূলক ভাবে চরিত্রের গভীরে গিয়ে শেডগুলো বুঝে অভিনয় করতে হচ্ছে। সেই দিক থেকে আমার জন্য সময়টা এখন খুব ভালো। জোরাওর সত্যি একজন রকস্টার। 

জোরাওর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতিপর্ব কেমন ছিল ?

ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে যে বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হয়, সেটা হলো পড়া (কনটেন্ট নির্ভর) আর একশন সিকোয়েন্সের প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে প্রচুর হোমওয়ার্ক করতে হয়। যখন থেকে আমাদের স্কাইডাইভিংয়ের শট নেওয়া শুরু হয়েছে, আমরা দিল্লিতে শুটিং করছি। দিল্লি এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটি জায়গায় কাজটি করা হচ্ছে। হরিয়ানায় মোটামুটি তিনঘন্টা ব্যাপী ড্রাইভ। আমরা একটি স্কাইডাইভিং স্কুলে গিয়ে ট্রেনিংও নিয়েছি। এই সবই প্রস্তুতির অংশ। এর বাইরে আমি জোরাওর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নিজে যেটা করেছি, সেটা হলো অপূর্ব লাখিয়া বর্ণিত জোরাওর সংক্রান্ত ম্যানারিজমগুলো অনুসরণ করা। যেভাবে জোরাওর কথা বলবে, সেটা আন্দাজ করে, সেইরকমই একটা প্যাটার্নকে পর্দায় আনা।

Img 20230715 Wa0044
ঈশ্বরের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখি 7

আপনি বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। যে কোনও কারণেই হোক, সেগুলো তেমন সাফল্য পায়নি। আপনার ভক্তরা কিন্তু সিনেমাতেও একই ভাবে আপনাকে দেখতে চায়। কারণ, আপনি তার হকদার। আশা করা যায়, খুব শিগগিরই সেটা দেখব আমরা।

আপনাকে ধন্যবাদ, এই বার্তার জন্য। এটাকে আমি প্রশংসা হিসেবেই ধরছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকলে, নিশ্চয়ই তাঁদের ইচ্ছা পূর্ণ হবে। আমি চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। আগামী দিনগুলিতে আরও কঠোর পরিশ্রম করব এবং নিজের লাইফ স্টাইল পরিবর্তনেও সচেষ্ট হবো আমি। আমি জীবনকে কাজের থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি এখন। কারণ, কাজ হলো জীবনের অঙ্গ মাত্র, জীবন তার চেয়েও বড়। অবশ্যই, কাজও জরুরি। যেমন, টাকাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো এখন আর আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি মনেপ্রাণে আশা করছি, কিছু অর্থপূর্ণ কাজের সুযোগ নিশ্চয়ই আসবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে। বিশ্বাস করি, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন মানুষ নিশ্চয়ই আছেন, যাঁরা কোনও একদিন আমার ক্ষমতার ব্যাপারে সচেতন হবেন। ভরসা রাখবেন আমার ওপর। সিনেমার ক্ষেত্রে আমাকে বড় সুযোগ দেওয়ার কথা ভাববেন তাঁরা। আমি ঈশ্বর ও তাঁর কাজের ওপর বিশ্বাস রাখি। আস্থা রাখি, আমার জন্য তিনি নিশ্চয়ই ভালো কিছু করবেন ভবিষ্যতে।