একল সঙ্গিনী ২০২৩
ফ্রেন্ডস অফ ট্রাইবালস সোসাইটি, সংক্ষেপে এফটিএস হলো ভারতের বৃহত্তম এনজিওগুলির অন্যতম, যারা ১৯৮৯ সাল থেকে কাজ করছে। বর্তমানে ৩৭টি মহিলা সমিতির সঙ্গে ভারত জুড়ে ৩৮টি অধ্যায়ের মাধ্যমে এরা কাজ করছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাক্ষরতা, আরোগ্য, উন্নয়ন শিক্ষা, মূল্যবোধ শিক্ষা এবং গ্রামোথন। এই পাঁচ গুণবিশিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করা হলো সংস্থাটির লক্ষ্য। মহিলা সমিতির অন্যান্য বড় প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে সেবা পত্র, কুটির উদ্যোগ এবং শবরী বস্তি–যা তাদের সর্বশেষ প্রকল্প।
সম্প্রতি কলকাতার তাজ বেঙ্গলে একল সঙ্গিনী যুব শাখার সঙ্গে যৌথভাবে মহিলা সমিতি দ্বারা একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এটি প্রদর্শনীর দ্বিতীয় সংস্করণ। প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘একল সঙ্গিনী–একটি অনন্য জীবনধারা’। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ফ্যাশন ডিজাইনার জয়া রাঠোর। অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, চিত্র পরিচালক সৌমিক সেন, চিত্র পরিচালক রাজর্ষি দে, অভিনেত্রী মল্লিকা ব্যানার্জি, অভিনেতা রাহুল দেব বোস প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিসেস ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ (দ্বিতীয় রানার আপ) ইশু হিরাওয়াত, WICCI প্রেসিডেন্ট অনুরাধা কাপুর, লেখক, কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক ইমরান জাকি, FACES-এর সভাপতি এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
এদিন কলকাতা এফটিএস মহিলা সমিতির সভাপতি প্রতিভা বিনানি সাংবাদিকদের জানান, “আমরা স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষায় বিশ্বাস করি। যদি একটি শিশু শিক্ষার কাছে পৌঁছাতে না পারে, তবে, শিক্ষাকে অবশ্যই সেই শিশুর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটাই হল ফ্রেন্ডস অফ ট্রাইবালস সোসাইটির মূল উদ্দেশ্য। সঙ্গে আমাদের গ্রামীণ ভাইদের পাশে দাঁড়ানো এবং একটি শক্তিশালী জাতি গঠনে অবদান রাখা। ৫৭টিরও বেশি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এই অসামান্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে।” তিনি বিখ্যাত কর্পোরেট হাউস এবং মহিলা সমিতির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যাঁরা পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিষয়টি সমর্থন করেন৷
কলকাতা এফটিএস সহ-সভাপতি পুষ্প মুন্দ্রা, সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “একলের সকলের পক্ষ থেকে, আমরা এখানকার স্টল হোল্ডার, দর্শনার্থী, প্রভাবশালী অতিথিবৃন্দ, স্পনসরদের অটুট সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই৷ এছাড়াও কৃতজ্ঞতা জানাই এফটিএস-এর পুরো টিমকে, আমাদের মিশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার জন্য। ওঁদের অবদান আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের উৎসাহ ও সহযোগিতা দ্বারা ভবিষ্যতে আরও অনেক অভাবী মানুষের জীবন স্পর্শ করতে পারব আমরা।”