‘চিরন্তনী’-র একগুচ্ছ মরমি নিবেদন
সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘চিরন্তনী’ যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে বাচিকশিল্পী বর্নালী সরকারের উদ্যোগে। উদ্দেশ্য, বাংলা কবিতা গান নাটক ইত্যাদির চর্চা ও প্রসার। একই সঙ্গে নতুন শিল্পীদের প্রশিক্ষণ ও সংস্কৃতিচর্চায় উৎসাহ দেওয়া। ইতিমধ্যেই চিরন্তনী আবৃত্তি প্রশিক্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। কবিতা নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজ, কবিতার প্রসার ও কাব্যপ্রেমীদের মধ্যে কবিতা নিয়ে আলোচনার আবহ তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বিশেষত্ব। কোভিড-পূর্ব সময়ে ‘চিরন্তনী’র উদ্যোগে বিভিন্ন মঞ্চে নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বহু প্রবীণ ও নবীন শিল্পী শ্রোতা-দর্শক ও গুণীজনদের মনোরঞ্জন করেছেন। গুণীজনের উপদেশ ও উৎসাহ চিরন্তনীকে এগিয়ে চলার প্রেরণা দিয়েছে।
কোভিড-পরবর্তীকালে, অনলাইনের মাধ্যমে ‘চিরন্তনী’ তাদের সাংস্কৃতিক কর্মধারা অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা ‘আমরা যদি থাকতাম’, ‘পদ্মাবোটের রবি’, যা অসংখ্য মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। এই মুহূর্তে ‘চিরন্তনী’র অন্যতম সাফল্য ‘চিরন্তনীর সকালের আড্ডা’। প্রতি শনিবার সকাল ৯টায় বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে গান, কবিতা আড্ডার আসর বসে ‘চিরন্তনী’র ফেসবুক পেজ আর ইউটিউব চ্যানেলে। আলাপচারিতায় থাকেন বর্ণালী। ‘চিরন্তনী আড্ডা’-র পথচলা শুরু হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। এ পর্যন্ত আমন্ত্রিত শিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবাশিস বসু, অদিতি গুপ্ত, শমিক পাল, দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, স্বরূপ ও স্বাতী পাল, অভিক মল্লিক এবং শ্রীধারা গুপ্ত মল্লিক।
সাম্প্রতিককালে, অনলাইন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে চিরন্তনীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ফোন-ইন-এর সুবিধা। টিভির অনুষ্ঠানে ফোনের মাধ্যমে সরাসরি শিল্পীর সঙ্গে কথা বলা যায়। কিন্তু ফেসবুক কিম্বা ইউটিউবে সেটা সম্ভব হতো না। ডাঃ পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকারের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে এখন ‘চিরন্তনী’র যে কোনও অনলাইন অনুষ্ঠানে শ্রোতারা শিল্পীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন। তাঁদের ভালোলাগা, পছন্দের গান-কবিতার অনুরোধ জানাতে পারেন। নিঃসন্দেহে এ এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।