‘জানকী’র হাত ধরে ছোটপর্দায় সুভাষ
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। ছোটপর্দায় মেগা প্রযোজনায় বলিউডের অন্যতম সেরা শোম্যান সুভাষ ঘাই। লিখেছেন সোমনাথ লাহা।
বলিউডের সেরা শোম্যান-দের একজন তিনি। প্রযোজক-পরিচালক সুভাষ ঘাই। আট ও নয়ের দশকে তাঁর তৈরি ছবির জাদুতে মোহাচ্ছন্ন ছিলেন হিন্দি ছবির দর্শক। ‘কর্জ’, ‘হিরো’, ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘কর্মা’, ‘সওদাগর’, ‘পরদেশ’, ‘তাল’-এর মতো সফল ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সুভাষ। এখনও অমলিন তাঁর সেই ছবিগুলির আবেদন। এমনকী ছবির গানও রয়ে গিয়েছে দর্শকের মনের মণিকোঠায়। বড়পর্দায় রীতিমতো সুপ্রতিষ্ঠিত পরিচালক সুভাষ ঘাই এবার পা রাখছেন ছোটপর্দায়। ধারাবাহিক ‘জানকী’র হাত ধরে অন্দরের দর্শক অন্তরে প্রবেশ ঘটছে তাঁর। সুভাষের প্রযোজনা সংস্থা মুক্তা আর্টসের ব্যানারে তৈরি হতে চলেছে এই ধারাবাহিক।
‘জানকী’–নারীর ক্ষমতায়নের নানা দিককে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য। এই বছরের মে মাস থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে ধারাবাহিকটি। আপাতত ২০৮ পর্বের জন্য পরিকল্পিত এই ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হচ্ছে এই মাস থেকেই। প্রসঙ্গত, ছোটপর্দা থেকেই বড়পর্দায় উত্তরণ ঘটে শিল্পীদের। টেলিভিশন থেকে বলিউডের আঙিনায় পা রেখেছেন অসংখ্য অভিনেতা। এহেন উত্তরণের একাধিক উদাহরণ রয়েছে। এমতাবস্থায় ছক ভেঙে হঠাৎ টেলি আঙিনায় কেন পা রাখছেন ‘ইয়াদে’, ‘যুবরাজ’, ‘কাঞ্চি’-র মতো ছবির পরিচালক ! সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের উত্তরে সুভাষের অভিমত, “আমার মনে হয় আধুনিক যুগের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হল টেলিভিশন। ‘জানকী’-র মাধ্যমে আমরা নারীবাদী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাই।”
প্রসঙ্গত, দূরদর্শনে দেখা যাবে এই ধারাবাহিকটি। ইতিমধ্যেই ‘জানকী’-কে নিয়ে নিজের প্রযোজনা সংস্থা মুক্তা আর্টসের সঙ্গে প্রসার ভারতীর শীর্ষকর্তাদের চুক্তির যাবতীয় কাজটি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন সুভাষ ঘাই। এ প্রসঙ্গে সুভাষের মন্তব্য,”দেশের সবচেয়ে বেশি দর্শকধন্য টেলিভিশন চ্যানেল হলো দূরদর্শন। গ্রাম-গঞ্জ, যেখানে প্রাইভেট চ্যানেলের নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও পৌঁছে যায় দূরদর্শন। সেই চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারাটা আমার কাছে অত্যন্ত সন্মানের।”
ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য লেখার কাজ। ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য লিখছেন জৈনেশ এজারদার, বন্দনা তিওয়ারি ও রেখা বাব্বল। ‘জানকী’-র সৃজনশীল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রুতুজা কাথে। ‘জানকী’-র পরিচালনায় রয়েছেন জিগনেশ বৈষ্ণব এবং ধর্মেশ। সুভাষ ঘাইয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন রাহুল পুরী। সহযোগী প্রযোজক বিশাল গান্ধী। এখন দেখার বিষয় এটাই যে বড়পর্দার মতো ছোটপর্দায় কতখানি সফল হন সুভাষ ঘাই ! আপাতত অপেক্ষার প্রহর গোনার পালা।