টেলিভিশন আমায় উজার করে দিয়েছে
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। মডেলিংয়ের হাত ধরে বিনোদন দুনিয়ায় পথচলা শুরু। তারপর তো বাংলা বিনোদনের সবক্ষেত্রেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন তিনি। একান্ত আলাপচারিতায় সম্রাট মুখোপাধ্যায়। কথা বললেন সোমনাথ লাহা।
মডেলিং থেকে তোমার অভিনয়ে আসা। অভিনয় আর মডেলিং দুটো আলাদা মাধ্যম। এখন তুমি পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু একেবারে শুরুতে কীভাবে দুটোকে আলাদা করলে ?
◾ এটা ঠিক, আমি মডেলিং থেকেই অভিনয়ে এসেছি। আমার মনে হয়, মডেলিং আর অভিনয় একে অপরের পরিপূরক। দুটো একেবারেই আলাদা কোনও মাধ্যম নয়। আমরা যদি মুম্বাইয়ের দিকে তাকাই–অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, মিঠুন চক্রবর্তী বা যে কোনও সুপারস্টারকে দেখি, দেখা যাবে, তাঁদের কেউ অভিনেতা হওয়ার পর মডেলিং করেছেন। আবার কেউ মডেল থেকে অভিনেতা হয়েছেন। জিনাত আমন, জ্যাকি শ্রফ, সুস্মিতা সেন, ঐশ্বর্য রাই, লারা দত্ত, জন আব্রাহাম–এরকম অসংখ্য নাম রয়েছে, যাঁরা মডেলিং থেকে পরবর্তীকালে সিনেমায় এসেছেন। শুরু থেকেই আমার মনে হয়নি, যে, দুটোকে আলাদাভাবে আমাকে হ্যান্ডেল করতে হবে। আমি মডেলিংয়ের মধ্যেও প্রচুর অভিনয়ের উপাদান যোগ করেছি। আবার অভিনয়ের ক্ষেত্রেও মডেলিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি। তার প্রমাণ পাওয়া যায় আমার ‘বউ কথা কও’ বা এরকম অনেক সিরিয়ালেই।
‘বউ কথা কও’-তে সাগর সেন কিংবা ‘খনা’ ধারাবাহিকে খনার পিতার মতো চরিত্রে অভিনয় করে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছ। কিন্তু ইদানীং তোমাকে তুলনায় কম দেখা যায় টিভিতে। এর কারণ কী ?
◾আজ থেকে ১২-১৩ বছর আগে যে কোনও রকম চরিত্র দিলে আমি ‘হ্যাঁ’ বলে দিতাম। কিন্তু
এখন আমি এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখান থেকে আমাকে খুব choosy হয়ে যেতে হয়েছে। যে কোনও রোলে আর ‘হ্যাঁ’ বলতে পারছি না। আর টেলিভিশনের যেটা সমস্যা হলো, যেই তুমি টানা অনেকগুলো বছর কাজ করে ফেলেছ টিভিতে, তখনই তাকে বাবা-কাকা-দাদা এইসব চরিত্রে ঠেলে দেওয়া হয়। সেই জায়গাটায় আমি দাঁতে দাঁত চেপে রেখেছি। আমি চেষ্টা করি, যাতে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো করা যায়–সেটা লিড, প্যারালাল-লিড বা একেবারে মেন ভিলেনের চরিত্র হলেও আপত্তি নেই। তারজন্যই এখন একটু ধৈর্য্য ধরতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই ঠিক রোলের অফার আসছে না। হয়তো বা এমন একটা চরিত্রের অফার এলো, যে রোলটা আমার পছন্দ হচ্ছে না। মোদ্দা কথা, যে কেউ একটা ফোন করতেই, আমি চট করে গিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম, সেটা হচ্ছে না।
অতি সম্প্রতি ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এ বেশ অন্যরকম চরিত্র রুদ্র সেনগুপ্তর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তোমায়। এই চরিত্রের কোন দিকটা তোমাকে আকর্ষণ করেছিল, যার জন্য তুমি এই কাজটা করতে রাজি হলে?
◾ এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমি আমার কেরিয়ারের শুরুর থেকে এখনও অবধি সবসময় ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ চরিত্র পেয়েছি। সবসময় হয় নামকরা বিজনেসম্যান, নাহলে টিচার, গ্রুমার, উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার, সাংঘাতিক বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট–এই ধরনের চরিত্রই পেয়েছি। এইখানে চরিত্রটা ছিল একটি গরীব ছেলের। সে খুব মন-প্রাণ দিয়ে পড়াশোনা করে কলেজে টপার হয় এবং এখন সে সেই কলেজেরই একজন অধ্যাপক। আমি এখনও অবধি এই ধরনের চরিত্র কখনও পাইনি। সেই কারণেই আমার কাছে এই প্রাপ্তিটা একেবারেই নতুন ছিল। আমার ২০ বছরের অভিনয় জীবনে এটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র বলা যায়। তাই আমি যে মুহুর্তে এই চরিত্রটার কথা শুনি, ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে ওরা চরিত্রটির বিন্যাসে একটু পরিবর্তন করতে চাইল। সেই কারণে আমি আর করিনি চরিত্রটা, সরে আসি।
ওয়েব সিরিজে তোমায় তেমন পেলাম না কেন ?
◾টেলিভিশনে কাজটা round the clock করতে হয়। মানে সপ্তাহে সাতদিনের মধ্যে চারদিন বা তিনদিনই শুটিংয়ের ব্যস্ততা থাকে। ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেকগুলো ডেটের প্রয়োজন হয়। যাঁরা মেগা সিরিয়াল করেন, তাঁদের পক্ষে ওয়েব সিরিজে কাজ করাটা একটু অসুবিধাজনক তাই। লক্ষ্য করে দেখবে, যাঁরা টেলিভিশনে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, তাঁরাই মূলত এখন ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। এবার আমরা যেহেতু নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করেছি, পিঠে একটা তকমা লেগে গিয়েছে। সম্রাটদা ডেট দিতে পারবেন না বা ব্যস্ত–তাঁর ডেট পাওয়া সম্ভব নয়–এই অলিখিত কথাগুলো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচারিত। সেই কারণেই আমরা সহজে ডাক পাই না ওয়েব সিরিজ নির্মাতাদের কাছ থেকে। এই ডেটের অভাবের জন্য আর কি!
বড়পর্দায় তোমার অভিনয়ের শুরু হয়েছিল অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত ‘চন্দ্রমল্লিকা’ ছবির হাত ধরে। এরপর আর বড়পর্দায় সেভাবে তোমাকে পাওয়া গেল না কেন?
◾’চন্দ্রমল্লিকা’ কিন্তু সেভাবে সাফল্য পায়নি। আর পায়নি বলেই সিনেমার ক্ষেত্রে আমার কেরিয়ারটাও সেভাবে এগোয়নি। ছবিটা এমনিতে খুব খারাপ হয়নি। কিন্তু production value wise তখন বাংলা সিনেমা খুব সুন্দর একটা জায়গায় যাচ্ছে। মানে আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম ওই সময়ে ‘সাথী’, ‘শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ’–যে সব সিনেমাগুলো তৈরি হচ্ছে, সেই সময়ে তাদের বাজেট বড় হয়ে গিয়েছে। ঝাঁ চকচকে ছবি তৈরি হচ্ছে। এহেন সময়ে অঞ্জন চৌধুরী সেই আটের দশকের স্টাইলে একটা সিনেমা তৈরি করলেন। সেটার মধ্যে কোনও ঝাঁ চকচকে ব্যাপার ছিল না। ফলে, দর্শক ছবির গল্প পছন্দ করলেও, মেকিং পছন্দ করেননি। ছবিটা না চলার দরুণ, আমার হাতে সেই সময় আরও ৭-৮টা ছবি ছিল। কিন্তু সেই ছবিগুলোর মধ্যে সিংহভাগই বন্ধ হয়ে যায়। হাতে আর ২-৩টে ছবি পড়ে থাকে। সেই প্রযোজকরাও ঘাবড়ে গেলেন। তাঁরা ভাবলেন সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের ওপর খুব বেশি লগ্নি করলে লাভ হবে না। এই কারণে সেই ছবিগুলোর বাজেটও কমে আসে। সব মিলিয়ে পরের ছবিগুলোও সেভাবে চলে না। তারপর ২০০৭-এ এসে আমি রবি ওঝার হাত ধরে ‘মোহনা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করি। সত্যি কথা বলতে, এই সময়ই আমি অপরিসীম সাফল্য পেলাম। টেলিভিশন আমাকে যা দিয়েছে, আমি কল্পনা করতে পারি না। তাই আমার কোনওদিনই সিনেমা যে করিনি, সেই আক্ষেপটা আর থাকেনি।
সম্রাটদা, তুমি বড়পর্দায় একটি গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেছিলে স্বপন ঘোষালের পরিচালনায়, কৃশানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গোয়েন্দা বাসবের চরিত্রে। এই ছবিটি সেভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছলই না। এর কারণ কী বলে মনে হয় তোমার ?
◾ এর জন্য দায়ী পুরোপুরি প্রযোজক-পরিচালক স্বপন ঘোষাল স্বয়ং। উনি না ঠিক করে মেকিংটা করলেন, না সেটার ঠিকমতো পাবলিসিটি করলেন! খুব অল্প বাজেটে বানানো ছবি। মেকিং অতি সাধারণ। যদিও গল্পটা শক্তিশালী ছিল। চিত্রনাট্যটা স্বপনদার স্ত্রী লিখেছিলেন। চিত্রনাট্যও ভীষণ ভালো ছিল। ছবির মেকিংটা যদি এই সময়ের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা যেতে পারত ! মেকিং যথাযথ হলে, ছবিটা অবশ্যই চলত। ঠিকমতো পাবলিসিটি, ছবি রিলিজের জন্য তেমনভাবে খাটাখাটনি কিছুই করা হলো না। সেই কারণে সিনেমাটা দর্শকের কাছে পৌঁছালো না।
একটা সময় টানা যাত্রার মঞ্চে অভিনয় করেছ তুমি। সেই অভিজ্ঞতা তোমার কেরিয়ারে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে ?
◾ দারুণ ইতিবাচক হয়েছে আমার জন্য। কারণ, আমি এমন একজন অভিনেতা যে স্টেজ, থিয়েটার এসব করে পরবর্তী সময়ে সিনেমায় অভিনয় করতে এসেছিলাম, তা নয়। ৩-৪ বছর যাত্রা করে আমার সাংঘাতিক একটা stage-এর exposure হয়েছিল। যাত্রা তো নাটকেরও বাবা। মানে তিনদিক খোলা। গাইতে হচ্ছে, নাচতে হচ্ছে, অভিনয় করতে হচ্ছে, ফাইট করতে হচ্ছে। এই সবটাই মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে। যাত্রা থেকে আমি যা শিখেছি, তার অবদান অনস্বীকার্য। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে আমরা প্রচুর অর্থও উপার্জন করেছি। আমি আর আমার স্ত্রী ময়না–আমরা দু’জনে মিলেই যাত্রা করতাম। আর আমাদের যে প্রাথমিক স্ট্রাগলটা ছিল, সেটা কিন্তু আমরা পার করেছিলাম এই যাত্রা করেই।
এবার একটু নাচের প্রসঙ্গে আসি। নাচের দিকটা তোমার কেরিয়ারের একটা শক্তিশালী জায়গা। অভিনয়ের ক্ষেত্রে নাচ কতটা সাহায্য করেছে ? এছাড়া, স্টেজ পারফরমেন্স-এর জায়গাটাও বলো। টিভির অ্যাওয়ার্ড ফাংশন থেকে রিয়ালিটি শো–নাচ প্রোফাইল তৈরির ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর ?
◾সাংঘাতিক ! আমি তো আমার ইনস্টিটিউটের ছেলে-মেয়েদের বলি যে নাচটা জানলে, তুমি একটা পরিপূর্ণ পারফর্মার হবে। সেটা ফাংশান বলো, রিয়ালিটি শো বলো–প্রত্যেকটি জায়গায়। আমি নাচটা জানতাম বলেই একটানা ৭-৮ বছর মহালয়াতে বিভিন্ন চ্যানেলে কোনও সময় অসুর, কোনও সময় শিবের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে মহিষাসুরই নায়ক। আমি ৭ বছর পর পর মহিষাসুর করেছি। ২/৩ বার পর পর শিব করেছি। এই করে একটা লম্বা সময় আমি নাচের জন্য মহালয়াতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই আমার মনে হয় নাচটা যে কোনও আর্টিস্টেরই জানা উচিত। নাচটা জানলে, রোজগারের পন্থাও খুলে যায়।
তুমি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় প্রশিক্ষণ ও নতুনদের গ্রুমিংয়ের কাজটা করছ। এক্ষেত্রে কিছু অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করো !
◾ এও এক দীর্ঘ যাত্রা। একেবারে সেই মিমি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়, অন্বেষা হাজরা, সৈয়দ আরেফিন–কে নেই ? টেলিভিশনের পর্দা খুললেও আমার ছাত্র-ছাত্রী, সিনেমার পর্দাতেও আমার ছাত্র-ছাত্রী। এমনকি নিউজ চ্যানেলে, রেডিওতেও আমার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। মঞ্চে যারা সঞ্চালনা করছেন, তাঁরাও আমারই ছাত্র-ছাত্রী। তাই নিজেকে ভীষণ সমৃদ্ধ মনে হয়। আমি যে শুধু অভিনয় করেছি, তা নয়। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অবদান শুধুমাত্র অভিনয় নয়। আমি প্রচুর নতুন চেহারাকেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছি এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত করিয়েছি।
তুমি তথাগত মুখোপাধ্যায়ের single shot বাংলা ছবি ‘গোপনে মদ ছাড়ান’-এ কাজ করেছ। সেই অভিজ্ঞতার কথা যদি একটু বলো।
◾এটা খুব interesting অভিজ্ঞতা হয়েছিল। কারণ, এটা যেহেতু single shot সিনেমা ছিল, তাই পুরো ছবির চিত্রনাট্যটা মুখস্থ রাখার ব্যাপার ছিল। ঠিক নাটক বা যাত্রাতে যেমন আমরা পুরো script মুখস্থ করে মঞ্চে উঠি। ঠিক তেমনই এখানে পুরো চিত্রনাট্য মুখস্থ করতে হয়েছিল। আমরা প্রায় পাঁচ-সাতদিন ধরে উত্তর কলকাতার গলিগুলোতে সারারাত শুটিং করেছি। দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। ছবিটা রিলিজ করলে, প্রচুর মানুষ সম্রাট মুখোপাধ্যায়কে একদম অন্যরকম একটা চরিত্রে দেখতে পাবেন। এই প্রথমবার আমাকে কেউ কমেডি চরিত্রে দেখবে এবং সেটা ব্ল্যাক কমেডি। তথাগতকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, যে, সে আমাকে একদম আলাদা ধরনের একটি চরিত্রে ভেবেছে।
তোমাকে কি কোনওদিন আমরা বড়পর্দায় ছবি পরিচালনা বা প্রযোজনায় দেখতে পাবো ?
◾অবশ্যই দেখতে পাবে। আমি আর দু’একটা বছর অপেক্ষা করে যাই। দেখি কি হচ্ছে! আমার অভিনয় জীবনটা কতদূর কি হচ্ছে! তারপরই আমি পুরোদস্তুর প্রযোজনা বা পরিচালনার দিকে যাব। আমার মনে হয়, যখন একটা বাড়ির সব জানালা-দরজা বন্ধ হয়ে যায়, তখন চিলেকোঠা দিয়ে দরজা ভেঙে ঢুকতে হয়। তাই পাইপ বেয়ে একেবারে বিল্ডিংয়ের উপরে উঠে চিলেকোঠার ঘর দিয়ে নিচে নামব বাড়িটার। যখন দরজা-জানালা সবই বন্ধ। যখন দেখব যে আমাকে পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন বাজার অভিনেতা হিসেবে কাজে লাগাতে পারছে না, তখন আমি অবশ্যই পরিচালনা বা প্রযোজনার দিকে এগিয়ে যাব। সেটার আর খুব বেশি দেরি নেই। কয়েক বছরের মধ্যেই আমি সেই চেষ্টা করবো।
এবার তোমার পুজোর কি প্ল্যানিং? কলকাতায় থাকবে নাকি কলকাতার বাইরে পুজো কাটাবে?
◾এবার পুজোয় আমি Turkey (তুরস্ক) যাচ্ছি। আমি সাধারণত পুজোতে ভারতবর্ষে থাকি না। কারণ, ওই সময় কলকাতায় তেমন কিছু করার থাকে না। আমার বন্ধু-বান্ধবও খুব কম। তাই বন্ধুদের সঙ্গে কারও বাড়িতে গিয়ে আড্ডা মারব, সেই সুযোগ নেই। পুজোর কয়েকটা দিন ভীষণ boring কাটে। সেইজন্য পুরো পরিবার সহ আমি টার্কি ঘুরতে যাচ্ছি। টার্কিতে বিভিন্ন জায়গা–ইস্তাম্বুল সহ নানা জায়গায় আমরা ঘুরব। একেবারে একাদশী পেরিয়ে ফেরত আসবো। সবাইকে পুজোর আগাম শুভেচ্ছা জানালাম। পুজোয় সবাই খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আনন্দ করে কাটাবেন।
অভিনেতার ফেসবুক প্রোফাইল
https://www.facebook.com/samrat.smpai?mibextid=LQQJ4d
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট