ধর্মেন্দ্র-শাবানার চুম্বন এবং…
বিনোদনের সাংবাদিকতা মানেই কী না-খবর, আরও ভালো করে বলতে গেলে, জঞ্জাল দিয়ে পাতা ভরানোর প্রক্রিয়া ? সাম্প্রতিক কালের এহেন জঞ্জাল থুড়ি বাজার গরম করা যে খবরটিকে কেন্দ্র করে উত্তাল তামাম বিনোদন মিডিয়া, তা হলো, করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে ধর্মেন্দ্র-শাবানা আজমির চুম্বনদৃশ্য। যেন এর আগে কখনও ভারতীয় সিনেমার পর্দায় এমনটা ঘটেনি ! নাকি তাঁদের একজন প্রায় নব্বই, আর একজন বাহাত্তর পার করেছেন–সেটাই খবরটিকে আরও মুচমুচে করে তুলেছে !
এমন নয়, শুধু দৃশ্যটি নিয়েই আলোচনা চলছে। বিনোদন সাংবাদিককুল এ বাবদ হেমা মালিনী থেকে শুরু করে ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওলের প্রতিক্রিয়া জেনেছে এবং জনতাকে দায়িত্ব নিয়ে জানিয়েছে। হেমাজি খুবই সহজভাবে এবং মজার মেজাজেই বিষয়টিকে গ্রহণ করেছেন। সানিও বলেছেন, তাঁর বাবা যা ইচ্ছা, তাই করতে পারেন। বলা বাহুল্য, মিডিয়া যা করে, সোশ্যাল মিডিয়া তার থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে থাকে এসব ক্ষেত্রে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা এমনিতেই অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি করে। বুঝতেই পারছেন, ধর্মেন্দ্র-শাবানা আজমির চুম্বনদৃশ্যটি এক্ষেত্রে একেবারে সোনায় সোহাগা !
দেখেশুনে মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কোন সময়ে দাঁড়িয়ে ? দুটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক ও অভিব্যক্তির পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সিনেমা বা অন্য যে কোনও বিনোদন মাধ্যমে উঠে আসাটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। স্মার্টফোনের সৌজন্যে সারা বিশ্বের বিনোদন এখন হাতের মুঠোয়। সেই নিরিখে চুম্বনদৃশ্য নিতান্তই নিরামিষ বলা যায়। প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে চূড়ান্ত যৌনদৃশ্য দেখায় অভ্যস্ত জনতা ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-র চুম্বনদৃশ্য দেখে এত বিস্মিত হওয়ার যুক্তি কী ? এক্ষেত্রে একটাই জবাব মনে আসে, দেশের অধিকাংশ মানুষকে বিনোদন মাধ্যমগুলি যা খাওয়ায়, তাই খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে তারা।