Sunday, May 19, 2024
৫ফোড়ন

গানের পরিণীতি

বিনোদন দুনিয়ার টক-ঝাল-মিষ্টি খবর এই কলমে। লিখছেন সোমদত্তা রায়

গত বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁর গানে মাতোয়ারা নেটিজেনরা। যদিও সেই অর্থে সঙ্গীতশিল্পী বলে পরিচিত নন তিনি। তবে, পরিণীতি চোপড়ার রক্তেই রয়েছে গান। শোনা যায়, তাঁর বাবাও খুব ভালো গান গাইতে পারেন। সম্পর্কিত দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে গানের জগতে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর সিঙ্গলগুলি বাজারে রীতিমতো সমাদৃত। গান বহু আগে থেকেই শো বিজনেসের অন্তর্গত। সেদিক থেকেও প্রিয়াঙ্কার গ্ল্যামার ও মারকাটারি অ্যাপিল, তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে।

সেই নিরিখে যদি বলা যায়, পরিণীতি কিন্তু শোবিজ দুনিয়ার যাবতীয় ছলাকলার বাইরে গিয়ে নিজের সঙ্গীতশিল্পী সত্বাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। টিভির বিভিন্ন রিয়ালিটি শো, অ্যাওয়ার্ড ফাংশন এবং নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট–সর্বত্র তাঁর গান বিপুল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পরিণীতি জন্মগতভাবেই সুকণ্ঠী। সাঙ্গীতিক ভাবেও দক্ষ তিনি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিণীতির স্বতন্ত্র অভিব্যক্তি, যা তাঁর গানে দারুণ এক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে।

সম্প্রতি লতাজির কালজয়ী গান ‘রহে না রহে হাম…’ গেয়ে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আপলোড করে, পরিণীতি ক্যাপশনে লিখেছেন–কিছু গান শুধুই সুর নয়, সেগুলো অনুভূতি। বলতে দ্বিধা করব না, গানটি  যথার্থই নিজের অনুভূতির ব্যঞ্জনায় গেয়েছেন তিনি। কোথাও লতাজিকে অনুকরণ করেননি। তাঁর ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে পরিণীতি গানটি আপলোড করার পর, মাত্র দু’ঘণ্টায় ভিডিওর নিচে ১ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে, যার সবগুলিই শ্রোতাদের বিপুল উচ্ছ্বাসের প্রকাশে আপ্লুত।

২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’ ছবিতে সোনু নিগমের সঙ্গে ডুয়েটে ‘মানা কে হাম ইয়ার নেহি’ গানটি গেয়েছিলেন পরিণীতি। ইউটিউবে গানটির ভিউ হয় ১১৯ মিলিয়ন। ২০১৯ সালে পরিণীতির কণ্ঠে আমরা শুনি ‘কেসরি’ সিনেমার ‘তেরি মিট্টি’ গানটি। এটির ভিউ ছাড়িয়েছে ১৩২ মিলিয়ন। বোঝাই যাচ্ছে নিজগুণেই তিনি বলিউডের মিউজিক কম্পোজারদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন।

অভিনেত্রী হিসেবে পরিণীতি অত্যন্ত সহজাত ও সাবলীল। যতটুকু কাজ করেছেন, ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছেন দর্শকমনে। তবে, তাঁর গানের আবেদন পরিণীতিকে বি টাউনে এক পৃথক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে। বলিউডের অনেক তারকাই ছবিতে গান গেয়েছেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন থেকে মাধুরী দীক্ষিত ও জুহি চাওলা। কিন্তু পরিণীতির ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। তিনি মিউজিক নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা (মিউজিকে স্নাতক ডিগ্রিধারী) করেছেন। নিছক ছবির প্লেব্যাক নয়, তাঁর একক অ্যালবাম এই মুহূর্তে প্রকাশ পেলে, সে গানের সফল হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট তীব্র। তাঁর গানের ভক্তদের কথায়, একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে আকাশচুম্বী সাফল্য পেতে পারেন তিনি অচিরেই।