বর্ণমালার নিবেদনে উপভোগ্য এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
বর্ণমালা সাংস্কৃতিক পরিবারের পক্ষ থেকে গত ১৮ই জুন রবীন্দ্র-নজরুল স্মরণে একটি ঘরোয়া বৈঠকী আড্ডার আয়োজন করা হয়েছিল। চরম হতাশা, অসহায়তা যখন আমাদের গ্রাস করে ফেলছে, আমরা ভুলতে বসেছি বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য–ঠিক তখনই কিছু মানুষের এই জাতীয় একটি উদ্যোগ আমাদের অক্সিজেন দেয়, দেয় অনেকটা আশা-ভরসা।
অনুষ্ঠানটি মূলত সাজানো হয়েছিল গান আর কবিতায়। শুরু হলো ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ সমবেত রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে। এরপর আরও দুটি সমবেত গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি, ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ এবং ‘কারার ওই লৌহকপাট’ পরিবেশিত হলো, যা ছিল অত্যন্ত সুখশ্রাব্য। এর পর একে একে গান পরিবেশন করেন ইরা মুখার্জি, শ্যামলী ব্যানার্জি, সুতপা পাঠক, দীপা সান্যাল, নারায়ণ সরকার, রঞ্জনা গুহ, বৃষ্টি নন্দী, পার্থসারথী নন্দী। প্রত্যেকেই সুকণ্ঠের অধিকারী ও সকলের পরিবেশনেই সুশিক্ষার ছাপ স্পষ্ট। আবৃত্তি পরিবেশন পৃথ্বী পরমা মাইতি, গৌরব ভঞ্জ, সীমা খাঁড়া, কুনাল পাঠক এবং সুব্রত মিত্র ছিলেন অত্যন্ত পরিশীলিত। নজরুলগীতির চর্চা ইদানীং প্রায় বিলুপ্ত। এমনই এক প্রেক্ষিতে নীলোৎপল ভট্টাচার্য এবং তনুশ্রী সেনগুপ্ত মিত্রর নজরুলগীতি পরিবেশনা আমাদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছে ছোট্ট রূপকথা। তার সাবলীল কণ্ঠে গাওয়া ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’ এককথায় ছিল অনবদ্য। আগামী প্রজন্মও যে বাংলা সংস্কৃতিকে লালন করবে রূপকথা তার প্রমান।