Monday, February 3, 2025
কৃষ্টি-Culture

সন্দেশ ১১০-এ ক্যালেন্ডারে সন্দেশ পত্রিকা

দ্য ড্রিমার্স মিউজিক পি আর এজেন্সির দশ বছর ব্যাপী ক্যালেন্ডার প্রকাশের শুভ লগ্নে এবারের উপহার ‘সন্দেশ’ পত্রিকার প্রচ্ছদ। পরিকল্পনায় সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দ। সহযোগিতায় জিনিয়াস কিডস। গত ২১ জানুয়ারি আইসিসিআর-এর স্পাইসেস এন্ড সসেস ক্যাফেতে সন্দীপ রায়ের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হলো এই বিশেষ ক্যালেন্ডার। প্রসঙ্গত, এবছর ‘সন্দেশ’ পত্রিকার ১১০ বছর। পত্রিকার বিবর্তন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক সন্দীপ রায়, প্রকাশক অমিতানন্দ দাশ, বিশিষ্ট আর্কাইভিস্ট দেবজিৎ বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সত্যজিৎ গবেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, জিনিয়াস কিডস-এর বিকাশ কুমার সিং, দ্য ড্রিমার্স-এর সুদীপ্ত চন্দ প্রমুখ। এই ক্যালেন্ডারকে ঘিরেই উপেন্দ্রকিশোর থেকে সন্দীপ–রায় পরিবারের চার প্রজন্মের কাজ জনসমক্ষে এল এক অনবদ্য পরম্পরায়।

উল্লেখ্য, ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর হাত ধরে এই পত্রিকার যাত্রা শুরু। ইউ রায় এন্ড সন্স ছিল এর প্রকাশক। এর সাথে যুক্ত ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর ও তাঁর দুই পুত্র সুকুমার এবং সুবিনয়। যাত্রা শুরুর পর দু’বার এই পত্রিকা ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল–প্রথমবার ১৯২৯, পরে ১৯৩৪। সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে পত্রিকার নতুন রূপে পথ চলা শুরু ১৯৬১-তে। সঙ্গী সহ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সত্যজিতের ছোট গল্পের হাত ধরে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কুর মতো চরিত্রের আত্মপ্রকাশ সন্দেশের পাতায়। ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’-র মতো গল্পও প্রকাশ পায় সন্দেশে। নয়ের দশকে পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সন্দীপ রায়, সঙ্গী অমিতানন্দ দাশ।

Img 20230201 Wa0056
সন্দেশ ১১০-এ ক্যালেন্ডারে সন্দেশ পত্রিকা 3

বিভিন্ন সংখ্যায় ‘সন্দেশ’-এর প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছেন অনেকেই। তবে, রায় পরিবারের চার প্রজন্ম এতে নিয়োজিত থেকেছেন বিশেষভাবে। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ এবং সন্দীপ। ক্যালেন্ডারে এই চারজনের কাজকেই তুলে ধরা হয়েছে। ছ’পাতার এই দেওয়াল ক্যালেন্ডার নিয়ে সন্দীপ রায় বললেন,”খুবই ভালো উদ্যোগ ‘সন্দেশ’-এর ১১০ বছরকে স্মরণ করা, ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে। ছোটদের পত্রিকা বলতে সন্দেশের কথা অনস্বীকার্য। দিকপাল সব লেখকদের কাজে বছরের পর বছর সমৃদ্ধ হয়েছে এই পত্রিকা। একশো বছর পেরিয়ে, এখনও প্রকাশিত হচ্ছে। এই ক্যালেন্ডারে বেশ কিছু প্রচ্ছদ ব্যবহার করা হয়েছে যা এই পত্রিকার গৌরবের দিনগুলোকে স্মরণ করায়।” উদ্যোক্তা সুদীপ্ত চন্দ জানান, “এই পত্রিকা আমিও পড়েছি, মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুরে পড়ার সময়। আমার লেখাও প্রকাশিত হয়েছিল এতে। আমার খুব ভালো লাগছে আমাদের সংস্থার দশ বছরে এই বিশেষ ক্যালেন্ডারটা প্রকাশ করতে পারার জন্য।”