আপনাকে ভুলবো না
একজন সংবেদনশীল মানুষ। একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন পরিচালক। আপোষহীন ছিলেন। বিদায়ও নিলেন মেরুদন্ড সোজা করেই। লিখেছেন অজন্তা সিনহা।
বাঙালি তার মেরুদন্ড সোজা রাখতে পারে এখনও, এই ভঙ্গুর সময়ে চিরতরে চলে যাবার আগে সেটা প্রমাণ করে দিয়ে গেলেন তিনি। তিনি তরুণ মজুমদার। বাংলা সিনেমার একটি প্রজন্মের শেষ পুরোধা। খুব বেশিমাত্রায় অসুস্থ হবার আগে পর্যন্ত তাঁর সম্পর্কে কথা বলতে বা তাঁকে নিয়ে আলোচনা করায় খুব বেশি আগ্রহী ছিলাম না আমরা ইদানীং। এ কথা লিখলে হয়তো অনেকেরই আঁতে ঘা লাগতে পারে। মাফ করবেন সংবাদ মাধ্যম বা বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ার সক্রিয় সদস্যবৃন্দ–ধরে নিন এই অভিযোগের তিরে আমি নিজেকেই বিদ্ধ করলাম। কাঠগড়ায় দাঁড় করালাম নিজেকেই। আমিও তো আপনাদের বৃত্তেই ঘুরেফিরে আবর্তিত হই !
মৃত্যুর পর গত কয়েকদিন যাবৎ তরুণ মজুমদারকে নিয়ে অনেক কিছু লেখা ও বলা হয়েছে। সব লেখা পড়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ এই প্রতিবেদনে তরুণ মজুমদারের কাজ সম্পর্কে আমি নতুন কিছু মূল্যায়ন বা বিশ্লেষণ নিয়ে আসতে পারবো, এমনটা না-ও হতে পারে। তাই সেই সব জটিল প্রক্রিয়ায় না গিয়ে বরং সরলভাবে কিছু অনুভূতির কথা জানাই। এ অনুভূতি একজন সাংবাদিকের কম, একজন বাংলা ছবির দর্শক হিসেবে বেশি। সত্যি বলতে কী, সাংবাদিকতা তো অনেক পরের কথা। ওঁকে চেনার শুরু তো সেই অপাপবিদ্ধ শৈশব, কৈশোরে। এটা সেই সময়, যখন একে একে প্রেমের কুসুমগুলি ফুল হয়ে ফুটে উঠতে চায়, শরীর আর মনের চাহিদাগুলি নিজের কাছেই অচেনা বোধ হয় ! এই চেনা-অচেনা শিহরণের মধ্য দিয়েই আমরা একসময় তারুণ্যে পৌঁছই তরুণবাবুর ছবির বেঁধে দেওয়া সুরে। এই সুরে যৌনতা উচ্চকিত নয়, প্রচ্ছন্ন। বলা ভালো, যৌনতাবিহীন প্রেম নয়, কিন্তু প্রকাশের ভঙ্গিটি একেবারে চিরন্তন বাঙালি সমাজভাবনায় সিক্ত। এ প্রেম গভীর, একান্ত, অনুভবী, সঙ্গোপন। উত্তাপ ও উচ্ছ্বাস আছে। কিন্তু উল্লাস নেই।
তরুণ মজুমদারের ছবিতে সম্ভবত বাঙালি শেষবারের মতো প্রেমকে এইভাবে পেয়েছে। আমি এই বাঙালির প্রতিনিধি, প্রাচীনপন্থী এবং প্রেমের সাদা-কালো-ধূসর মনস্তাত্বিক ব্যাখ্যাগত বোধে অজ্ঞ–একথা বলতেই পারেন আমার সমসাময়িক ও পর প্রজন্মের বিশ্লেষকরা। তবে, উচ্চকিত এবং যৌনতারসে টইটুম্বুর প্রেম ইত্যাদি পর্দায় দেখিয়েও যে সেই তরুণবাবুর মতো ম্যাজিক ক্রিয়েট করা যাচ্ছে না, সেকথা অস্বীকার করলে, সেটাকে আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায় ? আদতে প্রেম তাঁর ছবিতে একদিকে যেমন দুটি মানুষের সঙ্গোপনের বিষয়, তেমনই তা সমাজের বাকি যে জীবন অভিমুখগুলি আছে, তাতেও সম্পৃক্ত। তরুণবাবুর সব ছবিই আসলে সমাজের আয়না, সেখানে প্রেম, দাম্পত্য, পরিবার ও পাড়া সংস্কৃতি–সবটাই ঘুরেফিরে আসে। বিশেষত, মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের স্বপ্ন ও সংকট ! ‘চাওয়া পাওয়া’ থেকে ‘ভালোবাসার বাড়ি’ পর্যন্ত ওঁর সিনেমা-যাত্রাটি দেখুন, এটাই উপলব্ধ হবে।
পরিচালক হিসেবে নিজেকে প্রচ্ছন্ন রেখে, বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে, একটি সুন্দর বার্তা চরম সূক্ষ ও নান্দনিকভাবে দর্শকের দরবারে পৌঁছে দেওয়া–এই জায়গাটায় তরুণবাবু ছিলেন এককথায় তুলনাহীন। তাঁর এই স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ তেমনভাবে আলোচনায় আসেনি, সেটা উত্তর প্রজন্মের দুর্ভাগ্য আর আমার প্রজন্মের সবজান্তা মিথ্যে অহংকার। যাত্রিক-এর ব্যানারে প্রথম টিপিক্যাল উত্তম-সুচিত্রা জুটির রোমান্টিক ছবি বানাবার পরই একেবারে প্রথা ভেঙে তিনি যে ‘কাঁচের স্বর্গ’-এর মতো ছবি নির্মাণ করলেন, সেটা নিয়েই বা তত আলোচনা হলো কোথায় ? অথচ প্রথম জাতীয় পুরস্কার এলো এই ছবির হাত ধরেই ! পর পর ‘পলাতক’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘একটুকু বাসা’–তিনি নায়ক করলেন অনুপ কুমার, বসন্ত চৌধুরী ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে–এও কী বাংলা সিনেমায় সেই উত্তম জমানায় বিরল নয় ? বিশেষত, অনুপ কুমার ? অসাধারণ এই অভিনেতা বার বার তরুণ মজুমদারের ছবিতে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছেন ! তা সত্ত্বেও একেবারে নায়ক এবং ছবি চূড়ান্ত সফল ! একই কথা প্রযোজ্য ‘নিমন্ত্রণ’ ছবির ক্ষেত্রেও। এর জন্য কিছুটা বাড়তি বুকের পাটা এবং বিশেষ ক্ষমতা যে লাগে, সে কথা আজ লিলিপুট জমানায় বড় বেশি করে যেন অনুভূত হচ্ছে।
তরুণ মজুমদারের ছবিতেই ডেবিউ করেন তাপস পাল, মৌসুমী চ্যাটার্জি, মহুয়া রায়চৌধুরী, অয়ন ব্যানার্জি। এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছেন। বাকি অয়ন ব্যানার্জি, তাঁর হাতটাও ছেড়ে দেননি তিনি। ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’-এর পর ‘দাদার কীর্তি’ ও ‘পথ ও প্রাসাদ’-এ আবার সুযোগ দিয়েছেন। সন্ধ্যা রায় তাঁর পরিচালনায় কুড়িটি ছবিতে কাজ করেছেন। উনি নিঃসন্দেহে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। কিন্তু সুচিত্রা, সুপ্রিয়া, মাধবী প্রমুখের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিভা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখা সন্ধ্যা রায়ের পক্ষেও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাঁকে উত্তরণে পৌঁছনোর সুযোগ তরুণবাবু বারবার করে দিয়েছেন, একথা বলতেই হবে। বাংলা সিনেমায় আর একটি ‘ঠগিনী’ তৈরি হবে না। সেক্ষেত্রে সব বাদ দিয়ে, এই একটি ছবির জন্যই তো ভোলা যাবে না বাংলা সিনেমায় সন্ধ্যা রায়ের অবদান !
বাঙালি যে তাঁকে বহুদিন পর্যন্ত সত্যজিতের অপু আর ফেলুদার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল, সেটা বাঙালির নিজের ভাবনার আলস্য। নাহলে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ‘সংসার সীমান্তে’-র অঘোর আর ‘গণদেবতা’র দেবু পণ্ডিতকে নিয়ে আর একটু বেশি আলোচনা হতো। সৌমিত্র নিজে তাঁর অভিনীত ছবি প্রসঙ্গে আলোচনায় এ দুটি ছবির উল্লেখ বিশেষভাবে করেছেন বারবার। ১৯৭৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সংসার সীমান্তে’ ছবির কাহিনিসূত্র প্রেমেন্দ্র মিত্রের একটি ছোট গল্প। চিত্রনাট্য লেখেন রাজেন তরফদার। তরুণ মজুমদার ও রাজেন তরফদার–দুজনের চমৎকার বোঝাপড়ার কথা সর্বজনবিদিত। অঘোরের চরিত্রে তরুণবাবু উত্তমকুমারকে ভাবেন, তাঁর অফার উত্তমকুমার ফিরিয়ে দেন, সৌমিত্র কাজটি লুফে নেন ও শেষে উত্তমকুমারের আক্ষেপ, এ কাহিনি সকলেরই জানা। যেটা অনুধাবনের, সেটা হলো, শুধু অভিনেতা হিসেবে সৌমিত্রর ব্যাপ্তি প্রতিষ্ঠা নয়, ছবিটিও বাংলা ছবির ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন। এক চোর আর এক পতিতার আর্থ সামাজিক ও মনস্তাত্বিক সম্পর্ক, প্রেম ও ব্যবহারিক স্বার্থ, অস্বীকার ও অপেক্ষা–এত বেশি অবলীলায় বিষয়টি দর্শকের দরবারে নিয়ে আসেন তরুণবাবু যে, দর্শক সহজেই বিষয়ের সঙ্গে একাত্ম বোধ করে। সর্বহারা সমাজের প্রতিনিধি দুটি মানুষের জ্বালা যন্ত্রণার শরিক হয়ে যায় বিপুলসংখ্যক উচ্চ ও মধ্যবিত্ত বাঙালি দর্শক।
তরুণ মজুমদারের ছবিতে সাহিত্যনির্ভরতা ফিরে ফিরে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই সেলুলয়েড রূপান্তরে সিনেমার স্বতন্ত্র পরিভাষা খুঁজে পেয়েছে দর্শক। তা সত্বেও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গণদেবতা’-র চলচ্চিত্রায়ন ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই উপন্যাসের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন। অর্থাৎ, উনিশ-বিশ হলেই সমালোচনার ঝড় উঠতো। এক জ্বলন্ত সময়ের দলিল এই উপন্যাস, যা পল্লবিত ১৯২০-র আর্থ সামাজিক পটভূমিতে। ব্রিটিশ আমল, গ্রাম বাংলায় শিল্পায়নের প্রভাব, অসহযোগ আন্দোলন–ভেঙে যাচ্ছে চিরন্তন পারিবারিক ও সামাজিক পরিকাঠামো। রাজেন তরফদারকে সঙ্গী করে তরুণবাবু নিজেই লেখেন এর চিত্রনাট্য। বিশাল ক্যানভাস, অসংখ্য চরিত্র–অভিনয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়, সমিত ভঞ্জ, নীলকন্ঠ সেনগুপ্ত, রবি ঘোষ, অনুপ কুমার, সন্ধ্যা রায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রত্যেকে নিজেদের ভেঙে গড়ার সুযোগ পান এ ছবিতে এবং তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি তুমুল বাণিজ্যিক সাফল্যও ভাগ্যে জোটে এ ছবির। সমালোচকরাও প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত হন। পরবর্তীকালে সৌমিত্র তরুণ মজুমদারের আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি শুধু সত্যজিতের নায়ক, এই তকমা অনেকটাই কাটাতে সক্ষম হন।
‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘কুহেলি’, ‘ফুলেশ্বরী’ , ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘আলো’ ইত্যাদি তরুণ মজুমদারের এক একটি ব্লকবাস্টার ছবি। নিটোল গল্পের সুন্দর রুচির এই ছবিগুলি আজও বাঙালি মনস্কতায় আমাদের মাতিয়ে দেয়। আবার ভিন্ন মাত্রার ‘শহর থেকে দূরে’, ‘খেলার পুতুল’, ‘পথ ও প্রাসাদ’, ‘যদি জানতেম’, পথভোলা’, ‘অমর গীতি’-র মতো ছবিও এর ফাঁকে ফাঁকে দেখেছেন দর্শক তাঁর পরিচালনায়। তরুণ মজুমদার প্রবলভাবে সঙ্গীতের সমঝদার ছিলেন, এটা আমাদের জানা। রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ থেকে সুরপ্রধান বাংলাগান প্রাপ্তি ছিল ওঁর ছবির বাড়তি পাওনা। এখানে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নামটা সকলেরই স্মরণে আসতে বাধ্য। আর দুটি ছবির নামও পৃথকভাবে এ বাবদ স্মৃতিতে থাকবে–’ফুলেশ্বরী’ ও ‘অমর গীতি’।
‘অমর গীতি’ প্রসঙ্গে আবারও উল্লেখ করবো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম। আর একজন অভিনেতা তরুণ মজুমদারের বহু ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের কাজের ব্যাপ্তি খুঁজে পেয়েছেন, তিনি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ‘কুহেলি’, ‘মেঘমুক্তি ‘, ‘অমর গীতি’ ও হিন্দি ‘রাহগীর’ ! উৎপল দত্ত, পাহাড়ী সান্যাল, দিলীপ মুখোপাধ্যায়, বসন্ত চৌধুরী, সমিত ভঞ্জ, রবি ঘোষ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, চিন্ময় রায়, সন্ত মুখোপাধ্যায়–কাকে ছেড়ে কার কথা বলবো ? প্রত্যেক অভিনেতাই তাঁর ছবিতে ব্যতিক্রমী হতে পেরেছেন। পরবর্তীকালে তাপস পাল, প্রসেনজিৎ, দেবশ্রী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক, সোহম–এঁরাও নিজেদের অভিনয়ের ভিন্ন অভিমুখ খুঁজে পেয়েছেন। হিন্দি ‘বালিকা বধূ’-র ক্ষেত্রে বলতে হয় সচিন ও রজনী প্রমুখের নাম।
সিনেমার সব বিভাগে বোধ, পাণ্ডিত্য ও জ্ঞান ছিল তাঁর। তরুণ মজুমদার ছিলেন একাই এক প্রতিষ্ঠান। মোট চারবার জাতীয় পুরস্কার, সাতবার বিএফজেএ, পাঁচবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড বা পদ্মশ্রী প্রাপ্তি নিশ্চয়ই বারবার উল্লেখ করার মতো। তবে, সবচেয়ে বড় পুরস্কার তাঁকে দিয়েছে বাংলা ছবির দর্শক। একটানা দর্শক হৃদয়ে রাজত্ব করে গেছেন তিনি। বেশ কয়েকজন গুণী অভিনেতার পর্দায় জন্ম হয়েছে তাঁর হাতে। শুধু তাই নয়, তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই তাঁরা তারকা হয়েছেন। এরই পাশাপাশি প্রতিভাবান অভিনেতাদের যোগ্য স্থান দিয়েছেন। রুচির সঙ্গে এতটুকু আপোষ করেননি। রাজনৈতিক আদর্শ তাঁর ছবির বিষয়কে কখনও নিয়ন্ত্রিত করেনি। তরুণবাবুর যে একটি অত্যন্ত সংবদনশীল অন্তর ছিল, সেটা তাঁর ছবিতে প্রতিভাত। বারবার মানবতার আদর্শই ফিরে এসেছে ওঁর ছবিতে, যেখানে প্রচ্ছন্ন থেকেছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা। কিন্তু স্লোগান হয়ে নয়, সিনেমার নান্দনিক ভাষাতে। এখানেই তিনি অনন্য, প্রণম্য ও চির স্মরণীয়।