মেঘবৃষ্টির কাব্য চুইখিমে
দিন যাপনের একঘেয়েমি আর ক্লান্তি দূর করতে পর্যটনের বিকল্প নেই। চার দেওয়ালের গন্ডি ছাড়িয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঝোলা কাঁধে সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই কলম। লিখেছেন অজন্তা সিনহা।
শিলিগুড়ি শহর ছাড়িয়ে মহানন্দা জঙ্গল রেঞ্জে পৌঁছতেই প্রকৃতির সঙ্গে দেখাশোনাটা নিবিড় হতে থাকে। দু’পাশে জঙ্গল রেখে সোজা এগিয়ে গেছে ৩১ নং জাতীয় সড়ক ! আপাতত হালকা বৃষ্টি শুরু। তবে, আকাশ দেখে মনে হচ্ছে, যে কোনও মুহূর্তেই দামাল মেঘের দল ভারী বর্ষণে উথালপাথাল করে দিতে পারে চরাচর। মহানন্দা জঙ্গল রেঞ্জের পর একটি ছোট নাম না জানা নদী। তার ব্রিজের ওপর থেকে দেখি অনেক দূরের পাহাড়ের বিস্তৃত রেঞ্জ। ধূসর মেঘের আস্তরণ সরিয়ে উঁকি মারে তাদের চূড়াগুলি। সে এক অবর্ণনীয় দৃশ্য ! এরপর লেভেল ক্রসিং পার হয়ে সেবকের কাছাকাছি পৌঁছতেই দেখা মেলে তিস্তার। রেললাইন খালি আপাতত। নদীর ওপর দাঁড়িয়ে শূন্য ব্রিজ। ট্রেন এলেই ঝমঝম শব্দে মুখরিত হবে নদীর বুক। এখন সেখানে বইছে বর্ষার প্লাবিত জলরাশি।
ঘোর বর্ষায় পাহাড়ের গল্প বলছি–পাঠক আশা করি পাগল ভাববেন না আমায় ! তবে, যাঁরা জানেন তাঁরা জানেন, বর্ষায় পাহাড়ের এক অন্য রূপ। সেই অবর্ণনীয় রূপ একবার হলেও দেখতেই হবে আপনাকে। কোনও এক বর্ষায় কোনও পাহাড়ী ছোট গ্রামে কয়েকদিন থেকে দেখুন, তখনই অনুভব করবেন আমার অনুভবের যৌক্তিকতা। চুইখিমে আমার নিজের আস্তানায় থাকার অভিজ্ঞতা থেকেই যে এটা বলছি, তা ভাববেন না। বর্ষায় আমি পেডং গেছি বেশ কয়েকবার। গেছি দাওয়াই পানি, রিশপ, সিটং, রামধুরা–প্রতিবারই প্রকৃতির অনির্বচনীয় রূপ দর্শনে মুগ্ধ হয়েছি। মানছি, বেশ কিছু প্রতিকূলতা আছে পাহাড়ের বর্ষায়। সে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে একবার যদি পৌছতে পারেন প্রকৃতির সেই অপরূপ ক্যানভাসের কাছে, উপলব্ধি করবেন এক অনন্য মহার্ঘতা। আজ আমি সেই অনুভবের ছোঁয়া ভাগ করে নেব আপনাদের সঙ্গে।
একটু আগেই বাঘপুল (করোনেশন ব্রিজ) দিয়ে তিস্তা পার হয়েছি। এতক্ষণ ছিল বাঁ পাশে খাড়া পাহাড়, ডান পাশে তিস্তা। বাঘপুল পার হতেই বদলে যায় ছবি। এখন তিস্তা ডান পাশে। পথ মূলত চড়াইগামী। আকাশে বাদল মেঘের আলপনা বলে দিচ্ছে, যে কোনও মুহূর্তেই ঝাঁপিয়ে নামবে বৃষ্টি। বাঘপুল পার হওয়ার সময় তিস্তার রূপ আর একটু আবেশে চোখে মেখে নিলাম। দু’দিকের পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে তার দীর্ঘ পথ পরিক্রমা। বর্ষায় আশপাশের সব ঝর্নার জল এসে পড়ছে তার বুকে। তিস্তা এখন ভরভরন্ত। বারবার দেখেও যেন সাধ মেটে না। রূপসী তিস্তাকে ডান হাতে রেখে চলেছি। একটু চলার পরই এসে গেল মংপং জঙ্গল।
জঙ্গল দর্শনের মধ্যেই ঝাঁপিয়ে আসে বৃষ্টি। আকাশচুম্বী গাছেরা আন্দোলিত হয়। ঝাপসা হয়ে আসে চারপাশ। এখান থেকেই অদৃশ্য তিস্তা। এখন পথের দুপাশে প্রাচীন ও নবীন দীর্ঘ গাছেদের সারি। মাঝে মাঝে চা-বাগান। যেদিকেই তাকাও সবুজ একেবারে ঢালাও উৎসবের আয়োজন করেছে। দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিস্তৃত (কালিম্পঙের) পর্বতমালা। বুঝতে পারলাম, ডুয়ার্সের মায়াময় আঁচলের মেঘছায়া সামিয়ানার নিচে ঢুকে পড়েছি। মংপং ছাড়িয়ে আরও কিছুটা যেতেই লীশ নদীর সঙ্গে দেখা। বছরের অধিকাংশ সময় শুকনো বালি তার বুকে। এখন বর্ষার জল পেয়ে চনমনে রূপসী। পরপর চা-বাগান ও বাগান অধ্যুষিত গ্রামগুলি পিছনে ফেলে পৌঁছে গেলাম বাগরাকোট মীনা মোড়।
চুইখিম যাওয়ার পথে এটাই আমার ব্রেকফাস্ট পয়েন্ট। মীনা মোড়ে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ধাবা আছে। সেখানে গরম গরম খাবার মেলে। আঞ্চলিক পরিবারগুলিই চালায় এই ধাবা। জাতীয় সড়ক ধরে যত গাড়ি যায়, এখানেই থেমে ব্রেকফাস্ট সেরে নেন আরোহীরা। পরোটা, সবজি, ডিমের অমলেট, চা খেয়ে নিয়ে আবার চলা। এবার জাতীয় সড়ক ছেড়ে বাঁ দিকের একটি অপেক্ষাকৃত ছোট রাস্তা ধরবো। এখানে কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি, আমি এখন পাকাপাকি উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। শিলিগুড়ি থেকে রিজার্ভ অটোয় এই বাগরাকোট মীনা মোড় পর্যন্ত আসি। এখানে আমার জন্য চুইখিম থেকে আসা গাড়ি অপেক্ষা করে। আমার অটোচালক আকবর ভাই বা গ্রামের গাড়ির ড্রাইভার কিরণ, এঁরা দুজনেই অভ্যস্ত আমার চুইখিম যাতায়াতের রুটিনে। আগাম খবর দিলেই কাজ হয়ে যায়। সাধারণ ভাবে চুইখিম যেতে হলে গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে। সেসব বৃত্তান্ত পরে জানাচ্ছি। এখন চুইখিমের কথা।
মীনা মোড় থেকে রাস্তা সেনা হেড কোয়ার্টার হয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে। পথ এখন সম্পূর্ণ চড়াইগামী। প্রসঙ্গত, এই রাস্তাটি একসময় প্রাচীন সিল্ক রুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতো এই অঞ্চলের সঙ্গে। তাই এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। অনেকটা ওপর থেকে দৃশ্যমান ঘিস নদী। মূলত লীশ আর ঘিসের মাঝে অবস্থিত চুইখিম। তাই পাহাড়, নদী, জঙ্গল, উপত্যকা আর ঝর্ণা মিলিয়ে বড়ই নান্দনিক এই অনামী গ্রাম। আকাশ আপাতত শান্ত। ধূসর মেঘেদের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় সাদা মেঘ। যেন ভয়ে ভয়ে। কালো মেঘের দল হানা দিলেই পালাতে হবে ওদের।
চুইখিম পৌঁছনোর পর প্রত্যেকবারই কিছু রুটিন কাজ থাকে। সেসব সেরে, লাঞ্চ করে, সামান্য বিশ্রামের পর বসেছি বারান্দায়। একটু আগে শেষ আলোটুকুও নিভে গেছে আকাশের। পাখিরা ফিরে এসেছে কুলায়। আবার রাত পোহালেই তাদের ডিউটি শুরু। বারান্দায় দাঁড়িয়ে যতদূর চোখ যায়, ছড়িয়ে দিই মনকে। দূরে পাহাড়ের সারি। তারই খাঁজে খাঁজে জ্বলছে মিটমিটে আলো, ওগুলি গ্রামের ঘরবাড়ি। আকাশে একটি-দুটি করে তারা ফুটছে। মেঘ ঘন হলেই লুকিয়ে পড়বে ওরা। আবছা আলোয় গাছেরা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে। পাতাদের টুপটাপ খসে পড়ার শব্দ। রাতচরা পাখিরা এখনও পরিক্রমা শুরু করেনি। একটু পরেই শুরু হয়ে যাবে ঝিঁঝিদের কনসার্ট। ঠান্ডা বাতাস বইছে–বর্ষার পূবালী বাতাস। আরামের ছোঁয়া তাতে। এখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান নেই বললেই চলে। ফলে আবহাওয়ায় গুমোট ভাব কম।
এবার ঘরে যাব। বৃষ্টি নামতে পারে যে কোনও মুহূর্তেই। ডিনার হওয়ার পর কিছুক্ষণ মুঠোফোনে গান শোনা বা সিনেমা দেখা। কালিন্দী এলে, তাকে খেতে দিতে হয়। কালিন্দী আমার মিনির কন্যা। মেয়ে এ বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে বলে মিনি আজকাল আর আসে না। আজ বিকেলের পর অবশ্য আর দেখিনি কালিন্দীকে। আসলে পুরো গ্রামটাই ওদের ঘর। পাহাড়ের মানুষ কুকুর-বেড়ালকে দূর-ছাই করে না। এমনিতে এখানে কারও বাড়িতে কোনও সীমানা চিন্হযুক্ত প্রাচীর বা বেড়া থাকে না। গ্রামের সকলেরই সর্বত্র গমনাগমনের অধিকার আছে। আপনি ট্যুরিস্ট হিসেবে গেলে, আপনার জন্যও অবারিত পুরো গ্রাম। এইসব ভাবনার পথ ধরেই কখন যেন পাড়ি দিই ঘুমের দেশে।
পরের দিন রোদ্দুরের মুখ দেখা যায়। বেশ গরমও পড়ে। পাহাড়ের নিয়ম মেনেই দুপুর গড়াতেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। মেঘের পরে মেঘ জমে এবং আঁধার ঘনায়। আর একটু একটু করে সেই মেঘ ঢেকে দেয় চরাচর। দরজা-জানালা বন্ধ করে, মোম-দেশলাই-টর্চ রেডি করতে না করতেই ঝুপ করে বিদ্যুৎবাবুর প্রস্থান। রান্না করাই ছিল, বাঁচোয়া। কিচেনেই খাবার টেবিল। আপাতত হটবক্সে রাতের খাবার গোছানো। এক কাপ চা নিয়ে বারান্দায় যাই। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে জলের ছিটে আসে। কী যে আরাম এই বৃষ্টির ছোঁয়ায়। সামনে যতদূর চোখ যায়, সব ঝাপসা। এই জলছবিও কম সুন্দর নয় ! টিনের চালের ওপর তালতরঙ্গের আবহ। মাঝে মাঝে বজ্র নির্ঘোষ সেই তরঙ্গে অনুরণন তুলছে। পাহাড়ী গ্রামগুলিতে সামান্য ঝড়বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়। আজও সেটাই হয়েছে মনে হয়। অতএব ক্যান্ডেল লাইট ডিনার ! আমার এই আস্তানা একেবারে নির্জনে। তাই মোমের আলোয় বেশ এক গা ছমছমে অনুভূতি হয়। বলা বাহুল্য, আমার কাছে সেটাও বেশ উপভোগ্য। রাতের খাওয়া সেরে একটু আগে বিছানায় এসেছি। বৃষ্টি কমেছে। তবে, কতক্ষণের, সে কেবল প্রকৃতি রানিই জানেন। তাঁর সাম্রাজ্যে তিনিই শেষ কথা।
ঠিক যেমন বলেছিলাম, সকাল হয়েছে হালকা মেঘের মায়ায়। আর দুপুর ফুরোতেই আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। পথঘাট শূন্য। কোথা থেকে যেন কাতর হাম্বারব ভেসে আসে। আহা রে, মা-গরু বোধহয় তার বাছুরকে ডাকছে। প্রকৃতির বুকে যা কিছু দোলাচল ঘটে, সে খবর তো ওরাই আগে পায়। হাওয়া জোরালো হতে না হতেই শুরু হয় বৃষ্টি। আমি সেই মেঘলা বিকেলে, নির্জন প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামে বসে, বৃষ্টির ভয়ঙ্কর সুন্দর রূপ দেখি। উন্মত্ত মেঘের দল ছুটে আসছে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে। বিকেল শেষ হওয়ার আগেই সন্ধ্যা নেমেছে। শেষে বৃষ্টি আমায় ঠেলে ঘরে পাঠায়। সকালে কারেন্ট এসেছিল। এখন হাওয়ার দাপটে আবার চলে যায়। গাছ উপড়ে পড়ে। পাহাড়ের এদিক-ওদিক থেকে পাথরের দল বিচ্যুত হতে থাকে। সে পাথরের সাইজ নুড়ি থেকে শুরু হয়ে কত বড় যে হতে পারে, তা ধারণাতীত। এই সবকিছুরই প্রভাব পড়ে জনজীবনে। তখন সেই ‘জন’-র দলে আমিও সম্পৃক্ত হয়ে পড়ি। শিখি বেঁচে থাকার নতুন পাঠ।
মনে পড়ছিল সেই বছরের কথা, যেবার প্রথম এখানে এলাম। এপ্রিল-মে মাসে সারাদিন কাঠফাটা রোদ্দুর, তারপরই প্রবল ঝড়বৃষ্টি, আবার পরদিন মেঘ কেটে গিয়ে সূর্যালোকে বিচ্ছুরিত দিন। এমন চলতে চলতেই একটা সময় এসে যায়, যখন মেঘ আর পিছু ছাড়ে না। বর্ষা তখন উপাচার সাজিয়েছে। সারাদিন মেঘ। সারারাত মেঘ। দিনের পর দিন মেঘ। ঘরের মধ্যে ঢুকে যায় দস্যু মেঘ। কত রকম রং তার। হালকা কালো, ঘন কালো, ধূসর (তারও নানা শেড)। পরপর তিন-চার দিন সূর্যের মুখ দেখিনি এমনও হয়েছে। আর বৃষ্টি ? সেও অবিরাম ! কখনও ঝিরিঝিরি, কখনও টিপটিপ, কখনও একেবারে দামাল সুরে। সে একেবারে চরম অবস্থা ! তবু, বড় সুন্দর। সুন্দর শুধু প্রকৃতি নয়। সুন্দর এই অনুভূতি–এই দিন যাপনের দর্শন। বিপদকে শিয়রে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করা মানুষগুলির সাহচর্য। হাজারো প্রতিকূলতায় চলমান জীবনের ছবি। ফেরার দিন এসে যায়। কিরণের গাড়িতে মালপত্র তোলা হচ্ছে। এই অবকাশে কিছু জরুরি তথ্য।
চুইখিমে বেশ কয়েকটি হোমস্টে আছে। তৈরিও হচ্ছে নতুন নতুন। থাকা-খাওয়ার খরচ দিনপ্রতি জনপ্রতি ১০০০-১২০০ টাকা (এটা বাড়তে পারে)। ভাত, রুটি, ভাজি, ডাল, শাকসবজি, ডিম, চিকেন পাবেন লাঞ্চ ও ডিনারে। ব্রেকফাস্ট-এ রুটি বা পুরি, তরকারি সহযোগে। সঙ্গে পাঁপড়, আচার। স্ন্যাক্স-এ নানা ধরনের পকোড়া মেলে। চা ২/৩ বার, কফি অনুরোধে। আর প্রয়োজনমতো গরমজল। একটু প্রত্যন্ত অঞ্চল। তাই টর্চ, মোম-দেশলাই, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এড, বিস্কুট ও কিছু শুকনো খাবার, টি ব্যাগ ও কফি পাউডার, গরম জলের ইলেকট্রিক কেটলি সঙ্গে রাখুন অবশ্যই। বর্ষায় গেলে ছাতা ও রেনকোট চাই। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড, বাগডোগড়া এয়ারপোর্ট–যে কোনও একটি থেকে চুইখিম যাওয়ার গাড়িভাড়া ২৫০০ টাকা (এটাও বাড়তে পারে)। সময় লাগে ঘন্টা দুয়েক। এয়ারপোর্ট থেকে সামান্য বেশি। টাটা সুমো, টাটা গোল্ড, মাহিন্দ্রা ইত্যাদি বড় গাড়ি নিতে হবে। রাস্তা কিছু জায়গায় এখনও পাথুরে। টিম করে গেলে সুবিধা হবে। বড় গাড়িতে হেসে খেলে ছোটবড় মিলে ৯/১০ জন যাওয়া যায়। দুটো দিন নির্ভেজাল শান্তি, আরাম ও বিশ্রামে কাটানোর জন্য চুইখিম এককথায় অতুলনীয়। আর বর্ষার অপরূপ ক্যানভাসের খবর তো আগেই দিয়েছি।
আগাম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন হেল্প ট্যুরিজম। টোল ফ্রি নম্বর 18001230156
ফোন (0353) 2433683/2535896