অভিকার বলিউড অভিষেক ভাটের ভয়ের ছবিতে
নতুন ছবির মুক্তি হোক বা নির্মাণ। পোস্টার, ট্রেলার রিলিজ। ছবি হিট এবং ফ্লপ। তারকাদের জীবনের ওঠাপড়া। বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে সিনেমার দুনিয়ায় প্রতি মুহূর্তে ঘটে চলেছে নানা বৈচিত্রপূর্ণ ঘটনা। সেইসবই এই বিভাগে, প্রতি সপ্তাহে। মুক্তির অপেক্ষায় ‘১৯২০ হররস অফ দ্য হার্ট’। লিখেছেন অজন্তা সিনহা।
বালিকা বধূ আনন্দী থুড়ি অভিকা গোরের বলিউড ডেবিউ হচ্ছে ভাট ক্যাম্পের হাত ধরে, ‘১৯২০ হররস অফ দ্য হার্ট’ ছবিতে। এই ছবিতেই বলিউডি হরর ছবির হিট পরিচালক বিক্রম ভাট কন্যা কৃষ্ণা ভাটের পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটছে। ‘বালিকা বধূ’ একটা দীর্ঘ সময় হিন্দি টেলিভিশনে রাজত্ব করে, যার নাম ভূমিকায় ছিলেন অভিকা। পরে ‘সসুরাল সিমর কা’ বলে আর একটি মেগায় তাঁকে পাই আমরা। ২০১৮-য় কান ফিল্ম উৎসবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির সূত্রে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিকা। বড় পর্দায় অভিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে তেলুগু ছবি ‘উয়ালা জাম্পালা’-য়, যার জন্য তিনি ‘বেস্ট ফিমেল ডেবিউট’-এর পুরস্কার পান। বলিউডের অন্য কোনও পরিচালক, কোনও ব্যতিক্রমী নির্মাতা ভালো কোনও বিষয়নির্ভর ছবিতে অভিকার কথা ভাবলেন না, এটা দুর্ভাগ্যজনক !
তবে, অভিকা নিজে সম্ভবত এমনটা ভাবেন না। তিনি বরং এমন এক বড় ব্যানারের ছবিতে ডেবিউ করছেন, তাতেই দারুণ আপ্লুত। তাঁর কথায়, “যে চরিত্রটিতে আমি এখানে অভিনয় করছি, যা সব অভিনেত্রীই জীবনে অন্তত একবার করতে চাইবেন। এখানে গল্পও পল্লবিত হচ্ছে আমার চরিত্রটিকে ঘিরেই। অর্থাৎ, আমিই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ! দারুণ উন্মাদনা অনুভব করছি।” গল্প এইরকম–অন্ধকারাচ্ছন্ন এক পরিবেশ, চূড়ান্ত প্রতিশোধস্পৃহা, অজান্তেই এক অসহায় মেয়ের আদিভৌতিক পরিস্থিতির শিকার হওয়া। আশা করা যায়, এমন এক গল্পে অভিকা তাঁর নিজের পায়ের তলার মাটি খুঁজে পাবেন।
হরর ছবি নিয়ে এমনিতে আপত্তির কিছু নেই। তবে, বেশির ভাগ বলিউডি ছবি বা বলা ভালো ভাট ক্যাম্পের এই জাতীয় ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ তেমন থাকে না। সেট, লোকেশন, মিউজিক, গ্রাফিক্স ইত্যাদি দিয়ে একটি ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হয়–এই যা! তা সত্বেও অভিকাকে কেন্দ্র করে একটা প্রত্যাশা থাকবে। এ ছবিতে অভিকার সঙ্গে রয়েছেন রাহুল দেব। মূলত ভিলেন চরিত্রের এই অভিনেতার দাপট বিভিন্ন বলিউড ও দক্ষিণী ছবিতে প্রতিষ্ঠিত বহু বছর যাবৎ। তিনি এই ছবিতে অভিকার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রাহুল জানিয়েছেন বাবা-মেয়ের রসায়নই ‘১৯২০ হররস অফ দ্য হার্ট’ ছবির মূলকথা বলে তাঁর মনে হয়েছে। তাঁর নিজের ক্ষেত্রে ছবিটিতে অভিনয়ে রাজি হওয়ার কারণও এটাই।
‘১৯২০ হররস অফ দ্য হার্ট’ হলো ভাটদের ১৯২০ ফ্রানচাইজির সাম্প্রতিকতম নিবেদন। সিরিজের আগের ছবিগুলির মতোই এখানেও বিশাল এক পোড়ো বাড়ি, সেখানে সঞ্চরণশীল আত্মা, পটভূমি নির্মাণে দুরন্ত সাউন্ডস্কেপ, আলো-আঁধারি খেলা সবই আছে। বলা বাহুল্য, দর্শককে হাড় কাঁপানো অনুভূতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এবারও ত্রুটি রাখছে না ভাট ক্যাম্প। ছবির গল্প লিখেছেন মহেশ ভাট ও সুহৃতা দাস। মহেশের কথায় ‘হরর’ ট্যাগ লাগানো থাকলেও, ছবিটি আদ্যন্ত এক আবেগপূর্ণ ফ্যামিলি ড্রামা। বাবা, মা, সন্তান, ভাইবোন–সব ধরনের সম্পর্ক আছে এই ছবিতে। রাহুল, অভিকা ছাড়াও ‘১৯২০ হররস অফ দ্য হার্ট’-এ আছেন বরখা বিস্ত সেনগুপ্ত, ড্যানিশ প্যাণ্ডর, রণধীর রাই, কেতকী কুলকার্নি, অমিত বহেল ও অবতার গিল প্রমুখ। প্রযোজনা বিক্রম ভাট। মিউজিক পুনিত দীক্ষিত। সিনেমাটোগ্রাফি প্রকাশ কুট্টি। আগামী ২৩শে জুন মুক্তি পাচ্ছে ‘১৯২০ হররস অফ দ্য হার্ট’।