বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পালন মোহরবীথিকা অঙ্গনে
এ বছর ৭ই পৌষ মহর্ষির দীক্ষার ১৭৮ বছর। আশ্রম প্রতিষ্ঠার ১৫৮ বছর। মন্দির প্রতিষ্ঠার ১৩০ বছর। ব্রহ্ম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২০ বছর। বিশ্বভারতীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ১০৩ বছর ও বিশ্বভারতী সূচনার (পরিষদ গঠনের) ১০০ বছর। নিঃসন্দেহে উদযাপন-যোগ্য একটি মুহূর্ত। ঐতিহাসিকও বটে !
এই উপলক্ষে গত ২২ ডিসেম্বর (৬ পৌষ ১৪২৮ ) মোহর-বীথিকা অঙ্গন ও বাংলা লাইভ ডট কমের যৌথ উদ্যোগে মোহর-বীথিকা অঙ্গনে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ স্মরণে উপাসনা ও গ্রন্থ প্রকাশ করা হলো। মোহর-বীথিকা অঙ্গন (মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট স্পেস) আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের বসন্তে শুরু হলেও, এই প্রাঙ্গণে বরাবরই বহু গুণী মানুষের পদধূলি পড়েছে। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনকে কেন্দ্র করে এই যে প্রাঙ্গণ, এর মূল উদ্দেশ্য শান্তিনিকেতন ও শান্তিনিকেতন আশ্রমের গড়ে ওঠার ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ধারণ ও বহন করা।
এই বিশেষ উপাসনায় আচার্যের ভূমিকায় ছিলেন বিশিষ্ট আশ্রমিক ও পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর। মন্ত্রপাঠে প্রাক্তন অধ্যাপিকা কল্পিকা মুখোপাধ্যায়। অংশগ্রহণে ছিলেন চন্দন মুন্সী, অঙ্কন রায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, নিবেদিতা সেনগুপ্ত, ঋতপা ভট্টাচার্য, শরণ্যা সেনগুপ্ত, ঋতজা চৌধুরী, মধুজা চট্টরাজ (সঙ্গীতে)। পাঠে ছিলেন নীলাঞ্জনা সেনমজুমদার, অভীক ঘোষ। আর যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন সৌগত দাস, সুতনু সরকার, সীতেশ হালদার, দিলীপ বীরবংশী, বিশ্বায়ন রায়। প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থে লিখেছেন পবিত্র সরকার, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রণবরঞ্জন রায়, সুশোভন অধিকারী, বিশ্বজিৎ রায়, অশোককুমার মুখোপাধ্যায়, গৌতম ভট্টাচার্য, অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় শান্তিনিকেতনের উপাসনার আঙ্গিকে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুরবাড়ির অন্যান্যদের রচিত ব্রহ্মসঙ্গীত এই উপাসনার এক বড় অংশ জুড়ে ছিল। “বাংলা লাইভ-এর পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে৷ নিছক একটি আন্তর্জালিক ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকা নয়, বাংলা লাইভ হয়ে উঠেছে একটি সামাজিক ভাবনাচিন্তা ভাগ করে নেওয়ার মেলবন্ধন৷ এই যৌথ পরিবারে আপনি-আমি সবাই সামিল। এরকম একটা উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পেরে ভীষণই ভালো লাগছে”– বললেন বাংলা লাইভের পক্ষে মৌসুমী দত্ত রায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়।