মহামিলনের মাঝেই গোপালের মূর্তি চুরি
আকারে ছোট হলেও বিনোদন ক্ষেত্রে টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ অসীম। মেগা থেকে রিয়ালিটি, গেম শো থেকে ম্যাগাজিন–টিভি শোয়ের চাহিদা ছিল, আছে, থাকবে। এই বিভাগে তারই খবর প্রতি সপ্তাহে। জমজমাট ফুলকির মহামিলন পর্ব। লিখেছেন মৃণালিনী ঠাকুর।
বাঙালি জীবনের বিশেষ উপলক্ষ–পুজো, উৎসব, পার্বণ ইত্যাদি ঘিরে মেগার বিশেষ পর্ব রচনা অন্দরের দর্শকের অতি চেনা ঘটনা। বস্তুত, তাঁরাও অপেক্ষায় থাকেন এই জাতীয় বিশেষ পর্বের। ‘ফুলকি’-র একঘন্টার মহামিলন পর্ব তাই কাঙ্ক্ষিত মাত্রাতেই দারুণভাবে দর্শকধন্য হয়। জন্মাষ্টমী অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালনের ঘটা-পটা তো চলে সারা দেশ জুড়েই। এই উৎসবের সঙ্গে দেশের আম জনতার সম্পর্কটা আদ্যন্ত হৃদয়ের।
গতকাল রায়চৌধুরী বাড়িতেও বাংলা টিভির দর্শক দেখল তারই প্রতিফলন। পরিবারের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই মেতে ওঠেন উৎসবের মেজাজে। জেঠু নিজে তাঁর বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জেঠুর প্রিয় ছাত্রী আলোকপর্ণা দত্ত ওরফে সকলের চেনা পর্ণাও আমন্ত্রিত হয় জন্মাষ্টমীর পুজোয়। সঙ্গে চয়ন, বর্ষা আর রুচিরা। গোপালের স্নান আর গোপালের ভোগ রান্নার একনিষ্ঠ নিয়ম-আচারের পাশাপাশি ছিল অতিথি অভ্যাগত ও পরিবারের সদস্যদের ভরপুর নাচ-গান আর আড্ডা ! পর্দায় উপস্থিত চরিত্রগুলির রাধাকৃষ্ণের আদলে পৌরাণিক সাজপোশাক পৃথকভাবে নজর কেড়ে নেয়। সব মিলিয়ে পুজোর অঙ্গন একেবারে বর্ণময় হয়ে ওঠে।
এইসবের মধ্যেই দারুণ এক টুইস্ট। ফুলকি হঠাৎই লক্ষ্য করে, লোকজনের ভিড়, পুজোর ব্যস্ততা, হইচই, আড্ডার মাঝে কেউ আসল সোনার গোপালের মূর্তিকে বদলে দিয়েছে। কাণ্ডটি যে-ই ঘটাক, উদ্দেশ্য যে চুরি, বুঝতে অসুবিধা হয় না ফুলকির। কে সেই চোর ? পরিবারেরই কেউ ? নাকি বাইরের ? পার্বণের কারণে সবাই ব্যস্ত। সেই সুযোগে অতিথিদেরই কেউ নিজের উদ্দেশ্য সাধনে…! উদ্ভ্রান্ত ফুলকি ছটফট করে দুশ্চিন্তায়। এত লোকের মাঝখান থেকে কী করে খুঁজে বের করা যাবে, কে চোর !
ফুলকির কাছে বিষয়টা জানতে পেরে পর্ণা ফুলকিকে কথা দেয়, যেভাবেই হোক, আসল সোনার গোপালের মূর্তি খুঁজে বের ক’রে, উদ্ধার করবেই তারা। এরপর যা যা ঘটবে, সেসব তো আপনারা পর্দায় দেখবেনই। ফুলকি আর পর্ণা মিলে আসল গোপালের মূর্তি উদ্ধার করতে পারবে কিনা, এই প্রশ্ন সামনে রেখেই শেষ হলো গতকালের পর্ব। আপনারা ‘ফুলকি’ দেখছেন জি বাংলায় সোম থেকে শুক্র সন্ধ্যা ৭ টায়।