Monday, February 3, 2025
কৃষ্টি-Culture

মূল্যবান ও সংগ্রহযোগ্য সম্পাদক-সাংবাদিক-লেখক ‘চরিতাভিধান’

সমাজ গঠনে সাংবাদিকতার ভূমিকা ইদানীং আর তত গুরুত্বের নিরিখে দেখা হয় না। তার অনেক কারণ ! সেইসব তর্কে না গিয়ে বলা যায় চরিতাভিধান , ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতায়, শতাংশের হিসেবে কমে গেলেও, গণতন্ত্রের পূজারীদের অনেকেই আজও এই পেশাকে আদর্শের চোখেই দেখেন। বলা বাহুল্য, এই দেখাটাও একটা পরম্পরা ধরে, প্রজন্মগতভাবেই প্রবাহিত। যেটা উপলব্ধ, সেটা হলো, প্রয়োজন ফিরে দেখার একটা প্রক্রিয়া–বিষয়ের উৎসমুখে যাওয়া। পরম্পরার উৎস খুঁজে বের করা! 

কারা ছিলেন সেইসব কিংবদন্তি লেখক-সাংবাদিক-সম্পাদক, যাঁদের হাত ধরে ভারতীয় সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হলো ! দুই শতকেরও বেশি সময় ধরে পল্লবিত ভারতীয় সাংবাদিকতা। অর্থাৎ ইতিহাসটি যথেষ্ট প্রাচীন ! এই প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের যথাযথ জানাটা নতুন প্রজন্মের জন্য কতটা জরুরি, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই জায়গাটাতেই এগিয়ে এসেছে শতাব্দী প্রাচীন ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাব। তারা প্রকাশ করেছে বাংলা পত্রপত্রিকার সম্পাদক-সাংবাদিক-লেখক চরিতাভিধান । সংকলনটি হলো, প্রাক স্বাধীনতা পর্ব-প্রথম খণ্ড। সংকলন ও সম্পাদনা পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায় ও শম্ভু সেন। 

সাংবাদিক চরিতাভিধান বলতে আমরা ঠিক কী বুঝি ? শুধুই সাংবাদিক নাকি সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত লেখকগোষ্ঠী অথবা সম্পাদকমন্ডলী, যাঁরা তিলে তিলে একটি সংবাদপত্রের নেপথ্যে থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে পাঠকের দরবারে নিয়ে আসেন। নিরলস, নিবেদিতপ্রাণ সংবাদপত্র জগতের এমন মানুষদের নিয়েই এই বই। সূচিপত্রের হিসেবে বিভাগগুলি এইরকম–দু’দশক : ফিরে দেখা, বংশানুক্রমিক জীবনীপঞ্জি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ ঋ, এ ও–এই অক্ষর দিয়ে শুরু যে নামগুলি) ! সবশেষে আছে তথ্যসূত্র সংগ্রহযোগ্য এই বইটির মূল্য ৪৫০ টাকা। সুব্রত মাজির প্রচ্ছদটি চমৎকার। কিছু বানান ভুল ছাড়া বাকি বইটি ঝকঝকে, নিখুঁত। পরের সংস্করণে নিশ্চয়ই প্রকাশক ও সম্পাদক ছোটখাট ভুলগুলি শুধরে নেবেন।