Saturday, May 18, 2024
টলিউডলাইম-Light

বড়দিনে বড়পর্দায় দীপক ‘প্রধান’

উত্তরবঙ্গের নয়নাভিরাম প্রকৃতি এ ছবির অনেকটা জুড়ে রয়েছে। বলা বাহুল্য, গল্পের প্রয়োজনেই এই লোকেশন নির্বাচন। লোকেশন নিয়ে উচ্ছ্বসিত পরিচালক অভিজিৎ সেন জানিয়েছেন, “গল্পের সূত্রেই এই ছবির প্রেক্ষাপটে পাহাড় এসেছে। আমার এটাও মনে হয়, আমাদের এই বাংলাতেই এত ভালো ভালো লোকেশন রয়েছে, আজকাল বাইরে গিয়ে আর শুটিং করার প্রয়োজন পড়ে না।” দেব অভিনীত ‘প্রধান‘ নিয়ে এই মুহূর্তে কতটা আগ্রহের মৌতাত জমেছে দর্শকমহলে, বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, ‘টনিক’ ছবির শুটিংও উত্তরবঙ্গের পাহাড় অঞ্চলে করেছিলেন অভিজিৎ। উত্তরবঙ্গের পাহাড়, জঙ্গল, উপত্যকা, ডুয়ার্সের চা বাগানের সবুজ ক্যানভাস জুড়ে পল্লবিত এই ছবির কাহিনি। এছাড়াও ‘প্রধান‘ ছবির গল্প বিন্যস্ত দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি অঞ্চলে। প্রযোজনা দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স, বেঙ্গল টকিজ ও প্রণব কুমার গুহ। নিবেদনে অতনু রায়চৌধুরী।

বছরের শেষ। সময়টা পাক্কা ছুটি-উৎসব-ফুর্তির মেজাজে কাটাতে বদ্ধপরিকর বাংলার দিলদরিয়া মানুষ। এক্ষেত্রে দেব অভিনীত ‘প্রধান‘ দেখার উৎসাহ যে তালিকার শুরুতেই থাকবে, সে কথা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়। দেব নিঃসন্দেহে এ ছবির অন্যতম সেরা আকর্ষণ। শোনা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতায় এত বড় মাপের বাংলা ছবি তৈরি হয়নি। খরচে কার্পণ্য করেননি প্রযোজক। আপোষ করেননি কোনও ক্ষেত্রেই। বলতে দ্বিধা নেই, ঘোষণা পর্ব থেকেই খবরের শিরোনামে অভিজিৎ সেন পরিচালিত ও অতনু রায়চৌধুরী নিবেদিত ‘প্রধান‘। পাঠককে এই অবকাশে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই দেব-অতনু-অভিজিৎ–এই ত্রয়ীর বাণিজ্যসফল ট্র্যাক রেকর্ড নিয়েও যথেষ্ট ক্রেজ রয়েছে ‘টনিক-এর পর থেকেই। এরই পাশাপাশি আছে দেব-পরান বন্দোপাধ্যায় জুটির ম্যাজিক। 

গত আগস্টে শুরু করে খুব দ্রুতগতিতে ‘প্রধান‘ টিম 

সমাপ্ত করে শুটিং পর্ব। আর এখন তো আমরা ছবি মুক্তির দোরগোড়ায়। আগামী ২২শে ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রধান’। সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই সকলে জেনে গিয়েছেন, ছবিতে দেবের নায়িকা হয়েছেন জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ খ্যাত সৌমিতৃষা কুণ্ডু। দেব অর্থাৎ ছবির মুখ্য চরিত্র দীপক প্রধানের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বড়পর্দার এই নবাগতা। নিঃসন্দেহে তাঁর কেরিয়ারের ক্ষেত্রে এ এক বিরাট ব্রেক। স্বভাবতই, দর্শক নতুন এই নায়িকার সঙ্গে দেবের পর্দার রসায়ন দেখতে উদগ্রীব ! অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, সোহম চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, মমতা শঙ্কর, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহিনী সেনগুপ্ত প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে আছেন কলকাতা কর্পোরেশনের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শান্তনু মৈত্র। অর্থাৎ, বেশ কয়েকটি ভালো গানের প্রত্যাশা। আদ্যন্ত পারিবারিক-সামাজিক এই ছবির অভ্যন্তরে বাস্তব প্রেক্ষিতেই কিছুটা রাজনৈতিক রঙও পাবেন দর্শক। আছে মূল্যবোধের কথা। এই ছবির কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে দেব। এ কথা বলতেই হবে, তাঁর যাবতীয় সীমাবদ্ধতা বারবার ভেঙেছেন তিনি। তারকা ইমেজ বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি চেষ্টা করেছেন অর্থবহ বিষয়ভিত্তিক ছবিতে অভিনেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার। পরিচালকদের কথা শুনেছেন বাধ্য ছাত্রের মতো। তাঁর কাছে আমরা এভাবেই সাম্প্রতিককালে পেয়েছি ‘প্রজাপতি‘, ‘টনিক‘-এর মতো ছবি বা নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী, বাঘাযতীন, ব্যোমকেশের মতো চরিত্রাভিনয়। এবার পুলিশ দীপক ‘প্রধান’-এর চরিত্রে তিনি। তাঁর ভক্তরা আরও একবার দেবকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। বড়দিনের ঠিক আগে মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘প্রধান’ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, দেবের ঝুলিতে প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দেবে কিনা, সে কথা অবশ্য সময়ই বলবে।