রহস্য ঘনীভূত জাতীয় সড়কে
হাতে হাতে স্মার্টফোন। তরুণ প্রজন্মের চোখ ইদানীং নিত্যনতুন ওয়েব সিরিজে। সারা বিশ্বের স্ট্রিমিং বিনোদন এখন হাতের মুঠোয়। সেইসব সিরিজ নিয়েই নানাকথা এই বিভাগে। জন হালদার প্রযোজিত ও পরিচালিত থ্রিলার ‘NH6’ আসছে ক্লিক অরিজিনালস-এ। লিখেছেন মৃণালিনী ঠাকুর।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বব ও তার স্ত্রীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই শিরদাঁড়া হিম করা থ্রিলার। বব ও তার স্ত্রী নিমিশা একদিন সকালে গাড়ি নিয়ে নিমিশার বাপের বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করে। বব এই প্রথম শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি ওরা। কিন্তু এই খুশি ছিল নিতান্তই সাময়িক। হঠাৎই হাইওয়েতে তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। রাস্তা একেবারে নির্জন। অগত্যা বব ফোন করে একটি টো ট্রাক তলব করে, যাতে গাড়িটি অকুস্থল থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায় ! ঠিক এই সময়ই সেই নির্জন রাস্তায় তাদের সাহায্য করতে, এসে পৌঁছয় হাইওয়েতে গমনরত একজন ভদ্রলোক।
ইতিমধ্যে নিমিশার ওয়াশরুম যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। বাধ্য হয়ে বব ওই অচেনা ভদ্রলোকটিকেই অনুরোধ করে, যদি নিকটবর্তী কোনও পেট্রোল পাম্পে নিমিশাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, ওয়াশরুম ব্যবহার করার জন্য। ভদ্রলোক সম্মতি জানালে, ওই ব্যক্তির গাড়িতে চড়েই পেট্রোল পাম্পের দিকে রওনা হয় নিমিশা। এরপর থেকেই রহস্যজনক উধাও হয়ে যায় নিমিশা। আর খুঁজে পাওয়া যায় না তাকে। উদ্ভ্রান্ত বব পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু তারাও প্রাথমিক স্তরে ববকে অবিশ্বাস করে। কারণ, ববের কাছে প্রমাণস্বরূপ কিছুই ছিল না, যে, নিমিশা তারই সঙ্গে সেই যাত্রায় বেরিয়েছিল। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা ব্যক্তিটিকে খুঁজে পাওয়া গেলে, সেও জানায়, যে, ববের সঙ্গে কোন মহিলাকে সে দেখেনি।
তদন্তের জন্যে ববের শ্বশুরবাড়িতে পুলিশ গেলে তার শাশুড়িও তাকে চিনতে অস্বীকার করে। ববের টেনশন তীব্র আকার ধারণ করে। এদিকে নিমিশার কোনও হদিশ না পেয়ে, পুলিশের সন্দেহ হয়, যে, আসলে নিমিশা বলে আদৌ কেউ ছিল কিনা ! তদন্ত চলাকালীন তাদের মনে হয়, পুরো ঘটনাটি মিথ্যে, ববই এটা সাজিয়ে তুলে ধরেছে। রহস্য আরও ঘনীভূত হয় ঠিক তখনই, যখন সমস্যায় জর্জরিত ববের কাছে জনৈক কিডন্যাপারের ফোন আসে ! কিডন্যাপারটি বড়সড় মুক্তিপণ দাবী করে জানায়, যে, নিমিশাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। পরতে পরতে রহস্যের জাল আরও জটিল হয়ে ওঠে। যাই হোক, এরপর পুলিশ এবং বব তৎপর হয় নিমিশাকে উদ্ধার করতে।
কাহিনি অগ্রসর হতে হতে আমরা ক্রমান্বয়ে জানতে পারি, এই পুরো ঘটনার পেছনে এক কুচক্রী মাথা আছে। কে সেই মাস্টারমাইন্ড, যে এই পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছে? বিশ্বাস, অন্তর্ঘাত আর প্রতিঘাতের কোন অদ্ভুত প্যাঁচের ওপর প্যাঁচে, গল্পের শেষে পুরো রোমহর্ষক ঘটনাটির পর্দা ফাঁস হবে? এই সবের উত্তর পাওয়া যাবে খুব শিগগিরই ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম-এ। ‘NH6’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজেশ শর্মা, দেবলীনা দত্ত, যুধাজিত সরকার, গৌরব মল্লিক, মধুমিতা সেনগুপ্ত প্রমুখ। প্রযোজনা ও পরিচালনা জন হালদার। কার্যনির্বাহী প্রযোজক প্লাবন বসু। কাহিনি সৌমিক চট্টোপাধ্যায়। চিত্রনাট্য, সংলাপ ও প্রধান সহকারী পরিচালক সঞ্জয় ভট্টাচার্য। সিনেমাটোগ্রাফার অনির। সম্পাদনা কৌস্তুভ সরকার। মিউজিক দিশারী। প্রচার ও জন সংযোগ রানা বসু ঠাকুর। আজ ‘NH6’-এর ট্রেলার রিলিজ। স্ট্রিমিং শুরু আগামী অক্টোবরে।