Saturday, May 18, 2024
কৃষ্টি-Culture

‘ঋতাছন্দা’-র নবম বর্ষ উদযাপন

ঋতা–এক গভীর শব্দবন্ধ। এর অর্থ যিনি গভীরভাবে অতীতকে উপলব্ধি করতে পারেন, আবার যিনি একইসঙ্গে ভবিষ্যৎদ্রষ্টাও। ঋতা এক ছন্দের নাম। ঋকবেদে এই ছন্দের কথা বলা হয়েছে। এই গোটা বিশ্বব্রহ্মান্ড ঋতা ছন্দের তালেই বয়ে চলেছে। এই যে ঋতু পরিবর্তনের ছন্দ, দিন-রাতের ছন্দ, সাগরে ঢেউয়ের ওঠা-পড়ার ছন্দ, সব কিছুই এই ঋতা ছন্দে বাঁধা। এই ছন্দের আরাধনাই নয় বছর ধরে করে আসছে ‘ঋতাছন্দা’। এমন মৌলিক ভাবনার পেছনে যাঁর চিন্তাভাবনা, তিনি হলেন দেওঘরের দেব সঙ্ঘের শ্রীমৎ সৌমেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী মহাশয়। 

ভারতীয় সংষ্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনের কাজটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে করে চলেছে ঋতাছন্দা। দেখতে দেখতে নয় বছর পার করে ফেলল এই প্রতিষ্ঠান। নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ১১ই মার্চ কলকাতার উত্তম মঞ্চে আয়োজিত হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ-রাগিনীর মাধ্যমেই ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতাকে মেলাবার প্রয়াস নিয়েছিল ‘ঋতাছন্দা’। পরিবেশনায় ছিল এস এন বি ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়, প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ কুমার প্রমুখ। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন বিদুষী সাহানা বন্দ্যোপাধ্যায় (সেতার)। শাস্ত্রীয়সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনল চট্টোপাধ্যায় এবং ব্রজেশ্বর মুখোপাধ্যায়। বাঁশি বাদনে ছিলেন প্রবীণ গদখিনদী। ছিল দুটি নৃত্যানুষ্ঠান–’দশমহাবিদ্যা’ (পরিচালনা সম্রাট দত্ত) এবং ‘ফায়ার’ (পরিচালনা গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য)। শহর কলকাতা সাক্ষী হয়ে রইল এক অভূতপূর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের, যা আধ্যাত্মিকতার পথ ধরে এক আনন্দময় অনুভবে পৌঁছে দিল দর্শক-শ্রোতাকেও।