Sunday, May 5, 2024
টেলি-Talk

বন্ধুত্বের সুদৃঢ় বন্ধনই এই মেগার মূল কথা 

পাঞ্জাবের কাপুরথালার এক জাঠ পরিবার। চিরায়ত ও সমৃদ্ধ পাঞ্জাবি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এই পরিবারের শিরায় শিরায় প্রবাহিত। এই অভিজাত জমিদার পরিবারেরই মেয়ে হীর (তানিশা মেহতা)। পরিবারের ভালোর জন্য সে সব করতে পারে। শুধু পরিবার কেন, চেনা পরিচিত জনেদের জন্যও সবসময় তার মনে থাকে শুভ চিন্তা ও মঙ্গল আকাঙ্খা। হীর প্রার্থনায় বিশ্বাসী আর সেই বিশ্বাস নিয়েই প্রতিদিন গুরুদ্বারে যায় সে ও সকলের জন্য প্রার্থনা করে। একদিন এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। হীরের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় একজন। যখন সকলেই বিশ্বাস অবিশ্বাসে দোদুল্যমান, এমনকী তার পরিবারও। তখনই হীর মুখোমুখি হয় রঞ্জিত ওরফে রাঞ্ঝার (অবিনেশ রেখি)। রাঞ্ঝা তার বাল্যের বন্ধু। সে মনে করে, হীর নিরপরাধ। রাঞ্ঝা হীরের পাশে দাঁড়ায়। তার প্রতিবাদের শরিক হয় রাঞ্ঝা। 

বেশ নাটকীয় সুরে বাঁধা জি টিভিতে প্রদর্শিত ধারাবাহিক ‘ইক কুড়ি পাঞ্জাব দি‘। শক্তিশালী ও টানটান গল্প এবং বাস্তবসম্মত ভাবে লেখা এক-একটি চরিত্র সহজেই দর্শকহৃদয় ছুঁতে পেরেছে। ডোম এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত এই ধারাবাহিকের প্রতি পর্বেই রয়েছে নানা অপ্রত্যাশিত টার্ন এবং টুইস্ট। মিষ্টি ও প্রাণবন্ত স্বভাবের রূপসী হীর গ্রেওয়ালের জার্নির সঙ্গে সহজেই সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছেন দর্শক। আমরা দেখি, তার জীবনে প্রথম বড় এক পরিবর্তন আসে কুলদীপের সঙ্গে বিয়ে এবং সেই সূত্রে অটওয়াল পরিবারে বউ হয়ে আসার পর। 

শ্বশুরবাড়িতে শুরু থেকেই এমন কিছু ঘটে, যে তার চেনাজানারা সকলেই বিস্মিতভাবে বলতে বাধ্য হয়, ‘যে মেয়ে সবসময় সকলের ভালো চায়, তার ভাগ্যেই এমনটা ঘটল’? ভাগ্য বিপর্যয় নামে গ্রেওয়াল পরিবারেও। মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে জমিজমা বিক্রি করে প্রায় সর্বশান্ত তারা। জটিল পরিস্থিতির কারণে ক্রমশ হীরের চরিত্র থেকে স্বাভাবিক স্ফূর্তি উধাও হয়ে যায়। তার অন্তরশক্তি ক্রমশ অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। রাঞ্ঝার প্রেম তার সঙ্গে না থাকলে, কী হতো বলা যায় না। 

নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত তানিশা জানিয়েছিলেন, ‘ইক কুড়ি পাঞ্জাব দি‘ ভালোবাসা, সহনশীলতা এবং অকৃত্রিম বন্ধুত্বের কাহিনি। বিশেষত বন্ধুত্বের বন্ধন কাহিনির অন্তরকথা বলা যায়, যা প্রত্যেক দর্শকের মন স্পর্শ করবে ! “আমার কাছে নিঃসন্দেহে হীর দারুণ প্রেরণাদায়ক এক চরিত্র ! আমি মনে করি, দর্শকও এমনটাই অনুভব করবেন”–বলেছেন তানিশা। বেশ কয়েকটি পর্ব ইতিমধ্যেই অতিবাহিত। বলতে দ্বিধা করব না, তানিশার প্রত্যাশা অপূর্ণ থাকেনি। দর্শক পছন্দ করেছে হীরের হার না মানার মানসিকতা, যা মূর্ত হয়েছে তানিশার অভিনয়ে। 

অন্যদিকে, রাঞ্ঝার চরিত্রে অবিনেশও দারুণ তৃপ্ত ‘ইক কুড়ি পাঞ্জাব দি‘-তে কাজ করে। তাঁর কথায়, “আমাদের এই শো হীর নামে এক অমলিন স্বভাবের তরুণীর অসাধারণ জার্নিকে দর্শক দরবারে নিয়ে এসেছে। এক কোমল-স্বভাবা মেয়ের অপার মানসিক শক্তি, সম্পর্কের সুদৃঢ় বন্ধন ও তার অপরিসীম ক্ষমতা–এই ধারাবাহিকের মূল বক্তব্য।” তিনি নিজেও একজন শিখ। সেইদিক থেকে রাঞ্ঝার ভাবনা, আবেগ, আদর্শকে পর্দায় নিয়ে আসায় কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর–জানিয়েছেন তিনি। অবিনেশের বিশ্বাস, তাঁর অভিনীত অন্যান্য ধারাবাহিকের চরিত্রগুলির মতোই রাঞ্ঝাও দর্শকধন্য হবে। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনিকা খান্না, মণীশ খান্না, জয়দীপ সিং, মনোজ চান্ডিলা প্রমুখ। জি টিভিতে সোম থেকে রবি সন্ধ্যা ৭টায় দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিক ‘ইক কুড়ি পাঞ্জাব দি‘।