Sunday, May 5, 2024
চিল-Out

চিলড আউট সুস্মিতা

“না না না। এসব প্রশ্ন একদম নয় ! আমার ফেভারিট বলে কেউ নেই। সবাই প্রিয় ! এসব জটিলতার মধ্যে আমায় টেনো না”–হাসতে হাসতে জানান প্রাক্তন ব্রম্মান্ডসুন্দরী বঙ্গললনা সুস্মিতা সেন। তাঁর প্রিয় কো-স্টার কে–তারই জবাবে সুস্মিতার এহেন প্রতিক্রিয়া! একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরাবরের মতোই জোভিয়াল মুডে ছিলেন সুস্মিতা। তাঁকে নিয়ে ঘটনা, রটনা যা-ই হোক, সুস্মিতা যে একেবারে নিজের নিয়মেই চলেন আর সেটাই তাঁর চিল আউট, সে বৃত্তান্ত সকলেরই জানা।

১৯৯৪-এ পরপর ‘মিস ইন্ডিয়া’ ও ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জেতার পর রাতারাতি আলোর বৃত্তে চলে আসেন সুপার মডেল সুস্মিতা। এরপরই বলিউড যাত্রা। এইসব খবরই সকলের জানা। এরই পাশাপাশি ২০১৬-য় ‘মিস ইউনিভার্স’-এর বিচারক পদেও আসীন হন তিনি। পেশার সাফল্য একদিকে। ব্যাক্তিগত আবেগ-অনুভব অন্যত্র ! সুস্মিতার প্রেমিক তালিকাটি যত দীর্ঘ তত বৈচিত্রপূর্ণ! পরিচালক বিক্রম ভাট, অভিনেতা রণদীপ হুদা, মডেল রহমান শওল থেকে ললিত মোদি এবং আরও নাম না জানা কেউ কেউ। 

এঁদের কেউই স্থায়ী হননি! তা হোক ! দু’দুটি কন্যাকে দত্তক নিয়ে, তাদের গর্বিত মা হয়েছেন দ্বিধাহীন সুস্মিতা। ২০০০ সালে রেনি, ২০১০-এ আলিশা–এই নিয়েই আপাতত সম্পূর্ণ করেছেন সুস্মিতা তাঁর পরিবার। অন্যদিকে বোন নীলম সুস্মিতার প্রধান সাপোর্ট সিস্টেম ! সাক্ষাৎকারে নীলম প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত সুস্মিতা। যত্রতত্র তাঁর সফরসঙ্গী, সুখ-দুঃখের সাথী হলো বোন নীলম। বয়ফ্রেন্ড ঘন ঘন পাল্টালেও নীলম তাঁর জীবনে স্থায়ী, আদি ও অকৃত্রিম। 

নিজের শর্তে যাপিত তাঁর জীবন। ফলত, কোনও রুটিনে সেই অর্থে বিশ্বাসী নন সুস্মিতা। সাংবাদিককে নির্দ্বিধায় জানান, ঘুম থেকে তিনি কখন উঠবেন, সেটা নির্ভর করবে আগের রাতে কখন ঘুমোবেন, তার ওপর। এমনিতেও তিনি ভোরে ওঠার থেকে রাত জাগতেই বেশি পছন্দ করেন। আমি হলাম ‘নাইট আউল’–হাসতে হাসতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জানান সুস্মিতা। রাত জাগলেও পার্টি করবেন, না, চুপচাপ কাটাবেন প্রশ্নে সুস্মিতার রহস্যঘন দুষ্টু উত্তর ‘সাথী‘ কেমন তার ওপর নির্ভর করবে ! বলিউডের বাকি তারকাদের মতোই স্বাস্থ্য-সচেতন সুস্মিতা। সেক্ষেত্রে তাঁর ‘চিট মিল’ কী? কী আবার? বিরিয়ানি ! 

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এরপরই সুস্মিতা জানান, “আমার প্রথম কাজের রেমুনারেশন ছিল ২৫০০ টাকা।” বাড়ি থেকে যে দুটো জিনিস ছাড়া কখনোই বের হন না তিনি, তা হলো, টাকা আর সেল ফোন। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় অ্যাক্সেসরিজ হলো হাতের রিস্ট ওয়াচটি–এটা ছাড়া তাঁর ফ্যাশন অসম্পূর্ণ ! তাঁর দিক থেকে পারফেক্ট ডেটিং সেটাই, যেখানে মানুষটি সময়মতো পৌঁছবেন। খাবারদাবারের সুগন্ধ ম ম করবে ! এছাড়া আরও অনেক ক্রাইটেরিয়া–হাসতে হাসতে জানান সুস্মিতা ! এমন কোন গুণ আছে, যা তাঁর হৃদয়কে সবথেকে বেশি স্পর্শ করে। “সততা”–সুস্মিতা জোরের সঙ্গে জানান। সবচেয়ে ভয় কীসে ? কীসে আবার ? বেঁচে থাকাটাই তো সবচেয়ে ভয়ের। প্রতি মুহূর্তে সেই ভয়কে জয় করতে হয়!